শিরোনাম :
Logo আসছে সিফাত নুসরাতের নতুন বই “অগ্নিকন্যা” Logo সনদ ইস্যুসহ দুই দফা দাবিতে ইবি উপাচার্যকে ছাত্রদলের স্মারকলিপি Logo ‘নুরুল হুদার সঙ্গে মব জাস্টিসে দলের কেউ জড়ি‌ত থাকলে ব্যবস্থা নেবে বিএনপি’ Logo জুবাইদা রহমান ভোটার হচ্ছেন, তথ্য সংগ্রহ করেছে ইসি Logo জুলাই বিপ্লবে স্কাউট সদস্যের আত্মাহুতি, এমন নজির বিশ্বে আর নেই: প্রধান উপদেষ্টা Logo সাবেক সিইসিসহ আ. লীগের ৮ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানালো ডিএমপি Logo মব সৃষ্টিতে পুলিশের ভুল থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo কচুয়ায় নিন্দপুর মহীউদ্দীন খান আলমগীর হাই স্কুল এন্ড কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান Logo রাবিতে ঐতিহাসিক পলাশী দিবস পালন Logo শেরপুর সরকারি কলেজে এইচএসসি ২০২৫ পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

লক্ষ্মীপুরে রাক্ষুসে মেঘনার দেড় বছরে আটবার ধস! আতঙ্কিত গ্রামবাসী     

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১০:৫৩:১৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৮
  • ৭৭২ বার পড়া হয়েছে
মু.ওয়াছীঊদ্দিন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ-  লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধে আবারও ধস দেখা দিয়েছে। শুষ্ক মৌসুমেও বাঁধে ধস দেখা দেওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়।
সোমবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত তীর রক্ষা বাঁধের প্রায় ১০০ মিটারে বাঁধে ধস নামে। এর আগে শনিবার (২৫ নভেম্বর) রাত থেকে ধস দেখা দেয়। গত দেড় বছরে ওই বাঁধে অন্তত ৮বার ধস নেমেছে।
দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু না হওয়ায় বাঁধের দুই পাশের এলাকায় অব্যাহতভাবে ভাঙছে। আশপাশের এলাকায় ভাঙনের কারণে বাঁধ ধসে পড়েছে।
অনিয়মের মধ্য দিয়ে নিন্মমানের কাজ করায় বার-বার বাঁধে ধস নামছে বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ।
কমলনগর রক্ষায় আরো ৮ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের দাবি তাদের।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রকল্প ইনচার্জ মো. আফছার বলেন, ধস ঠেকাতে জিও ব্যাগ (বালু ভর্তি বিশেষ ব্যাগ) ডাম্পিং করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মূসা বলেন, পানি কমতে শুরু করায় নদীর ভাঙন বেড়েছে। এর প্রভাব তীর রক্ষা বাঁধেও পড়েছে।
বাঁধ ধসের পরপরই সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। কতৃপক্ষকে জানানোর পর কুমিল্লা অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী বাবুল চন্দ্র শীল এসে পরির্দশন করেছেন। এখানে ভাঙন প্রতিরোধে এক কিলোমিটার বাঁধ যথেষ্ট নয়। আরো সাড়ে ১৫ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) পাঠানো হয়েছে। আগামী মাসের মধ্যে এটি অনুমোদন হবে বলে প্রত্যাশা করছি।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের জন্য ১৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। বরাদ্দকৃত টাকায় কমলনগরে এক কিলোমিটার, রামগতির আলেকজান্ডারে সাড়ে তিন কিলোমিটার ও রামগতিরহাট মাছঘাট এলাকায় এক কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ হওয়ার কথা। ২০১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ১৯ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন আলেকজান্ডার এলাকায় ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করে সাড়ে তিন কিলোমিটার সফলভাবে বাস্তবায়ন করে। এদিকে ওই বরাদ্দের ৪৮ কোটি টাকায় কমলনগরে এক কিলোমিটার কাজ পায় নারায়নগঞ্জ ডকইয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিঃ। অর্থ বরাদ্দের দুই বছর পর ২০১৬ সালের শুরুর দিকে প্রতিষ্ঠানটি ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংকে দিয়ে কাজ শুরু করে। ওই বছর নিম্মমানের বালু ও জিও ব্যাগ দিয়ে কাজ শুরু করায় স্থানীয়দের চাপের মুখে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। অনিয়মের প্রতিবাদে ও যথাযথভাবে কাজ করার দাবীতে ওই সময় মানববন্ধন করে স্থানীয় এলাকাবাসী।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আসছে সিফাত নুসরাতের নতুন বই “অগ্নিকন্যা”

লক্ষ্মীপুরে রাক্ষুসে মেঘনার দেড় বছরে আটবার ধস! আতঙ্কিত গ্রামবাসী     

আপডেট সময় : ১০:৫৩:১৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৮
মু.ওয়াছীঊদ্দিন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ-  লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধে আবারও ধস দেখা দিয়েছে। শুষ্ক মৌসুমেও বাঁধে ধস দেখা দেওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়।
সোমবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত তীর রক্ষা বাঁধের প্রায় ১০০ মিটারে বাঁধে ধস নামে। এর আগে শনিবার (২৫ নভেম্বর) রাত থেকে ধস দেখা দেয়। গত দেড় বছরে ওই বাঁধে অন্তত ৮বার ধস নেমেছে।
দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু না হওয়ায় বাঁধের দুই পাশের এলাকায় অব্যাহতভাবে ভাঙছে। আশপাশের এলাকায় ভাঙনের কারণে বাঁধ ধসে পড়েছে।
অনিয়মের মধ্য দিয়ে নিন্মমানের কাজ করায় বার-বার বাঁধে ধস নামছে বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ।
কমলনগর রক্ষায় আরো ৮ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের দাবি তাদের।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রকল্প ইনচার্জ মো. আফছার বলেন, ধস ঠেকাতে জিও ব্যাগ (বালু ভর্তি বিশেষ ব্যাগ) ডাম্পিং করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মূসা বলেন, পানি কমতে শুরু করায় নদীর ভাঙন বেড়েছে। এর প্রভাব তীর রক্ষা বাঁধেও পড়েছে।
বাঁধ ধসের পরপরই সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। কতৃপক্ষকে জানানোর পর কুমিল্লা অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী বাবুল চন্দ্র শীল এসে পরির্দশন করেছেন। এখানে ভাঙন প্রতিরোধে এক কিলোমিটার বাঁধ যথেষ্ট নয়। আরো সাড়ে ১৫ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) পাঠানো হয়েছে। আগামী মাসের মধ্যে এটি অনুমোদন হবে বলে প্রত্যাশা করছি।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের জন্য ১৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। বরাদ্দকৃত টাকায় কমলনগরে এক কিলোমিটার, রামগতির আলেকজান্ডারে সাড়ে তিন কিলোমিটার ও রামগতিরহাট মাছঘাট এলাকায় এক কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ হওয়ার কথা। ২০১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ১৯ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন আলেকজান্ডার এলাকায় ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করে সাড়ে তিন কিলোমিটার সফলভাবে বাস্তবায়ন করে। এদিকে ওই বরাদ্দের ৪৮ কোটি টাকায় কমলনগরে এক কিলোমিটার কাজ পায় নারায়নগঞ্জ ডকইয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিঃ। অর্থ বরাদ্দের দুই বছর পর ২০১৬ সালের শুরুর দিকে প্রতিষ্ঠানটি ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংকে দিয়ে কাজ শুরু করে। ওই বছর নিম্মমানের বালু ও জিও ব্যাগ দিয়ে কাজ শুরু করায় স্থানীয়দের চাপের মুখে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। অনিয়মের প্রতিবাদে ও যথাযথভাবে কাজ করার দাবীতে ওই সময় মানববন্ধন করে স্থানীয় এলাকাবাসী।