পলাশবাড়ী পৌরসভায় মনোনয়ন প্রতিযোগিতা কে হচ্ছে নৌকার মাঝি

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০৫:০৯:৩৭ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০২০
  • ৭৮০ বার পড়া হয়েছে

বায়েজীদ (গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি) :

পলাশবাড়ী নবগঠিত পৌরভার প্রথম নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কা নিতে শুরু হয়েছে দৌড়-ঝাঁপ। সাধারণ ভোটারদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে কে পাচ্ছেন নৌকা মার্কা।

গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মনোনয়ন দেবে ১৩ই নভেম্বর ২০২০ইং রোজ শুক্রবার সন্ধ্যায়,কে হচ্ছে নৌকার মাঝি।

পৌরসভা ঘোষণার দীর্ঘ দিন পরে আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলগুলো মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। ভোটারদের ভিন্ন ভিন্ন প্রতিশ্রুতি আর উন্নয়নের স্বপ্নে বিভোর পলাশবাড়ীর প্রায় ৩১ হাজার ১৬৩ জন ভোটারসহ সচেতন নাগরিক সমাজ।

ইউনিয়ন পরিষদে দীর্ঘদিনের অপ্রাপ্তির অভিযোগে অবহেলিত সড়ক, ড্রেন আর নাগরিক অসুবিধার একাধিক দাবি প্রার্থীদের সামনে তুলে ধরছেন। প্রার্থীরাও তাদের চাওয়া পূরণের আশ্বাস দিলেও এখন আছেন নিজেদের পছন্দের প্রার্থী বাছাইয়ে। চায়ের টেবিল থেকে শুরু করে মাচাং আর টঙ্গের আড্ডায় হিসেব নিকেষে চলছে কে হবেন পলাশবাড়ী পৌর পিতা। আর নৌকার টিকিট কে পেতে চলেছেন।

সম্প্রতি উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ৬ জনের নাম কেন্দ্রে পাঠানোর খবর পাওয়া যায়। মনোনয়ন দৌড়ে তারা এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। কেউ আবার মনোনয়নপত্র কিনে জমাও দিচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ে আছে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি পৌর প্রশাসক আবু বকর প্রধান, সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ শামিকুল ইসলাম সরকার লিপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোটর শ্রমিক সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার বিপ্লব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বাবু ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্যাহেল কাফি মন্ডল।

প্রত্যেক প্রার্থীই অনেক আগে থেকেই পৌর এলাকায় ভোটারদের কাছে নিজেদের যোগ্য প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মেয়র পদে দলীয় ভাবে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে ৬ জন প্রার্থীই আশাবাদী।

তারা দলীয় মনোনয়ন নিতে সদ্য নির্বাচিত সংসদ সদস্য অ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতির নজর কাড়ার চেষ্টায় রয়েছেন। যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের ধারণা কেন্দ্র হতে যাচাই-বাছাই করে অবশ্যই যোগ্য ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেবেন। একটি সূত্রে জানা যায় ১ থেকে ২ দিনের মধ্যে নৌকায় চূড়ান্ত মাঝির নাম পেয়ে যাবেন নেতা-সমর্থকরা।

প্রসঙ্গত, বিগত ২০০১ সালের ৩ নভেম্বর পলাশবাড়ীকে আনুষ্ঠানিক পৌরসভা ঘোষণা করা হয়। এরপর সীমানা নির্ধারণে মামলা ও ২০০৭ সালে পৌরসভা বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে রিটে আইনি জটিলতায় দীর্ঘ ১৯ বছর পৌরসভা বাস্তবায়ন স্থগিত থাকে। এর পর ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে পৌরসভার কার্যক্রম শুরু হয়। অন্যদিকে সীমানা জটিলাতায় সংযুক্ত করা হয় কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের পলাশগাছি ও আন্দুয়া নামক গ্রাম দুটি এবং বরিশাল ইউনিয়নের রাইগ্রামকে। ৯টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে পৌরসভাকে।

চলতি বছরের শুরুতে পৌরসভা বাস্তবায়ন কমিটি করে পৌর প্রশাসক নিযুক্ত করা হয়। এ পৌরসভায় ৯টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে, ৩টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ও ১টি মেয়র পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ী পৌরসভায় মনোনয়ন প্রতিযোগিতা কে হচ্ছে নৌকার মাঝি

আপডেট সময় : ০৫:০৯:৩৭ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০২০

বায়েজীদ (গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি) :

পলাশবাড়ী নবগঠিত পৌরভার প্রথম নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কা নিতে শুরু হয়েছে দৌড়-ঝাঁপ। সাধারণ ভোটারদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে কে পাচ্ছেন নৌকা মার্কা।

গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মনোনয়ন দেবে ১৩ই নভেম্বর ২০২০ইং রোজ শুক্রবার সন্ধ্যায়,কে হচ্ছে নৌকার মাঝি।

পৌরসভা ঘোষণার দীর্ঘ দিন পরে আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলগুলো মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। ভোটারদের ভিন্ন ভিন্ন প্রতিশ্রুতি আর উন্নয়নের স্বপ্নে বিভোর পলাশবাড়ীর প্রায় ৩১ হাজার ১৬৩ জন ভোটারসহ সচেতন নাগরিক সমাজ।

ইউনিয়ন পরিষদে দীর্ঘদিনের অপ্রাপ্তির অভিযোগে অবহেলিত সড়ক, ড্রেন আর নাগরিক অসুবিধার একাধিক দাবি প্রার্থীদের সামনে তুলে ধরছেন। প্রার্থীরাও তাদের চাওয়া পূরণের আশ্বাস দিলেও এখন আছেন নিজেদের পছন্দের প্রার্থী বাছাইয়ে। চায়ের টেবিল থেকে শুরু করে মাচাং আর টঙ্গের আড্ডায় হিসেব নিকেষে চলছে কে হবেন পলাশবাড়ী পৌর পিতা। আর নৌকার টিকিট কে পেতে চলেছেন।

সম্প্রতি উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ৬ জনের নাম কেন্দ্রে পাঠানোর খবর পাওয়া যায়। মনোনয়ন দৌড়ে তারা এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। কেউ আবার মনোনয়নপত্র কিনে জমাও দিচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ে আছে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি পৌর প্রশাসক আবু বকর প্রধান, সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ শামিকুল ইসলাম সরকার লিপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোটর শ্রমিক সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার বিপ্লব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বাবু ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্যাহেল কাফি মন্ডল।

প্রত্যেক প্রার্থীই অনেক আগে থেকেই পৌর এলাকায় ভোটারদের কাছে নিজেদের যোগ্য প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মেয়র পদে দলীয় ভাবে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে ৬ জন প্রার্থীই আশাবাদী।

তারা দলীয় মনোনয়ন নিতে সদ্য নির্বাচিত সংসদ সদস্য অ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতির নজর কাড়ার চেষ্টায় রয়েছেন। যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের ধারণা কেন্দ্র হতে যাচাই-বাছাই করে অবশ্যই যোগ্য ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেবেন। একটি সূত্রে জানা যায় ১ থেকে ২ দিনের মধ্যে নৌকায় চূড়ান্ত মাঝির নাম পেয়ে যাবেন নেতা-সমর্থকরা।

প্রসঙ্গত, বিগত ২০০১ সালের ৩ নভেম্বর পলাশবাড়ীকে আনুষ্ঠানিক পৌরসভা ঘোষণা করা হয়। এরপর সীমানা নির্ধারণে মামলা ও ২০০৭ সালে পৌরসভা বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে রিটে আইনি জটিলতায় দীর্ঘ ১৯ বছর পৌরসভা বাস্তবায়ন স্থগিত থাকে। এর পর ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে পৌরসভার কার্যক্রম শুরু হয়। অন্যদিকে সীমানা জটিলাতায় সংযুক্ত করা হয় কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের পলাশগাছি ও আন্দুয়া নামক গ্রাম দুটি এবং বরিশাল ইউনিয়নের রাইগ্রামকে। ৯টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে পৌরসভাকে।

চলতি বছরের শুরুতে পৌরসভা বাস্তবায়ন কমিটি করে পৌর প্রশাসক নিযুক্ত করা হয়। এ পৌরসভায় ৯টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে, ৩টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ও ১টি মেয়র পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।