শিরোনাম :
Logo গলায় ফাঁস দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্নহত্যা Logo শেরপুরের উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য আন্দোলনে যাচ্ছে শেরপুর প্রেসক্লাব Logo ইবির সেন্ট্রাল ল্যাবে অতিরিক্ত ফি নির্ধারণ, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ প্রকাশ Logo “আত্মহত্যা” শুধু একটি শর্ট ফিল্ম নয় একটি বার্তাও Logo বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি’র নির্বাচন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের চাঁদপুর গণপূর্ত বিভাগে মতবিনিময় Logo বেরোবিতে চালু হচ্ছে রোল ও নামহীন খাতা মূল্যায়ন Logo ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র Logo ছুটির তিন দিনে ৩ দলের সমাবেশ Logo ফ্যাসিস্ট সমর্থকদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ না করে প্রশাসক নিয়োগের পরামর্শ রিজভীর Logo ‘বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় না এলে ভাত খাব না’-বলা অসুস্থ নিজামের পাশে তারেক রহমান

সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে ঝগড়া করুন স্ত্রী’র সঙ্গে !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:০৬:১৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১২ জুন ২০১৭
  • ৭৪০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ঝগড়াঝাটি ছাড়াই সুখে শান্তিতে দিনের পর দিন কাটিয়ে দেওয়াকে অনেকেই আদর্শ সম্পর্ক বলে মেনে থাকেন। যারা এরকম ভাবেন তারা চরম ভুল করছেন। কারণ এরকম সম্পর্ক কিন্তু খুব বেশীদিন টেকে না। অনেক যুগল আছেন যারা ঝগড়া এড়িয়ে চলতে চান। তাদেরকে বলে রাখি ঝগড়া এড়িয়ে চলে বরং নিজেদের সম্পর্কের জন্য বিপদ ডেকে আনছেন। এভাবে চললে সম্পর্ক টিকে থাকলেও একে অপরের সঙ্গে কেউ কোনোদিন সুখী হতে পারবে না।

সুতরাং বলাই যায়, একটা সম্পর্ক টিকে থাকার জন্যে নিয়ম ঝগড়া হওয়াটা খুব দরকার। তাই অন্তত একবার হলেও এ কারণেই ঝগড়া করুন। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে আসুন দেখে নেওয়া যাক যে পাঁচ কারণে সম্পর্কের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক অত্যন্ত জরুরি-

১। যদি কোনো ক্ষোভ না থাকে তাহলে ঝগড়া সম্পর্ক স্থায়ী করে-

কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গী স্পষ্টভাবে প্রকাশের জন্য আমরা সাধারণত তর্ক করি। এটার কারণে শুধুমাত্র নিজেদের মধ্যে চিন্তাভাবনা টিকিয়ে রাখি না, নিজেদের ভিন্ন মনোভাবও অপরের কাছে স্পষ্ট করি। এতে নিজেদের প্রতি ক্ষোভ থাকে না এবং একে অপরকে বুঝতে সুবিধা হয়। অধিকাংশ প্রেমিক যুগল একে অপরের কাছে ক্ষমা চায় এবং আরো বেশি ঘনিষ্ঠ হয়। যদি ঝগড়া যুক্তিসঙ্গত হয় তবে এতে ঘনিষ্ঠতা আরো বাড়ে।

২। ঝগড়ার কারণে সম্পর্কের গভীরতা বাড়ে-

পারস্পরিক সম্মান বজায় রেখে যুক্তিসঙ্গত তর্ক করলে সম্পর্কের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়। এতে আমরা ভালোমতো বুঝতে পারি কোন আচরণ সঙ্গীর অপছন্দ হচ্ছে। এ দিকগুলো জানলে আপনি আপনার সঙ্গীর সব দিক সম্পর্কে স্পষ্ট হবেন এবং এতে পরস্পরের প্রতি গ্রহণযোগ্যতাও বাড়বে।

৩। ঝগড়ায় বিশ্বাস বাড়ে-

পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের চিন্তাধারা একে অপরের কাছে খোলাখুলি বললে বিশ্বাস বাড়ে। অধিকাংশ সময় যুগলরা ঝগড়া এড়িয়ে চলেন। কিন্তু ঝগড়া ছাড়া সম্পর্ক আসলে পরস্পরের প্রতি গোপনীয়তায় ভরা থাকে। সুস্থ বিরোধে জুটিরা একসময় বুঝতে পারে সঙ্গীর কোন দিকটা বুঝতে তার সমস্যা হয়েছে।

৪। আপনি ভালো অনুভব করেন-

ঝগড়ার সময় নিজের মতামত জানালে মন হালকা হয়। কিন্তু খেয়াল রাখবেন মতামত জানানোর ক্ষেত্রে রুক্ষ্ণ হওয়া যাবে না। সম্পর্কে উত্থান পতন থাকবেই। একে অপরের গুরুত্ব বুঝতে সুস্থ বিতর্ক প্রয়োজন। প্রত্যেকেরই মতের ভিন্নতা রয়েছে। কিন্তু ঘুমানোর আগেই তা সমাধান করা প্রয়োজন।

৫। আপনার চরিত্রকে উন্নত করে-

বিরোধের কারণে আপনার ধৈর্য, সঙ্গীর প্রতি যত্ন এবং ভালোবাসা বাড়ায়। আরেকজনের ভুলের সঙ্গে মানিয়ে নিতেও সাহায্য করে। কিন্তু খেয়াল রাখবেন এ ঝগড়া নিয়মিত যেন না হয়। মাঝে মাঝে ঝগড়া করা ভালো।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গলায় ফাঁস দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্নহত্যা

সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে ঝগড়া করুন স্ত্রী’র সঙ্গে !

আপডেট সময় : ০১:০৬:১৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১২ জুন ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ঝগড়াঝাটি ছাড়াই সুখে শান্তিতে দিনের পর দিন কাটিয়ে দেওয়াকে অনেকেই আদর্শ সম্পর্ক বলে মেনে থাকেন। যারা এরকম ভাবেন তারা চরম ভুল করছেন। কারণ এরকম সম্পর্ক কিন্তু খুব বেশীদিন টেকে না। অনেক যুগল আছেন যারা ঝগড়া এড়িয়ে চলতে চান। তাদেরকে বলে রাখি ঝগড়া এড়িয়ে চলে বরং নিজেদের সম্পর্কের জন্য বিপদ ডেকে আনছেন। এভাবে চললে সম্পর্ক টিকে থাকলেও একে অপরের সঙ্গে কেউ কোনোদিন সুখী হতে পারবে না।

সুতরাং বলাই যায়, একটা সম্পর্ক টিকে থাকার জন্যে নিয়ম ঝগড়া হওয়াটা খুব দরকার। তাই অন্তত একবার হলেও এ কারণেই ঝগড়া করুন। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে আসুন দেখে নেওয়া যাক যে পাঁচ কারণে সম্পর্কের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক অত্যন্ত জরুরি-

১। যদি কোনো ক্ষোভ না থাকে তাহলে ঝগড়া সম্পর্ক স্থায়ী করে-

কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গী স্পষ্টভাবে প্রকাশের জন্য আমরা সাধারণত তর্ক করি। এটার কারণে শুধুমাত্র নিজেদের মধ্যে চিন্তাভাবনা টিকিয়ে রাখি না, নিজেদের ভিন্ন মনোভাবও অপরের কাছে স্পষ্ট করি। এতে নিজেদের প্রতি ক্ষোভ থাকে না এবং একে অপরকে বুঝতে সুবিধা হয়। অধিকাংশ প্রেমিক যুগল একে অপরের কাছে ক্ষমা চায় এবং আরো বেশি ঘনিষ্ঠ হয়। যদি ঝগড়া যুক্তিসঙ্গত হয় তবে এতে ঘনিষ্ঠতা আরো বাড়ে।

২। ঝগড়ার কারণে সম্পর্কের গভীরতা বাড়ে-

পারস্পরিক সম্মান বজায় রেখে যুক্তিসঙ্গত তর্ক করলে সম্পর্কের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়। এতে আমরা ভালোমতো বুঝতে পারি কোন আচরণ সঙ্গীর অপছন্দ হচ্ছে। এ দিকগুলো জানলে আপনি আপনার সঙ্গীর সব দিক সম্পর্কে স্পষ্ট হবেন এবং এতে পরস্পরের প্রতি গ্রহণযোগ্যতাও বাড়বে।

৩। ঝগড়ায় বিশ্বাস বাড়ে-

পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের চিন্তাধারা একে অপরের কাছে খোলাখুলি বললে বিশ্বাস বাড়ে। অধিকাংশ সময় যুগলরা ঝগড়া এড়িয়ে চলেন। কিন্তু ঝগড়া ছাড়া সম্পর্ক আসলে পরস্পরের প্রতি গোপনীয়তায় ভরা থাকে। সুস্থ বিরোধে জুটিরা একসময় বুঝতে পারে সঙ্গীর কোন দিকটা বুঝতে তার সমস্যা হয়েছে।

৪। আপনি ভালো অনুভব করেন-

ঝগড়ার সময় নিজের মতামত জানালে মন হালকা হয়। কিন্তু খেয়াল রাখবেন মতামত জানানোর ক্ষেত্রে রুক্ষ্ণ হওয়া যাবে না। সম্পর্কে উত্থান পতন থাকবেই। একে অপরের গুরুত্ব বুঝতে সুস্থ বিতর্ক প্রয়োজন। প্রত্যেকেরই মতের ভিন্নতা রয়েছে। কিন্তু ঘুমানোর আগেই তা সমাধান করা প্রয়োজন।

৫। আপনার চরিত্রকে উন্নত করে-

বিরোধের কারণে আপনার ধৈর্য, সঙ্গীর প্রতি যত্ন এবং ভালোবাসা বাড়ায়। আরেকজনের ভুলের সঙ্গে মানিয়ে নিতেও সাহায্য করে। কিন্তু খেয়াল রাখবেন এ ঝগড়া নিয়মিত যেন না হয়। মাঝে মাঝে ঝগড়া করা ভালো।