শিরোনাম :
Logo ইবিতে ঠিকাদারদের লাইসেন্স নবায়নের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo জবির স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় আয় ১২ কোটি টাকা Logo বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার নির্বাচন সম্পন্ন Logo আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo সরকার উদ্যোগ না নিলে আমরা বসে থাকব না: নাহিদ ইসলাম Logo সার্কের বিকল্প জোট গঠনে কাজ করছে চীন-পাকিস্তান, রয়েছে বাংলাদেশও Logo পহেলা জুলাই থেকে ৫ আগস্টের কর্মসূচি ঘিরে হুমকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo নতুন নেতৃত্বে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘তারুণ্য’ Logo সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসী হামলা, আহত-৩০ Logo খুবির দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনকে কটাক্ষ ও ধর্ম অবমাননার অভিযোগ

বিনা অপরাধে আটক ব্যক্তিরা ক্ষতিপূরণ চাইতে পারে : প্রধানমন্ত্রী !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:০৮:১০ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০১৭
  • ৭৪৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা বিনা অপরাধে কারাগারে আটক রয়েছেন তারা সংশ্লিষ্ট আটককারী কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইতে পারে। যদি কেউ রাষ্ট্রের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে, আইনে সে বিধানও রয়েছে। অপরাধীরা যাতে বিনা বিচারে দীর্ঘদিন আটক না থাকে সে লক্ষ্যে সরকার তাদের দ্রুত বিচার সম্পন্ন করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের চতুর্দশ ও শীতকালীন অধিবেশনে গতকাল বুধবার টেবিলে উত্থাপিত প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে নূরুল ইসলাম মিলনের (কুমিল্লা-৮) প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জেলে থাকা অবস্থায় জানতে পারি যে, অনেক মানুষ বিনা অপরাধে জেলে আটক অবস্থায় আছে। এ সকল ব্যক্তিদের অবিলম্বে জেল থেকে মুক্ত করা প্রয়োজন। কিছু এনজিও এবং সরকারি জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার মাধ্যমে এইসব আটক ব্যক্তিদের কারাগার থেকে মুক্ত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং এ প্রক্রিয়া চলমান আছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সংসদকে আরও জানান, বর্তমান  সরকার দীর্ঘদিন ধরে আটক অপরাধীদের সংখ্যা জানার জন্য পরিসংখ্যান নিয়ে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিচ্ছে।  যারা কারাগারে আটক রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলমান আছে। এসব মামলা তদন্ত পর্যায়ে থাকতে পারে বা বিচারিক পর্যায়েও থাকতে পারে। বিচারিক পর্যায়ে দীর্ঘসূত্রতা থাকলে এসব মামলায় কারাগারে আটক ব্যক্তিদের জামিনে মুক্তি প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করা সংশ্লিষ্ট বিচারকের এখতিয়ারাধীন। সরকার এসব মামলা দ্রুত বিচারের লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছে।

গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কার্যক্রম গ্রহণ করবে ইসি
আয়েন উদ্দিনের (রাজশাহী-৩) লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ৪ জন নির্বাচন কমিশনারের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। নবনিযুক্ত কমিশন ইতিমধ্যে শপথের মাধ্যমে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। বর্তমানে দায়িত্বরত নির্বাচন কমিশন ভবিষ্যতে তাদের অর্পিত সাংবিধানিক দায়িত্ব অনুযায়ী সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের সকল কার্যক্রম গ্রহণ করবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।

নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে যাছে সরকার
কামাল আহমেদ মজুমদারের (ঢাকা-১৫) লিখিত প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার নারীর অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে কাজ করে যাছে। নারীর উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ গভীর উপলব্ধি থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর নারী সমাজের উন্নয়নে পদক্ষেপ নেন। জাতীয় সংসদে সর্বপ্রথম জাতির পিতা নারীদের জন্য ১৫টি আসন সংরক্ষিত করেন। এটাই বাংলাদেশের ইতিহাসে নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে প্রথম বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। যার ফলে স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের প্রথম সংসদেই নারীরা প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পায়।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রী, সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি, সিনিয়র সচিব, রাষ্ট্রদূত, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমরা নারীদের নিয়োগ প্রদান করেছি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাজেটের ২৭.২৪ শতাংশ এবং মোট জিডিপির ৪.৭৩ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সকল মন্ত্রণালয়ে নারী উন্নয়ন সংক্রান্ত ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার যখনই সরকার গঠন করেছে দেশের নারী সমাজেরে উন্নয়নে কাজ করেছে। ১৯৯৭ সালে সর্বপ্রথম জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ঘোষণা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৩টি সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন, ‘নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৯৮ সালে নারী উন্নয়নে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সন্তানের পরিচিতির সাথে বাবার নামের পাশে মায়ের নাম ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার সর্বপ্রথম সামরিক বাহিনীতে অফিসার পদে নারীদের নিয়োগ দেয়া শুরু করে। এসময় বাংলাদেশ প্রথম মহিলা সচিব নিয়োগ নেয়া হয়। তিনি বলেন, আজ জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা নারী উন্নয়নে আমাদের ভূয়সী প্রশংসা করছে। রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী অংশগ্রহণের মান হিসেবে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ ৬ষ্ঠ স্থানে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে ঠিকাদারদের লাইসেন্স নবায়নের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

বিনা অপরাধে আটক ব্যক্তিরা ক্ষতিপূরণ চাইতে পারে : প্রধানমন্ত্রী !

আপডেট সময় : ১১:০৮:১০ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা বিনা অপরাধে কারাগারে আটক রয়েছেন তারা সংশ্লিষ্ট আটককারী কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইতে পারে। যদি কেউ রাষ্ট্রের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে, আইনে সে বিধানও রয়েছে। অপরাধীরা যাতে বিনা বিচারে দীর্ঘদিন আটক না থাকে সে লক্ষ্যে সরকার তাদের দ্রুত বিচার সম্পন্ন করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের চতুর্দশ ও শীতকালীন অধিবেশনে গতকাল বুধবার টেবিলে উত্থাপিত প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে নূরুল ইসলাম মিলনের (কুমিল্লা-৮) প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জেলে থাকা অবস্থায় জানতে পারি যে, অনেক মানুষ বিনা অপরাধে জেলে আটক অবস্থায় আছে। এ সকল ব্যক্তিদের অবিলম্বে জেল থেকে মুক্ত করা প্রয়োজন। কিছু এনজিও এবং সরকারি জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার মাধ্যমে এইসব আটক ব্যক্তিদের কারাগার থেকে মুক্ত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং এ প্রক্রিয়া চলমান আছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সংসদকে আরও জানান, বর্তমান  সরকার দীর্ঘদিন ধরে আটক অপরাধীদের সংখ্যা জানার জন্য পরিসংখ্যান নিয়ে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিচ্ছে।  যারা কারাগারে আটক রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলমান আছে। এসব মামলা তদন্ত পর্যায়ে থাকতে পারে বা বিচারিক পর্যায়েও থাকতে পারে। বিচারিক পর্যায়ে দীর্ঘসূত্রতা থাকলে এসব মামলায় কারাগারে আটক ব্যক্তিদের জামিনে মুক্তি প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করা সংশ্লিষ্ট বিচারকের এখতিয়ারাধীন। সরকার এসব মামলা দ্রুত বিচারের লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছে।

গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কার্যক্রম গ্রহণ করবে ইসি
আয়েন উদ্দিনের (রাজশাহী-৩) লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ৪ জন নির্বাচন কমিশনারের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। নবনিযুক্ত কমিশন ইতিমধ্যে শপথের মাধ্যমে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। বর্তমানে দায়িত্বরত নির্বাচন কমিশন ভবিষ্যতে তাদের অর্পিত সাংবিধানিক দায়িত্ব অনুযায়ী সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের সকল কার্যক্রম গ্রহণ করবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।

নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে যাছে সরকার
কামাল আহমেদ মজুমদারের (ঢাকা-১৫) লিখিত প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার নারীর অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে কাজ করে যাছে। নারীর উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ গভীর উপলব্ধি থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর নারী সমাজের উন্নয়নে পদক্ষেপ নেন। জাতীয় সংসদে সর্বপ্রথম জাতির পিতা নারীদের জন্য ১৫টি আসন সংরক্ষিত করেন। এটাই বাংলাদেশের ইতিহাসে নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে প্রথম বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। যার ফলে স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের প্রথম সংসদেই নারীরা প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পায়।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রী, সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি, সিনিয়র সচিব, রাষ্ট্রদূত, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমরা নারীদের নিয়োগ প্রদান করেছি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাজেটের ২৭.২৪ শতাংশ এবং মোট জিডিপির ৪.৭৩ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সকল মন্ত্রণালয়ে নারী উন্নয়ন সংক্রান্ত ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার যখনই সরকার গঠন করেছে দেশের নারী সমাজেরে উন্নয়নে কাজ করেছে। ১৯৯৭ সালে সর্বপ্রথম জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ঘোষণা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৩টি সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন, ‘নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৯৮ সালে নারী উন্নয়নে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সন্তানের পরিচিতির সাথে বাবার নামের পাশে মায়ের নাম ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার সর্বপ্রথম সামরিক বাহিনীতে অফিসার পদে নারীদের নিয়োগ দেয়া শুরু করে। এসময় বাংলাদেশ প্রথম মহিলা সচিব নিয়োগ নেয়া হয়। তিনি বলেন, আজ জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা নারী উন্নয়নে আমাদের ভূয়সী প্রশংসা করছে। রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী অংশগ্রহণের মান হিসেবে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ ৬ষ্ঠ স্থানে।