বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে জমি অধিগ্রহণের অনুমতি দিল পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রিসভা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১০:০৩:৪৪ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭৫০ বার পড়া হয়েছে
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদীয়া জেলার করিমপুরে বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে জমি অধিগ্রহণের অনুমোদন দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত নেয়।

সম্প্রতি সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেওয়ার পরই এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো। জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ প্রদান করবে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এবং অধিগ্রহণের পর জমিটি সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফকে হস্তান্তর করা হবে।

বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সীমান্ত নিরাপত্তায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ করছিল। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য এ প্রসঙ্গে বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস দেরিতে হলেও সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এটি অনেক আগেই করা উচিত ছিল।”

অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস অতীতে বিএসএফের বিরুদ্ধে সীমান্তবর্তী গ্রামবাসীদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগ এনেছিল। তারা দাবি করেছিল, কেন্দ্র সরকার রাজ্যের ভেতরেও বিএসএফের জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে চায়। তবে বিএসএফ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।

সম্প্রতি নদীয়া জেলায় মাদক চোরাচালানের আস্তানা শনাক্ত হওয়ার পরই দ্রুত জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। এদিকে, বিএসএফ জানিয়েছে, ২২ থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তারা সীমান্তে বিশেষ সতর্কতামূলক অভিযান পরিচালনা করবে, যার মধ্যে বিভিন্ন প্রতিরক্ষামূলক তৎপরতাও থাকবে।

ট্যাগস :

বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে জমি অধিগ্রহণের অনুমতি দিল পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রিসভা

আপডেট সময় : ১০:০৩:৪৪ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদীয়া জেলার করিমপুরে বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে জমি অধিগ্রহণের অনুমোদন দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত নেয়।

সম্প্রতি সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেওয়ার পরই এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো। জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ প্রদান করবে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এবং অধিগ্রহণের পর জমিটি সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফকে হস্তান্তর করা হবে।

বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সীমান্ত নিরাপত্তায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ করছিল। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য এ প্রসঙ্গে বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস দেরিতে হলেও সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এটি অনেক আগেই করা উচিত ছিল।”

অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস অতীতে বিএসএফের বিরুদ্ধে সীমান্তবর্তী গ্রামবাসীদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগ এনেছিল। তারা দাবি করেছিল, কেন্দ্র সরকার রাজ্যের ভেতরেও বিএসএফের জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে চায়। তবে বিএসএফ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।

সম্প্রতি নদীয়া জেলায় মাদক চোরাচালানের আস্তানা শনাক্ত হওয়ার পরই দ্রুত জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। এদিকে, বিএসএফ জানিয়েছে, ২২ থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তারা সীমান্তে বিশেষ সতর্কতামূলক অভিযান পরিচালনা করবে, যার মধ্যে বিভিন্ন প্রতিরক্ষামূলক তৎপরতাও থাকবে।