মঙ্গলবার | ২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে Logo বেগম খালেদা জিয়া’র আশু রোগমুক্তি কামনায় ৮ নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

এক সাইকেলে ৫৩ বছর পার কচুয়ার টিউবওয়েল মিস্ত্রির জাহাঙ্গীর আলমের

১৯৭২ সালের তৎকালীন সরকারের কাছ থেকে পাওয়া জাপানি মডেলের সাইকেলটি আজো ব্যবহার করছেন টিউবওয়েল মিস্ত্রী জাহাঙ্গীর আলম। বাবার মৃত্যুর পর এই সাইকেল দিয়ে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের টিউবওয়েল মেরামত করেন তিনি। বাবার স্মৃতি টুকু ধরে রাখতে প্রতিনিয়ত তিনি আজো এই সাইকেলটি ব্যবহার করছেন।

 

সাইকেল চালিয়ে বিভিন্ন এলাকায় টিউবওয়েল মেরামত করে যে টাকা উপার্জন হয় তাতে চলে তার সংসার। সংসারে স্ত্রী,১ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে তার। বলছি চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালাখাল গ্রামের প্রধানীয়া বাড়ির মৃত আব্দুর রবের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের কথা।

জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলমের বাবা ছিলেন দক্ষ টিউবওয়েল মিস্ত্রী। তখনকার সময়ে তৎকালীন সরকারি চাকুরি করার সুবাদে সরকার তাকে জাপানি মডেলের একটি সাইকেল উপহার দেন। পরে কয়েক বছর ব্যবহারের পর তার মৃত্যুতে ছেলে জাহাঙ্গীর আলম দীর্ঘ অনেক বছর ধরে এ সাইকেলটি ব্যবহার করছেন। সাইকেলের টায়ার,টিউব ও স্কু পরিবর্তন ছাড়া তেমন কিছু কাজ করতে হয়নি তার। এখনো সাইকেলের রিং গুলো মরিচা পড়েনি। একমাত্র বাহন হিসেবে তিনি প্রতিনিয়িত এভাবে গ্রামান্তরে ছুটে চলেন জীবিকার তাগিদে। সংসারের উপার্জনক্রম একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে এই বাহনটি নিয়ে ছুটে চলেন তিনি। বয়স ৬০ পেরিয়ে গেলেও এখনো সাইকেল চালিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়ান সে। একজন ভালো মিস্ত্রি হওয়ায় এলাকায় তার সুনাম রয়েছে। তার ব্যবহৃত সাইকেলটি বর্তমানে বয়স হয়েছে ৫৩ বছর।

টিউবওয়লে মিস্ত্রি জাহাঙ্গীর আলম জানান, বাবার মৃত্যুর পর আমি এই সাইকেলটি ব্যবহার করতেছি। সাইকেলটি আজো কোনো ধরনের নষ্ট বা অকোজা হয়নি। বাবার স্মৃতি ধরে আজো এখনো বেচেঁ আছি। এই সাইকেলটি দিয়ে আমি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিউবওয়েল মেরামতের কাজ করি। এতে যে টাকা আয়, তাতেই চলে আমার সংসার। তাই সাইকেলটি হচ্ছে আমার একমাত্র বাহন। ভবিষ্যতেও চেষ্টা করব এই সাইকেলের মাধ্যমে বাবার স্মৃতি ধরে রাখতে।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা বলেন, জাহাঙ্গীর আলম এভাবে সাইকেল চালিয়ে মানুষের বাড়ি গিয়ে টিউবওয়েল মেরামত করে আসছেন। তিনি একজন সহজ-সরল ও সৎ মানুষ। কখনো কারো সাথে বাকবিতন্ডা করেনি। বর্তমান যুগে এমন মানুষ কম দেখা যায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ

এক সাইকেলে ৫৩ বছর পার কচুয়ার টিউবওয়েল মিস্ত্রির জাহাঙ্গীর আলমের

আপডেট সময় : ০৬:৩৫:৩১ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

১৯৭২ সালের তৎকালীন সরকারের কাছ থেকে পাওয়া জাপানি মডেলের সাইকেলটি আজো ব্যবহার করছেন টিউবওয়েল মিস্ত্রী জাহাঙ্গীর আলম। বাবার মৃত্যুর পর এই সাইকেল দিয়ে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের টিউবওয়েল মেরামত করেন তিনি। বাবার স্মৃতি টুকু ধরে রাখতে প্রতিনিয়ত তিনি আজো এই সাইকেলটি ব্যবহার করছেন।

 

সাইকেল চালিয়ে বিভিন্ন এলাকায় টিউবওয়েল মেরামত করে যে টাকা উপার্জন হয় তাতে চলে তার সংসার। সংসারে স্ত্রী,১ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে তার। বলছি চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালাখাল গ্রামের প্রধানীয়া বাড়ির মৃত আব্দুর রবের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের কথা।

জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলমের বাবা ছিলেন দক্ষ টিউবওয়েল মিস্ত্রী। তখনকার সময়ে তৎকালীন সরকারি চাকুরি করার সুবাদে সরকার তাকে জাপানি মডেলের একটি সাইকেল উপহার দেন। পরে কয়েক বছর ব্যবহারের পর তার মৃত্যুতে ছেলে জাহাঙ্গীর আলম দীর্ঘ অনেক বছর ধরে এ সাইকেলটি ব্যবহার করছেন। সাইকেলের টায়ার,টিউব ও স্কু পরিবর্তন ছাড়া তেমন কিছু কাজ করতে হয়নি তার। এখনো সাইকেলের রিং গুলো মরিচা পড়েনি। একমাত্র বাহন হিসেবে তিনি প্রতিনিয়িত এভাবে গ্রামান্তরে ছুটে চলেন জীবিকার তাগিদে। সংসারের উপার্জনক্রম একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে এই বাহনটি নিয়ে ছুটে চলেন তিনি। বয়স ৬০ পেরিয়ে গেলেও এখনো সাইকেল চালিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়ান সে। একজন ভালো মিস্ত্রি হওয়ায় এলাকায় তার সুনাম রয়েছে। তার ব্যবহৃত সাইকেলটি বর্তমানে বয়স হয়েছে ৫৩ বছর।

টিউবওয়লে মিস্ত্রি জাহাঙ্গীর আলম জানান, বাবার মৃত্যুর পর আমি এই সাইকেলটি ব্যবহার করতেছি। সাইকেলটি আজো কোনো ধরনের নষ্ট বা অকোজা হয়নি। বাবার স্মৃতি ধরে আজো এখনো বেচেঁ আছি। এই সাইকেলটি দিয়ে আমি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিউবওয়েল মেরামতের কাজ করি। এতে যে টাকা আয়, তাতেই চলে আমার সংসার। তাই সাইকেলটি হচ্ছে আমার একমাত্র বাহন। ভবিষ্যতেও চেষ্টা করব এই সাইকেলের মাধ্যমে বাবার স্মৃতি ধরে রাখতে।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা বলেন, জাহাঙ্গীর আলম এভাবে সাইকেল চালিয়ে মানুষের বাড়ি গিয়ে টিউবওয়েল মেরামত করে আসছেন। তিনি একজন সহজ-সরল ও সৎ মানুষ। কখনো কারো সাথে বাকবিতন্ডা করেনি। বর্তমান যুগে এমন মানুষ কম দেখা যায়।