শিরোনাম :

সাক্ষী দেওয়ায় বৃদ্ধকে মারধর

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০১:০৪:৪৪ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭২৬ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর উপজেলার হাসাদভহ মাঝপাড়ায় দেড় বছর আগে ড্রাগন চুরির ঘটনায় সাক্ষী দেওয়ার মারধর করে বৃদ্ধ কামাল উদ্দিনের (৬০) একটি হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালের দিকে হাসাদাহ পুরাতন কবরস্থান মাঠে এই ঘটনা ঘটে। কামাল উদ্দিন এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে জীবননগর থানায়ে একটি মামলা করেছেন।

কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমিসহ আরও কয়েকজন দেড় বছর আগে আমার গ্রামের প্রফেসর জসিম উদ্দিন জালালের ড্রাগন বাগানে কাজ করতাম। ওই সময় বাগানের ড্রাগন চুরির ঘটনায় হাসাদাহ জাফরাবাজপাড়ার হোসেন আলীর ছেলে রিপন হোসেন দোষী সাব্যস্ত হয়। আমরা সেই ঘটনায় সাক্ষী দিই। আমি সাক্ষী দেওয়ার কারণে রিপন হোসেনদের নিকট অপরাধী।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে হাসাদাহ পুরাতন কবরস্থান মাঠে হাসান আলীর কলাবাগানে কাজ করছিলাম। অপর দিকে হোসেন আলী ও তার তিন ছেলে রিপন হোসেন, স্বপন হোসেন ও হামান হোসেন তাদের পার্শ্ববর্তী ধানখেতে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এসময় আমি তাদের সরল মনে বলি, তোমরা যদি আগে ভাগে জমির পানি কেটে দিতে, তাহলে এত ক্ষতি হতো না। আমি কেন তাদের এই কথা বলেছি বলে রিপন হোসেন বলেন, আমাদের ধান নষ্ট হচ্ছে তো তুই বলার কে? এ কথা বলেই আমাকে তারা চারজন মিলে মারপিট শুরু করেন। এসময় তারা আমাকে বলে বহুদিন পর তোকে বাগে পেয়েছি, তোকে আজ শেষ করে ফেলব।’

হাসাদহ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জুম্মাত মন্ডল বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে কোনো পক্ষ আমার নিকট আসেনি।’ জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবিদ হাসান বলেন, এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিপুল সংখ্যক মুসল্লীর অংশগ্রহণে চাঁদপুরে জাকের পার্টির ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত

সাক্ষী দেওয়ায় বৃদ্ধকে মারধর

আপডেট সময় : ০১:০৪:৪৪ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জীবননগর উপজেলার হাসাদভহ মাঝপাড়ায় দেড় বছর আগে ড্রাগন চুরির ঘটনায় সাক্ষী দেওয়ার মারধর করে বৃদ্ধ কামাল উদ্দিনের (৬০) একটি হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালের দিকে হাসাদাহ পুরাতন কবরস্থান মাঠে এই ঘটনা ঘটে। কামাল উদ্দিন এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে জীবননগর থানায়ে একটি মামলা করেছেন।

কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমিসহ আরও কয়েকজন দেড় বছর আগে আমার গ্রামের প্রফেসর জসিম উদ্দিন জালালের ড্রাগন বাগানে কাজ করতাম। ওই সময় বাগানের ড্রাগন চুরির ঘটনায় হাসাদাহ জাফরাবাজপাড়ার হোসেন আলীর ছেলে রিপন হোসেন দোষী সাব্যস্ত হয়। আমরা সেই ঘটনায় সাক্ষী দিই। আমি সাক্ষী দেওয়ার কারণে রিপন হোসেনদের নিকট অপরাধী।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে হাসাদাহ পুরাতন কবরস্থান মাঠে হাসান আলীর কলাবাগানে কাজ করছিলাম। অপর দিকে হোসেন আলী ও তার তিন ছেলে রিপন হোসেন, স্বপন হোসেন ও হামান হোসেন তাদের পার্শ্ববর্তী ধানখেতে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এসময় আমি তাদের সরল মনে বলি, তোমরা যদি আগে ভাগে জমির পানি কেটে দিতে, তাহলে এত ক্ষতি হতো না। আমি কেন তাদের এই কথা বলেছি বলে রিপন হোসেন বলেন, আমাদের ধান নষ্ট হচ্ছে তো তুই বলার কে? এ কথা বলেই আমাকে তারা চারজন মিলে মারপিট শুরু করেন। এসময় তারা আমাকে বলে বহুদিন পর তোকে বাগে পেয়েছি, তোকে আজ শেষ করে ফেলব।’

হাসাদহ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জুম্মাত মন্ডল বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে কোনো পক্ষ আমার নিকট আসেনি।’ জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবিদ হাসান বলেন, এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।