বেক্সিমকোর শেয়ার বেচে কর্মীদের পাওনা পরিশোধ: শ্রম উপদেষ্টা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:৫২:২৫ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭৬১ বার পড়া হয়েছে
বিভিন্ন ব্যাংকে সাড়ে ৪০ হাজার কোটি টাকার ঋণ রয়েছে বেক্সিমকোর। এই সব টাকা জনগণের খেটে খাওয়া টাকা। এসব টাকা ব্যাংকগুলো থেকে কিভাবে নেয়া হয়েছে তা ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্প উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, এ ধরনের কেলেংকারি ঘটনার সাথে যারা যারা জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ের অর্থ, বাণিজ্য ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্প প্রতিষ্ঠান সমূহের বর্তমান শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

এছাড়া বেক্সিমকোর শেয়ার বিক্রি করে কর্মীদের সকল পাওনা পরিশোধ করা হবে বলেও জানিয়েছেন এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে অর্থ বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

তিনি বলেন, সব কর্মীর মোট বেতনভাতার পরিমাণ হবে ৫৫০ থেকে ৬০০ কোটি টাকার মতো। এই পাওনা ফেব্রুয়ারির মধ্যে আইন অনুযায়ী দেওয়া হবে।

 সচিবালয়ে বৈঠকে যে ৫ সিদ্ধান্ত নেয়া হলো-

১. বেক্সিমকোর লেঅফকৃত কোম্পানিগুলো বন্ধ করা হবে।

২. আইনানুগ  সকলা পাওনাদি ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেয়া হবে।

৩. বেক্সিমকোর লেঅফকৃত কোম্পানীগুলো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত টেলিভিশনে প্রচারের আদেশ অমান্য করায় রিসিভারকে
বরখাস্ত ও পরিবর্তন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

৪. জনতা ব্যাংকসহ প্রত্যেক ব্যাংককের বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিভাগীয় ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

৫. আগামী রোববার বাংলাদেশ সিকিউরিটজ এক্সচেঞ্চ কমিশন (বিএসইসি) ও এফআইডি বেক্সিমকো ফার্মা ও শাইনপুকুর সিরামিক্সের বন্ধককৃত শেয়ার বিক্রির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। শেয়ার থেকে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে শ্রমিকদের পাওনা দেয়া হবে। অর্থবিভাগ এটা সংগ্রহ করবে। আরো লাগলে সেটা সরকার ব্যবস্থা করবে।

উপদেষ্টা জানান, বেক্সিমকোর ৩২টি ফ‍্যাক্টরির মোট লোন ২৯ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা এবং অস্তিত্ববিহীন ১৬ প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে লোন রয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা।

ট্যাগস :

বেক্সিমকোর শেয়ার বেচে কর্মীদের পাওনা পরিশোধ: শ্রম উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৬:৫২:২৫ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
বিভিন্ন ব্যাংকে সাড়ে ৪০ হাজার কোটি টাকার ঋণ রয়েছে বেক্সিমকোর। এই সব টাকা জনগণের খেটে খাওয়া টাকা। এসব টাকা ব্যাংকগুলো থেকে কিভাবে নেয়া হয়েছে তা ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্প উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, এ ধরনের কেলেংকারি ঘটনার সাথে যারা যারা জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ের অর্থ, বাণিজ্য ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্প প্রতিষ্ঠান সমূহের বর্তমান শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

এছাড়া বেক্সিমকোর শেয়ার বিক্রি করে কর্মীদের সকল পাওনা পরিশোধ করা হবে বলেও জানিয়েছেন এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে অর্থ বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

তিনি বলেন, সব কর্মীর মোট বেতনভাতার পরিমাণ হবে ৫৫০ থেকে ৬০০ কোটি টাকার মতো। এই পাওনা ফেব্রুয়ারির মধ্যে আইন অনুযায়ী দেওয়া হবে।

 সচিবালয়ে বৈঠকে যে ৫ সিদ্ধান্ত নেয়া হলো-

১. বেক্সিমকোর লেঅফকৃত কোম্পানিগুলো বন্ধ করা হবে।

২. আইনানুগ  সকলা পাওনাদি ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেয়া হবে।

৩. বেক্সিমকোর লেঅফকৃত কোম্পানীগুলো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত টেলিভিশনে প্রচারের আদেশ অমান্য করায় রিসিভারকে
বরখাস্ত ও পরিবর্তন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

৪. জনতা ব্যাংকসহ প্রত্যেক ব্যাংককের বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিভাগীয় ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

৫. আগামী রোববার বাংলাদেশ সিকিউরিটজ এক্সচেঞ্চ কমিশন (বিএসইসি) ও এফআইডি বেক্সিমকো ফার্মা ও শাইনপুকুর সিরামিক্সের বন্ধককৃত শেয়ার বিক্রির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। শেয়ার থেকে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে শ্রমিকদের পাওনা দেয়া হবে। অর্থবিভাগ এটা সংগ্রহ করবে। আরো লাগলে সেটা সরকার ব্যবস্থা করবে।

উপদেষ্টা জানান, বেক্সিমকোর ৩২টি ফ‍্যাক্টরির মোট লোন ২৯ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা এবং অস্তিত্ববিহীন ১৬ প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে লোন রয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা।