চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ‘আপনার ওসি স্যাররে বলেন এখানে আসতে’ বলা সেই ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে তাঁকে আটক করা হয় বলে বুধবার নিশ্চিত করেছেন ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম।
আটক নেতার নাম শাওন কাবী রিজা। তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের রুপসা (দক্ষিণ) ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি।
এর আগে, নুরে আলম নামে এক ব্যক্তি প্রাইভেটকারে করে রায়পুর থেকে ফরিদগঞ্জে যাওয়ার পথে বর্ডার নামক স্থানে প্রাইভেটকারের পেছনে মোটরসাইকেলে দুজন পড়ে আহত হয়। এতে সামনের প্রাইভেটকারের কোনো দোষ ছিল না। প্রাইভেটকারে থাকা ব্যক্তিদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্ত শাওন কাবী রিজা তাদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন।
এসময় পুলিশ থানায় যেতে বললে শাওন কাবী রিজা বলেন, ‘আমি যাব না, আপনার ওসি স্যাররে বলেন এখানে আসতে। আমি ইউনিয়ন ছাত্রদলের প্রেসিডেন্ট। আমি মনজিল ভাইয়ের শ্যালক।’এসময় ফরিদগঞ্জ থানার এসআই খোকন চন্দ্র দাশের হাত থেকে মোবাইলফোন কেড়ে নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেন তিনি।
শাওন কাবী রিজার উল্লিখিত মনজিল হলেন সাবেক ফরিদগঞ্জ পৌর মেয়র ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক
ভুক্তভোগী নুরে আলম বলেন, ‘আমরা চাঁদপুর–লক্ষ্মীপুর সড়কের রায়পুর থেকে ফরিদগঞ্জে আমার বোনের বাড়ি যাচ্ছিলাম। আমাদের গাড়ির সামনে থাকা লড়িকে ওভারটেক করার চেষ্টা করলে সামনে থেকে আরও একটি গাড়ি আসার কারণে আমাদের গাড়ি সামনে যেতে পারেনি। এসময় তাদের মোটরসাইকেল আমাদের গাড়ির পেছনে ছিল। তারা ওখান থেকে গৃদকালিন্দিয়ার জোড়কবরস্তান নামক স্থানে আমাদের গাড়ির সামনে অবরোধ করে। গাড়ি থেকে নামিয়ে তারা আমাদের গালাগাল ও মারধর করে। আমরা থানা পুলিশকে বিষয়টি জানাই। এখানে এসে তাদেরও হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে।’
এ ঘটনার পর ছাত্রদলের ওই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি শাহ আলম বলেন, ‘রাতেই তাঁকে (ছাত্রদল নেতা) আমরা আটক করেছি। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’