শিরোনাম :
Logo ভুল হলে শিক্ষা নিয়ে এগুতে চাই, বললেন মাহফুজ আলম Logo আগামীকাল জুম্মার পর জবি শিক্ষার্থীদের গন অনশন Logo সাম্য হত্যায় বৈবিছাআ নেতারা চুপ কেন প্রশ্ন ইবি ছাত্রদলের Logo ইবিতে তারুণ্যের তত্ত্বাবধানে নেতৃত্ব বিষয়ক কর্মশালা Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার এসআই মো. মাসুদ রানা জেলার শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন। Logo রক্ত লাগলে রক্ত নে,জগন্নাথে হল দে’ রাজপথে লিখল শিক্ষার্থীরা Logo শেরপুরের উন্নয়ন দাবিতে নাগরিক মানববন্ধন ১৫ মে Logo ৩২বিঘা জমি ও প্রতিবেশীদের ফাঁসাতেই তারা নিজ মেয়েকে খু*ন। Logo নজরুল ও হাফিজের সাহিত্য নিয়ে রাবিতে মানবতা বিষয়ক সেমিনার Logo ছাত্রদল নেতা সাম্য’র হত্যাকারীদের দ্রুত গ্ৰেফতারের দাবিতে রাবি ছাত্রদলের অবস্থান

চুয়াডাঙ্গার নেহালপুরে মাটিকাটার অভিযোগে বিএনপি নেতাকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:০৬:৫৯ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭২৭ বার পড়া হয়েছে

সাকিব আল হাসান:

চুয়াডাঙ্গার নেহালপুর মাঠে অবৈধভাবে পুকুর খননের নামে মাটি বিক্রির ডেরায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছে। অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মাটি কাটার অপরাধে মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুর গণিকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে ৩ মাসের জেলের আদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নের পান্তাপাড়া মাঠে পুকুর কাটার অযুহাতে দীর্ঘদিন থেকে মাটি কেটে বিক্রি করে আসছিলেন মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নের দীননাথপুর গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদ ওরফে লেদু মিয়ার ছেলে মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুর গণির (৫৫) সহযোগিতায় নেহালপুর গ্রামের মকবুল হোসেন জোয়ার্দ্দারের ছেলে দর্শনা থানা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম যুদ্ধ।

আজ (৮ ই জানুয়ারি) বুধবার বিকেল ৪টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবৈধভাবে মাটি কাটার ডেরায় অভিযান চালান চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এম.সাইফুল্লাহ।

এ সময় মাটি কাটার কাজে ব্যাবহৃত ট্রাক্টর এবং ভেকু আটক করেন নির্বাহী অফিসার। এসময় মাটি কাটার বৈধ কাগজপত্র দেখতে চান উপস্থিত থাকা নুর গণি ও খাইরুল ইসলাম যুদ্ধের নিকট। তারা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে তাদেরকে সদর উপজেলা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক বালুমহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ১৫ ধারা মোতাবেক আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে ৩ মাসের জেলের আদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। আদালতের নিকট জরিমানার টাকা পরিশোধ করে মুক্ত হন তারা।

একটি সূত্র জানিয়েছে, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নাম ভাঙিয়ে ওই মাটি কেটে বিক্রি করে আসছিলেন তারা। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক এম. সাইফুল্লাহ বলেন, মাটি কাটা আইনত অপরাধ। সেটা নিজের জমি হোক আর অন্যের জমি হোক। কোন অযুহাত দেখিয়েই মাটি কাটা যাবে না। যদি কেউ এ কাজটি করে থাকেন তারা সতর্ক হয়ে যান। অভিযোগ পেলেই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযানে সহযোগিতায় ছিলেন হিজলগাড়ী ক্যাম্প পুলিশের সদস্যরা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভুল হলে শিক্ষা নিয়ে এগুতে চাই, বললেন মাহফুজ আলম

চুয়াডাঙ্গার নেহালপুরে মাটিকাটার অভিযোগে বিএনপি নেতাকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা

আপডেট সময় : ০৭:০৬:৫৯ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫

সাকিব আল হাসান:

চুয়াডাঙ্গার নেহালপুর মাঠে অবৈধভাবে পুকুর খননের নামে মাটি বিক্রির ডেরায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছে। অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মাটি কাটার অপরাধে মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুর গণিকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে ৩ মাসের জেলের আদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নের পান্তাপাড়া মাঠে পুকুর কাটার অযুহাতে দীর্ঘদিন থেকে মাটি কেটে বিক্রি করে আসছিলেন মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নের দীননাথপুর গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদ ওরফে লেদু মিয়ার ছেলে মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুর গণির (৫৫) সহযোগিতায় নেহালপুর গ্রামের মকবুল হোসেন জোয়ার্দ্দারের ছেলে দর্শনা থানা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম যুদ্ধ।

আজ (৮ ই জানুয়ারি) বুধবার বিকেল ৪টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবৈধভাবে মাটি কাটার ডেরায় অভিযান চালান চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এম.সাইফুল্লাহ।

এ সময় মাটি কাটার কাজে ব্যাবহৃত ট্রাক্টর এবং ভেকু আটক করেন নির্বাহী অফিসার। এসময় মাটি কাটার বৈধ কাগজপত্র দেখতে চান উপস্থিত থাকা নুর গণি ও খাইরুল ইসলাম যুদ্ধের নিকট। তারা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে তাদেরকে সদর উপজেলা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক বালুমহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ১৫ ধারা মোতাবেক আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে ৩ মাসের জেলের আদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। আদালতের নিকট জরিমানার টাকা পরিশোধ করে মুক্ত হন তারা।

একটি সূত্র জানিয়েছে, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নাম ভাঙিয়ে ওই মাটি কেটে বিক্রি করে আসছিলেন তারা। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক এম. সাইফুল্লাহ বলেন, মাটি কাটা আইনত অপরাধ। সেটা নিজের জমি হোক আর অন্যের জমি হোক। কোন অযুহাত দেখিয়েই মাটি কাটা যাবে না। যদি কেউ এ কাজটি করে থাকেন তারা সতর্ক হয়ে যান। অভিযোগ পেলেই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযানে সহযোগিতায় ছিলেন হিজলগাড়ী ক্যাম্প পুলিশের সদস্যরা।