প্রবাস-প্রজন্মে গ্রাম-বাংলার প্রতিচ্ছবি ‘পালকি’ !

  • আপডেট সময় : ১২:৫৭:২৬ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৭৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

গ্রাম-বাংলার সাথে প্রবাস-প্রজন্মকে পরিচিত করতে অনবদ্য একটি প্রয়াস ছিল ‘পালকি’। শুধু তাই নয়, প্রথম প্রজন্মের সাথে দ্বিতীয় প্রজন্মকে এ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে যুক্ত করে অনন্য এক উদাহরণ তৈরি করেছে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি সংলগ্ন প্রবাসীদের সংগঠন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনক।

গত ১৯ ও ২০ আগস্ট পালকির মোট চারটি শো মঞ্চস্থ হয়েছে আমেরিকার ভার্জিনিয়ার আনানডেলস্থ নোভা কলেজের আর্নেস্ট কালচারাল সেন্টারে। নাটকের উদ্বৃত্ত তহবিল বাংলাদেশের বন্যার্তদের জন্য ব্যয়ের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। নাটকের আয়োজক ও উপস্থিত দর্শকদের বাংলাদেশের বন্যাদুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর এ আহ্বান জানান নাটকটির গ্র্যান্ড স্পন্সর পিপলএনটেক।

পালকি’কে ঘিরে যথেষ্ট উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে ভার্জিনিয়াসহ আশপাশের অঙ্গরাজ্যসমূহে। এর চিত্রনাট্য লিখেছেন সফি দেলোয়ার কাজল এবং পরিচালনা করেছেন কামরুল খান লিঙ্কন। কোরিওগ্রাফার ছিলেন রুমা খান। অভিনয় করেছেন সামারা এলাহি, অদিতি চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম, কুলসুম রহমান, প্রণব বড়ুয়া, রুমি মাহমুদ, শাহীন জাহাঙ্গির, তাসিন প্রমুখ।

মঞ্চায়নে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটাতে সহায়তা করেছে ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়া এবং ক্যালিফোর্নিয়ার লয়োলা মেরিমাউন্ট ইউনিভার্সিটির নাটক বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা। অভিনয় এবং অন্যান্য পর্বে অংশগ্রহণকারিদের মধ্যে ছিলেন জর্জ ম্যাসন ইউনিভার্সিটি, জেমস মেডিসন ইউনিভার্সিটি, নর্দার্ন ভার্জিনিয়া কম্যুনিটি কলেজ, ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড এবং জর্জ ওয়াশিংটন ইউসিভার্সিটির বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতরা।

পালকি পল্লী বাংলার এক ষোড়শীর জীবন গাঁথা। বাংলাদেশের শহরতলীতে হিজলতলী গ্রামের ইছামতি নদীর তীরে মাস্টার বাড়ির দুই মেয়ে শিমুল এবং পালকি। দু’বোনের জীবনের হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনার এক রূপকল্প হচ্ছে এই নাটক। তবে এর কাহিনী বিন্যাসে পালকির জীবনের নানা বাঁক পরিস্ফুটিত হয়েছে। তার দুরন্তপনা, ছেলেমানুষী, জীবনের কাছে তার প্রত্যাশা, ভাবনা, স্বপ্ন, সবকিছুই ফুটে উঠেছে নাটকে।

সংলাপ আর অনবদ্য পরিবেশনায় পালকির জীবন-কাহিনীকে উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে মূলত বাংলাদেশের অজপাড়াগাঁয়ের বস্তুনিষ্ঠ একটি চিত্রই দর্শকরা অবলোকন করেন। একইসাথে মা-মেয়ের সম্পর্ক, বোনের সাথে বোনের সম্পর্ক, বাবা-মেয়ে আর প্রতিবেশীর সাথে একেকজনের সম্পর্কের অপরূপ একটি চিত্র দর্শকের হৃদয় স্পর্শ করে গেছে। আর এমন সম্পর্কের মধ্য দিয়েই প্রকাশিত হয়েছে আবেগ, ভালবাসা, রাগ, অনুরাগ, আনন্দ-বেদনা, আশা-অনুশোচনা এবং কৃতজ্ঞতার বিষয়গুলো।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক সম্রজ্ঞী মিনি বেগম মাদক বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার

প্রবাস-প্রজন্মে গ্রাম-বাংলার প্রতিচ্ছবি ‘পালকি’ !

আপডেট সময় : ১২:৫৭:২৬ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

গ্রাম-বাংলার সাথে প্রবাস-প্রজন্মকে পরিচিত করতে অনবদ্য একটি প্রয়াস ছিল ‘পালকি’। শুধু তাই নয়, প্রথম প্রজন্মের সাথে দ্বিতীয় প্রজন্মকে এ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে যুক্ত করে অনন্য এক উদাহরণ তৈরি করেছে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি সংলগ্ন প্রবাসীদের সংগঠন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনক।

গত ১৯ ও ২০ আগস্ট পালকির মোট চারটি শো মঞ্চস্থ হয়েছে আমেরিকার ভার্জিনিয়ার আনানডেলস্থ নোভা কলেজের আর্নেস্ট কালচারাল সেন্টারে। নাটকের উদ্বৃত্ত তহবিল বাংলাদেশের বন্যার্তদের জন্য ব্যয়ের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। নাটকের আয়োজক ও উপস্থিত দর্শকদের বাংলাদেশের বন্যাদুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর এ আহ্বান জানান নাটকটির গ্র্যান্ড স্পন্সর পিপলএনটেক।

পালকি’কে ঘিরে যথেষ্ট উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে ভার্জিনিয়াসহ আশপাশের অঙ্গরাজ্যসমূহে। এর চিত্রনাট্য লিখেছেন সফি দেলোয়ার কাজল এবং পরিচালনা করেছেন কামরুল খান লিঙ্কন। কোরিওগ্রাফার ছিলেন রুমা খান। অভিনয় করেছেন সামারা এলাহি, অদিতি চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম, কুলসুম রহমান, প্রণব বড়ুয়া, রুমি মাহমুদ, শাহীন জাহাঙ্গির, তাসিন প্রমুখ।

মঞ্চায়নে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটাতে সহায়তা করেছে ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়া এবং ক্যালিফোর্নিয়ার লয়োলা মেরিমাউন্ট ইউনিভার্সিটির নাটক বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা। অভিনয় এবং অন্যান্য পর্বে অংশগ্রহণকারিদের মধ্যে ছিলেন জর্জ ম্যাসন ইউনিভার্সিটি, জেমস মেডিসন ইউনিভার্সিটি, নর্দার্ন ভার্জিনিয়া কম্যুনিটি কলেজ, ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড এবং জর্জ ওয়াশিংটন ইউসিভার্সিটির বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতরা।

পালকি পল্লী বাংলার এক ষোড়শীর জীবন গাঁথা। বাংলাদেশের শহরতলীতে হিজলতলী গ্রামের ইছামতি নদীর তীরে মাস্টার বাড়ির দুই মেয়ে শিমুল এবং পালকি। দু’বোনের জীবনের হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনার এক রূপকল্প হচ্ছে এই নাটক। তবে এর কাহিনী বিন্যাসে পালকির জীবনের নানা বাঁক পরিস্ফুটিত হয়েছে। তার দুরন্তপনা, ছেলেমানুষী, জীবনের কাছে তার প্রত্যাশা, ভাবনা, স্বপ্ন, সবকিছুই ফুটে উঠেছে নাটকে।

সংলাপ আর অনবদ্য পরিবেশনায় পালকির জীবন-কাহিনীকে উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে মূলত বাংলাদেশের অজপাড়াগাঁয়ের বস্তুনিষ্ঠ একটি চিত্রই দর্শকরা অবলোকন করেন। একইসাথে মা-মেয়ের সম্পর্ক, বোনের সাথে বোনের সম্পর্ক, বাবা-মেয়ে আর প্রতিবেশীর সাথে একেকজনের সম্পর্কের অপরূপ একটি চিত্র দর্শকের হৃদয় স্পর্শ করে গেছে। আর এমন সম্পর্কের মধ্য দিয়েই প্রকাশিত হয়েছে আবেগ, ভালবাসা, রাগ, অনুরাগ, আনন্দ-বেদনা, আশা-অনুশোচনা এবং কৃতজ্ঞতার বিষয়গুলো।