শিরোনাম :
Logo জুলাই শহীদদের স্মরণে ইবিতে দোয়া মাহফিল Logo তুর্কেমেনিস্তানকে হারিয়ে বাছাই পর্ব শেষ করতে চায় বাংলাদেশ Logo আফগান সীমান্তে ৩০ জঙ্গিকে হত্যার দাবি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর Logo ইসরাইলি হামলায় ১৫ জন নিহত: সিভিল ডিফেন্স Logo ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্ববৃহৎ হামলা Logo মাগুরায় কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবাদান জোরদারের ওপর সেমিনার Logo নিউজের জন্য কমেন্ট নিতে গেলে বলেন ‘লিখিত দাও’, ফোন দিলে ধরেন পিএস,’জবি রেজিস্ট্রার’ Logo কচুয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে মাদ্রাসা ছাত্রদের করুন মৃত্যু Logo রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাবের নতুন নেতৃত্বে আবুল হাসান ও হাফিজুর Logo বউ পেটানোর শীর্ষে বরিশাল

এক স্কুলে একই পরিবারের ১৬ জন কর্মরত, তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৫০:৪৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭৫৬ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট:

একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থেকে আয়া পর্যন্ত একই পরিবারের ১৬ জন কর্মরত-গণমাধ্যমে আসা এমন অভিযোগ তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত করে চার মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

বিদ্যালয়টিতে বেআইনি নিয়োগপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং তাদের এমপিও বাতিলে নিষ্ক্রিয়তা বা ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (২০ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি শফিকুল ইসলাম, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির রোমেল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন হানিফ।

গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ‘এক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক থেকে আয়া পর্যন্ত সবাই একই পরিবারের’ শিরোনামে এবং ‘এক স্কুলে প্রধান শিক্ষকসহ একই পরিবারের ১৬ জন কর্মরত, যা জানা গেল’ শিরোনামে দুটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে পৃথক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এই দুটিসহ এ বিষয়ে গণমাধ্যমে আসা বিভিন্ন প্রতিবেদন যুক্ত করে গত বছরের ২২ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট করেন কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা মো. আইয়ূব আলী।

রিট আবেদনকারী পক্ষ জানায়, গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ‘কিশামত বদি উচ্চবিদ্যালয়ে (এমপিওভুক্ত)’ অবৈধ ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ একই পরিবারের ১২ জন এবং সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারীসহ মোট ১৬ জনের নিয়োগ ও এমপিওভুক্তির বিষয়ে তদন্ত করে তাদের নিয়োগ ও এমপিও বাতিলের ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে গত ৫ সেপ্টেম্বরে আবেদন দেওয়া হয়।

এতে দৃশ্যমান ফল না পেয়ে ওই সব নিয়োগের বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করেন আবেদনকারী।

আদেশের বিষয়ে আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া বলেন, ২০০২ সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়। প্রধান শিক্ষক হিসেবে অনন্ত কুমার নিয়োগ পাওয়ার পর নিয়মনীতি অনুসরণ না করে নিজের ভাই, স্ত্রী ও ভাইয়ের স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজনকে নিয়োগ পাইয়ে দেন বলে গণমাধ্যমে এসেছে।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে আবেদন করে ফল না পেয়ে রিটটি করা হয়। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক থেকে আয়া পর্যন্ত একই পরিবারের ১৬ জনের কর্মরত থাকার অভিযোগ তদন্ত করে চার মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই শহীদদের স্মরণে ইবিতে দোয়া মাহফিল

এক স্কুলে একই পরিবারের ১৬ জন কর্মরত, তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

আপডেট সময় : ০৮:৫০:৪৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:

একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থেকে আয়া পর্যন্ত একই পরিবারের ১৬ জন কর্মরত-গণমাধ্যমে আসা এমন অভিযোগ তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত করে চার মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

বিদ্যালয়টিতে বেআইনি নিয়োগপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং তাদের এমপিও বাতিলে নিষ্ক্রিয়তা বা ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (২০ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি শফিকুল ইসলাম, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির রোমেল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন হানিফ।

গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ‘এক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক থেকে আয়া পর্যন্ত সবাই একই পরিবারের’ শিরোনামে এবং ‘এক স্কুলে প্রধান শিক্ষকসহ একই পরিবারের ১৬ জন কর্মরত, যা জানা গেল’ শিরোনামে দুটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে পৃথক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এই দুটিসহ এ বিষয়ে গণমাধ্যমে আসা বিভিন্ন প্রতিবেদন যুক্ত করে গত বছরের ২২ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট করেন কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা মো. আইয়ূব আলী।

রিট আবেদনকারী পক্ষ জানায়, গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ‘কিশামত বদি উচ্চবিদ্যালয়ে (এমপিওভুক্ত)’ অবৈধ ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ একই পরিবারের ১২ জন এবং সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারীসহ মোট ১৬ জনের নিয়োগ ও এমপিওভুক্তির বিষয়ে তদন্ত করে তাদের নিয়োগ ও এমপিও বাতিলের ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে গত ৫ সেপ্টেম্বরে আবেদন দেওয়া হয়।

এতে দৃশ্যমান ফল না পেয়ে ওই সব নিয়োগের বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করেন আবেদনকারী।

আদেশের বিষয়ে আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া বলেন, ২০০২ সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়। প্রধান শিক্ষক হিসেবে অনন্ত কুমার নিয়োগ পাওয়ার পর নিয়মনীতি অনুসরণ না করে নিজের ভাই, স্ত্রী ও ভাইয়ের স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজনকে নিয়োগ পাইয়ে দেন বলে গণমাধ্যমে এসেছে।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে আবেদন করে ফল না পেয়ে রিটটি করা হয়। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক থেকে আয়া পর্যন্ত একই পরিবারের ১৬ জনের কর্মরত থাকার অভিযোগ তদন্ত করে চার মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।