শিরোনাম :
Logo ধর্ষকদের জনসম্মুখে ফাঁসি দন্ড কার্যকরের দাবিতে পাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ মিছিল Logo কয়রায় ৩০ কেজি পারসে মাছের পোনা জব্দ Logo লন্ডনের বিগ বেনে উঠে ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ালেন তিনি, ১৬ ঘণ্টা পর গ্রেপ্তার Logo বাংলাদেশ থেকে আরও ৪২ মে.টন আলু গেল নেপালে Logo কচুয়ায় জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে রোজার তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল Logo পরীক্ষা না দিয়েই শিক্ষার্থীকে পাস করানোর অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে Logo ধর্ষকক যে দলের হোক শাস্তি মৃত্যুদন্ড দাবিতে বেরোবিতে মানববন্ধন Logo চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি নেতা রফিককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৩ Logo খুবির প্রধান ফটক ‘শহিদ মীর মুগ্ধ তোরণ’ উদ্বোধন Logo শেরপুর সীমান্তে ফসলের ক্ষেতে বন্যহাতির তান্ডব

চাঁদপুর জেলা পুলিশের মাদক নির্মূলে সাফল্য

একটি গ্রাম থেকে একটি দেশ/ মাদকমুক্ত বাংলাদেশ’-শীর্ষক স্লোগানে চাঁদপুর জেলা পুলিশের ব্যাপক মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে জেলায় হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, জঙ্গী দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, জলদস্যু, ডাকাত, চুরি-ছিনতাই, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদকসহ মামলার তদন্ত নিষ্পত্তি, ওয়ারেন্টমূলে আসামি গ্রেফতার, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, ক্লু-লেস ঘটনার তথ্য উদঘাটনে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমনে সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে
চাঁদপুর জেলা পুলিশ।

 

চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় স‍ূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ৩ হাজার ৬৭০টি অভিযানে ৭৩৪ টি নিয়মিত মামলায় ৯১৫ জনকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গ্রেফতার করেছে চাঁদপুর জেলা পুলিশ।

উদ্ধারকৃত এসব মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে-

ইয়াবা ৩৭৮৫৮ পিস, গাঁজা ৬৫৬ কেজি ২৯৭গ্রাম, ১টি গাঁজার গাছ, ফেন্সিডিল ১৫৯ বোতল, দেশীয় মদ ১৫ লিটার ৭০০ মিলি গ্রাম, বিদেশী মদ ৩৫ বোতল, বিয়ার ২৫ ক্যান, হুইস্কি ১৩ বোতল, ভারতীয় হুইস্কি ৬ লিটার, ভোটকা ১২ বোতল, কেরুমদ ২১ বোতল, ডায়েজে পাম্প ২০পিস ও ডাইলুশন এ্যালকোহল ১১ বোতল।

 

চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় এখন শুধু মাদক নির্মূলের পথেই নয় বরং মাদক প্রবণতার অপরাধ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার প্রচেষ্টায় আইন শৃঙ্খলারও অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে।

এ জেলায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের তৎপরতায় প্রতিনিয়ত মাদকসহ ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করা হয়। একপর্যায়ে পুলিশি তৎপরতায় অনেক মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক ছেড়ে দিয়ে নতুন জীবনযাপনের শপথ নেন।

শুধু অভিযানেই সীমাবদ্ধ ছিলো না। মাদক নির্মূলে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মাদকবিরোধী সভাও করেছেন চাঁদপুর জেলা পুলিশ।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চাঁদপুর পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম বলেন, জনবান্ধব পুলিশিং কার্যক্রম নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ছিল। জেলার ৮টি থানায় কর্মরত ওসিসহ সংশ্লিষ্ট সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। যে কারণে পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা বেড়েছে। চাঁদপুর জেলা পুলিশের হারানো ইমেজ ফিরে এসেছে। ভুক্তভোগীদের জন্য থানার দরজা ২৪ ঘণ্টা উন্মুক্ত মন্তব্য করে পুলিশ সুপার বলেন, ভুক্তভোগীরা যার কাজ সে করছে। দালাল-প্রতারক ও টাউট শ্রেণির লোকজন থানার আশপাশেও ঘেঁষতে পারে না। বীর মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক লোক, নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। পুলিশের সেবা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও জনবান্ধব করতে ‘ কমিউনিটি ও বিট পুলিশিং’ কার্যক্রমকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ সুপার বলেন, অপরাধীচক্রের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর। ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে আমরা বদ্ধপরিকর। মূলত দুইটি বিষয়কে সামনে রেখে জেলা পুলিশ মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করছে। এর মধ্যে একটি হলো, মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা এবং দ্বিতীয়টি হলো, আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে মাদকের চালান, ব্যবসা এবং সেবন শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা। শুধু পুলিশের ওপর ভরসা করলে হবেনা, জনপ্রতিনিধি এবং সুশীল সমাজের দায়িত্ব আছে। প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব দায়িত্ব আছে। সবাই যখন আপন আপন দায়িত্ব থেকে এগিয়ে আসবেন, তখনই সমাজ থেকে সকল অপরাধ ব্যাধি দূর হবে।’

অনুসন্ধান মতে, চাঁদপুর জেলার প্রতিটি থানা এখন সেবাবান্ধব ও দালালমুক্ত। যার কাজ সেই করছে। থানার নামে দীর্ঘদিনের অনৈতিক সুবিধাভোগিরা পাত্তা পাচ্ছে না। হয়রানিতে পড়ছে না। টাউট-বাটপারের স্থান নেই। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে সেবাপ্রার্থীরা।

চাঁদপুর পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব জানান, এ অর্জন পুলিশের প্রতিটির সদস্যের ও চাঁদপুরবাসীর। জেলাকে মাদকমুক্ত করতে সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

ছবির ক্যাপশন: চাঁদপুরে মাদকসহ বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমনে জেলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক তদারকি করছেন পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ধর্ষকদের জনসম্মুখে ফাঁসি দন্ড কার্যকরের দাবিতে পাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ মিছিল

চাঁদপুর জেলা পুলিশের মাদক নির্মূলে সাফল্য

আপডেট সময় : ০৪:২৮:০৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

একটি গ্রাম থেকে একটি দেশ/ মাদকমুক্ত বাংলাদেশ’-শীর্ষক স্লোগানে চাঁদপুর জেলা পুলিশের ব্যাপক মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে জেলায় হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, জঙ্গী দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, জলদস্যু, ডাকাত, চুরি-ছিনতাই, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদকসহ মামলার তদন্ত নিষ্পত্তি, ওয়ারেন্টমূলে আসামি গ্রেফতার, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, ক্লু-লেস ঘটনার তথ্য উদঘাটনে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমনে সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে
চাঁদপুর জেলা পুলিশ।

 

চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় স‍ূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ৩ হাজার ৬৭০টি অভিযানে ৭৩৪ টি নিয়মিত মামলায় ৯১৫ জনকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গ্রেফতার করেছে চাঁদপুর জেলা পুলিশ।

উদ্ধারকৃত এসব মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে-

ইয়াবা ৩৭৮৫৮ পিস, গাঁজা ৬৫৬ কেজি ২৯৭গ্রাম, ১টি গাঁজার গাছ, ফেন্সিডিল ১৫৯ বোতল, দেশীয় মদ ১৫ লিটার ৭০০ মিলি গ্রাম, বিদেশী মদ ৩৫ বোতল, বিয়ার ২৫ ক্যান, হুইস্কি ১৩ বোতল, ভারতীয় হুইস্কি ৬ লিটার, ভোটকা ১২ বোতল, কেরুমদ ২১ বোতল, ডায়েজে পাম্প ২০পিস ও ডাইলুশন এ্যালকোহল ১১ বোতল।

 

চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় এখন শুধু মাদক নির্মূলের পথেই নয় বরং মাদক প্রবণতার অপরাধ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার প্রচেষ্টায় আইন শৃঙ্খলারও অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে।

এ জেলায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের তৎপরতায় প্রতিনিয়ত মাদকসহ ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করা হয়। একপর্যায়ে পুলিশি তৎপরতায় অনেক মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক ছেড়ে দিয়ে নতুন জীবনযাপনের শপথ নেন।

শুধু অভিযানেই সীমাবদ্ধ ছিলো না। মাদক নির্মূলে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মাদকবিরোধী সভাও করেছেন চাঁদপুর জেলা পুলিশ।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চাঁদপুর পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম বলেন, জনবান্ধব পুলিশিং কার্যক্রম নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ছিল। জেলার ৮টি থানায় কর্মরত ওসিসহ সংশ্লিষ্ট সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। যে কারণে পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা বেড়েছে। চাঁদপুর জেলা পুলিশের হারানো ইমেজ ফিরে এসেছে। ভুক্তভোগীদের জন্য থানার দরজা ২৪ ঘণ্টা উন্মুক্ত মন্তব্য করে পুলিশ সুপার বলেন, ভুক্তভোগীরা যার কাজ সে করছে। দালাল-প্রতারক ও টাউট শ্রেণির লোকজন থানার আশপাশেও ঘেঁষতে পারে না। বীর মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক লোক, নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। পুলিশের সেবা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও জনবান্ধব করতে ‘ কমিউনিটি ও বিট পুলিশিং’ কার্যক্রমকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ সুপার বলেন, অপরাধীচক্রের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর। ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে আমরা বদ্ধপরিকর। মূলত দুইটি বিষয়কে সামনে রেখে জেলা পুলিশ মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করছে। এর মধ্যে একটি হলো, মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা এবং দ্বিতীয়টি হলো, আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে মাদকের চালান, ব্যবসা এবং সেবন শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা। শুধু পুলিশের ওপর ভরসা করলে হবেনা, জনপ্রতিনিধি এবং সুশীল সমাজের দায়িত্ব আছে। প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব দায়িত্ব আছে। সবাই যখন আপন আপন দায়িত্ব থেকে এগিয়ে আসবেন, তখনই সমাজ থেকে সকল অপরাধ ব্যাধি দূর হবে।’

অনুসন্ধান মতে, চাঁদপুর জেলার প্রতিটি থানা এখন সেবাবান্ধব ও দালালমুক্ত। যার কাজ সেই করছে। থানার নামে দীর্ঘদিনের অনৈতিক সুবিধাভোগিরা পাত্তা পাচ্ছে না। হয়রানিতে পড়ছে না। টাউট-বাটপারের স্থান নেই। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে সেবাপ্রার্থীরা।

চাঁদপুর পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব জানান, এ অর্জন পুলিশের প্রতিটির সদস্যের ও চাঁদপুরবাসীর। জেলাকে মাদকমুক্ত করতে সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

ছবির ক্যাপশন: চাঁদপুরে মাদকসহ বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমনে জেলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক তদারকি করছেন পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম।