ঝালকাঠি সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে সতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচন বয়কট !

  • আপডেট সময় : ১০:৪৮:০২ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০১৯
  • ৭৩৭ বার পড়া হয়েছে

রির্পোট : ঝালকাঠি প্রতিনিধি
৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে আজ ২৪ মার্চ রবিবার ঝালকাঠিতে সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ রাজ্জাক আলী সেলিমের নির্বাচন বয়কট। আনারস প্রতীকে সৈয়দ রাজ্জাক আলী সেলিম সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় নির্বাচন করলেও আজ ভোট গ্রহনের দিন দুপুর ১টায় কির্তীপাশা ইউনিয়নের ভাউলকান্দা গ্রামের নিজ বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন বয়কটের ঘোষনা দেন।
এ সময় তিনি তার বক্তব্যে বলেন, নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশ গ্রহনের পর থেকে আমাদের উপরে নানান ধরনের নির্যাতন শুরু হয়ে গেল আর তারই ধারাবাহিকতায় ৪দিন ধরে আমি বাড়িতে আটকা আছি, আমাকে গৃহ বন্দী করে রখার মত অবস্থা করেছে। শুধু তাই নয় আমার কোন নির্বাচনি এজেন্টদের কোথাও যাইতে দেয়া হয়নি, গতকাল থেকে আমার এজেন্ট থেকে পদ উড্ড করতে বাধ্য করা, তাদের কাছ থেকে কাগজ পত্র ও এজেন্টশীটের কাগজ পত্র ছিনিয়ে নিয়েছে।
আজ সকালে ভোট গ্রহন শুরু হওয়ার পরে আধাঘন্টা সুষ্ঠভাবে ভোট গ্রহন চলছিলো, আর এরইমধ্যে ১০% ভোট কাষ্ট হয়েছিলো যা শুনে আমরা বেশ আনন্দিত ছিলাম যে ভোট নিরপেক্ষ হবে। সিভিল প্রশাসনে যারা কর্তব্যরত ছিলেন তারা আপ্রান চেষ্টা করেছেন যে, আমাদের একটা সুষ্ঠ নির্বাচন উপহার দিবেন কিন্তু তাদের জনবল ও অন্যান্ন জিনিসের প্রতুল হওয়ার কারনে আমাদের বিরোধী দলীয় প্রার্থী খান আরিফুর রহমানের যে সন্ত্রাস বাহিনী রয়েছে তাদের সাথে মুখোমুখী হওয়ার জন্য যে ধরনের সরঞ্জাম বা জনবল দরকার আমার মনে হয় আমাদের প্রশাসনের সে পরিমান জনবল ছিলো না যার জন্য তাদের ইচ্ছা থাকা সত্যেও সেভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারেনি। যার ফলে আমি আমার জনগন ও কর্মীদের বাচানো অর্থাৎ সহিংস কোন ঘটনার মাধ্যমে যাতে কোন ক্ষতি না হয়, যাতে আমরা সবাই নিরাপদে থাকতে পারি এবং এই প্রহসনের ইলেকশন যেটা লোক দেখানো, যেটা শুধুই ভোট ডাকাতি নয় যেটাকে একদম সম্পূর্ন লুট বলে।
খান আরিফুর রহমানের লুটতরাজ বাহিনীর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে তারা প্রত্যেকটা সেন্টারে ঢুকে আমাদের কর্মীদেরকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিল কিন্তু যখন ম্যাজিষ্ট্রেট আসলো তারা ভিতরে গেল আবার ম্যাজিষ্ট্রেট চলে যাওয়ার পরই আমার কর্মীদের ধাক্কা দিয়ে বের করে দিল এভাবে ৪/৫ বার করেছে। ম্যাজিষ্ট্রেটকে কতবার বলা যায় আর তারা কি সেন্টারে দাড়িয়ে থেকে পাহাড়া দিবে । আমাদের ৭৭টি সেন্টার আর এই সেন্টারগুলোর দায়িত্বে রয়েছে ৫জন ম্যাজিষ্ট্রেট আর স্ট্রাইকিং ফোর্স রয়েছে ১২টি তারা একদিকে গেলে অন্যদিক থেকে শুরু করে দেয় তাই ভাবলাম আমাদেও এখানে প্রচুর রক্তা-রক্তি কান্ড ঘটেযাবে। এরপওে আরো কি আছে সামনে জানিনা আমি আশা কওে ছিলাম সেভাবে যেহেতু হয়নাই নির্বাচনে লেবেল প্লেয়িং ফি তো দুরের কথা এটাকে একটা ছোটখাটো যুদ্ধ ক্ষেত্র বলা যায়। এই পরিস্থিতিতে আমি সাধারন মানুষের রক্ত বাচানোর জন্য এই প্রহশন মূলক নির্বাচনকে বয়কট করছি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঝালকাঠি সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে সতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচন বয়কট !

আপডেট সময় : ১০:৪৮:০২ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০১৯

রির্পোট : ঝালকাঠি প্রতিনিধি
৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে আজ ২৪ মার্চ রবিবার ঝালকাঠিতে সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ রাজ্জাক আলী সেলিমের নির্বাচন বয়কট। আনারস প্রতীকে সৈয়দ রাজ্জাক আলী সেলিম সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় নির্বাচন করলেও আজ ভোট গ্রহনের দিন দুপুর ১টায় কির্তীপাশা ইউনিয়নের ভাউলকান্দা গ্রামের নিজ বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন বয়কটের ঘোষনা দেন।
এ সময় তিনি তার বক্তব্যে বলেন, নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশ গ্রহনের পর থেকে আমাদের উপরে নানান ধরনের নির্যাতন শুরু হয়ে গেল আর তারই ধারাবাহিকতায় ৪দিন ধরে আমি বাড়িতে আটকা আছি, আমাকে গৃহ বন্দী করে রখার মত অবস্থা করেছে। শুধু তাই নয় আমার কোন নির্বাচনি এজেন্টদের কোথাও যাইতে দেয়া হয়নি, গতকাল থেকে আমার এজেন্ট থেকে পদ উড্ড করতে বাধ্য করা, তাদের কাছ থেকে কাগজ পত্র ও এজেন্টশীটের কাগজ পত্র ছিনিয়ে নিয়েছে।
আজ সকালে ভোট গ্রহন শুরু হওয়ার পরে আধাঘন্টা সুষ্ঠভাবে ভোট গ্রহন চলছিলো, আর এরইমধ্যে ১০% ভোট কাষ্ট হয়েছিলো যা শুনে আমরা বেশ আনন্দিত ছিলাম যে ভোট নিরপেক্ষ হবে। সিভিল প্রশাসনে যারা কর্তব্যরত ছিলেন তারা আপ্রান চেষ্টা করেছেন যে, আমাদের একটা সুষ্ঠ নির্বাচন উপহার দিবেন কিন্তু তাদের জনবল ও অন্যান্ন জিনিসের প্রতুল হওয়ার কারনে আমাদের বিরোধী দলীয় প্রার্থী খান আরিফুর রহমানের যে সন্ত্রাস বাহিনী রয়েছে তাদের সাথে মুখোমুখী হওয়ার জন্য যে ধরনের সরঞ্জাম বা জনবল দরকার আমার মনে হয় আমাদের প্রশাসনের সে পরিমান জনবল ছিলো না যার জন্য তাদের ইচ্ছা থাকা সত্যেও সেভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারেনি। যার ফলে আমি আমার জনগন ও কর্মীদের বাচানো অর্থাৎ সহিংস কোন ঘটনার মাধ্যমে যাতে কোন ক্ষতি না হয়, যাতে আমরা সবাই নিরাপদে থাকতে পারি এবং এই প্রহসনের ইলেকশন যেটা লোক দেখানো, যেটা শুধুই ভোট ডাকাতি নয় যেটাকে একদম সম্পূর্ন লুট বলে।
খান আরিফুর রহমানের লুটতরাজ বাহিনীর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে তারা প্রত্যেকটা সেন্টারে ঢুকে আমাদের কর্মীদেরকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিল কিন্তু যখন ম্যাজিষ্ট্রেট আসলো তারা ভিতরে গেল আবার ম্যাজিষ্ট্রেট চলে যাওয়ার পরই আমার কর্মীদের ধাক্কা দিয়ে বের করে দিল এভাবে ৪/৫ বার করেছে। ম্যাজিষ্ট্রেটকে কতবার বলা যায় আর তারা কি সেন্টারে দাড়িয়ে থেকে পাহাড়া দিবে । আমাদের ৭৭টি সেন্টার আর এই সেন্টারগুলোর দায়িত্বে রয়েছে ৫জন ম্যাজিষ্ট্রেট আর স্ট্রাইকিং ফোর্স রয়েছে ১২টি তারা একদিকে গেলে অন্যদিক থেকে শুরু করে দেয় তাই ভাবলাম আমাদেও এখানে প্রচুর রক্তা-রক্তি কান্ড ঘটেযাবে। এরপওে আরো কি আছে সামনে জানিনা আমি আশা কওে ছিলাম সেভাবে যেহেতু হয়নাই নির্বাচনে লেবেল প্লেয়িং ফি তো দুরের কথা এটাকে একটা ছোটখাটো যুদ্ধ ক্ষেত্র বলা যায়। এই পরিস্থিতিতে আমি সাধারন মানুষের রক্ত বাচানোর জন্য এই প্রহশন মূলক নির্বাচনকে বয়কট করছি।