সংসদে বাল্য বিবাহ নিরোধ বিল-২০১৭ পাস !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:২২:০৫ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • ৭৪৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

নারী ও পুরুষের বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স যথাক্রমে ২১ এবং ১৮ বছর নির্ধারণ করে এবং নারীদের ক্ষেত্রে ‘বিশেষ প্রেক্ষাপটের’ বিধান রেখে গতকাল জাতীয় সংসদে বাল্য বিবাহ নিরোধ বিল-২০১৭ পাস হয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন। পরে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়।

বিলে বাল্যবিয়ে বন্ধে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা এবং স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধির সাধারণ ক্ষমতা নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক বা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি কোনো ব্যক্তির লিখিত বা মৌখিক আবেদন অথবা অন্য কোনো মাধ্যমে বাল্য বিয়ের সংবাদ পেলে তিনি উক্ত বিয়ে বন্ধ করবেন। অথবা বিধিমালার দ্বারা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

বিলে বিধিমালা দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি বাল্য বিয়ে প্রতিরোধের জন্য জাতীয়, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিরোধ কমিটি গঠন ও এর কার্যাবলী নির্ধারণের বিধান করা হয়েছে। বিধিমালায় স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা এবং স্থানীয় পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তির সমন্বয়ে এ কমিটি গঠনের বিধান করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, সেলিম উদ্দিন ও বেগম রওশন আরা মান্নান বিলের ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলেও তা কণ্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে যায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সংসদে বাল্য বিবাহ নিরোধ বিল-২০১৭ পাস !

আপডেট সময় : ০৫:২২:০৫ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

নারী ও পুরুষের বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স যথাক্রমে ২১ এবং ১৮ বছর নির্ধারণ করে এবং নারীদের ক্ষেত্রে ‘বিশেষ প্রেক্ষাপটের’ বিধান রেখে গতকাল জাতীয় সংসদে বাল্য বিবাহ নিরোধ বিল-২০১৭ পাস হয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন। পরে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়।

বিলে বাল্যবিয়ে বন্ধে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা এবং স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধির সাধারণ ক্ষমতা নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক বা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি কোনো ব্যক্তির লিখিত বা মৌখিক আবেদন অথবা অন্য কোনো মাধ্যমে বাল্য বিয়ের সংবাদ পেলে তিনি উক্ত বিয়ে বন্ধ করবেন। অথবা বিধিমালার দ্বারা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

বিলে বিধিমালা দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি বাল্য বিয়ে প্রতিরোধের জন্য জাতীয়, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিরোধ কমিটি গঠন ও এর কার্যাবলী নির্ধারণের বিধান করা হয়েছে। বিধিমালায় স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা এবং স্থানীয় পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তির সমন্বয়ে এ কমিটি গঠনের বিধান করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, সেলিম উদ্দিন ও বেগম রওশন আরা মান্নান বিলের ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলেও তা কণ্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে যায়।