বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলায় শক্তিশালী বিরোধী প্যানেল জরুরি !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:০৫:৫৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২২ মে ২০১৭
  • ৭৫২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ৩৫ জন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সোমবার সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে এ নির্বাচন।

নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপি-জামায়াতসমর্থিত সাদা দলের আহ্বায়ক আকতার হোসেন খান বলেন, নির্বাচন ‍সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। আমাদের দাবিও এমন একটি সুশৃঙ্খল নির্বাচন। নির্বাচনে আমাদের ৩৫ জন প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা ভালো কিছু আশা করছি।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনা থেকে ‍শুরু করে সব ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক চর্চার প্রয়োজন রয়েছে। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য একটি শক্তিশালী বিরোধী দল প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয় সুষ্ঠু ও ভারসাম্যপূর্ণভাবে পরিচালনার জন্য একটি শক্তিশালী বিরোধী প্যানেল থাকা জরুরি। আমরা উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকেও এমনটা দাবি করেছি।

আমরা শিক্ষকদের কাছে গিয়েছি। তারা এসেছেন, সুশৃঙ্খলভাবে তাদের অধিকার প্রয়োগ করছেন। প্রতিনিধি নির্বাচনে শিক্ষকরাই তাদের মত প্রকাশ করবেন। আমরা ইতিবাচক কিছুই আশা করছি।
নীল দলের কোন্দল নিয়ে তিনি বলেন, নীল দলে অভ্যন্তরীণ কোন্দল হলেও আদর্শিক জায়গায় তারা এক। তাদের কোন্দলে আমাদের তেমন কোনো ফল আনবে বলে মনে করি না।

দেশের দ্বিতীয় সংসদ খ্যাত ঢাবি সিনেট প্রতিনিধি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বামসমর্থিত শিক্ষকদের নীল দল ৩৪ সদস্যের প্যানেল নিয়ে এবং বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত শিক্ষকদের সাদা দল ৩৫ জনের পূর্ণ প্যানেলে নির্বাচন করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের প্রতিনিধি হিসেবে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দীন নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন।

এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মোট তিনটি প্যানেল জমা পড়েছিল। এর মধ্যে সরকার সমর্থক নীল দলের দুটি প্যানেলের একটি বাতিল করেন নির্বাচন কমিশনার।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলায় শক্তিশালী বিরোধী প্যানেল জরুরি !

আপডেট সময় : ০২:০৫:৫৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২২ মে ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ৩৫ জন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সোমবার সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে এ নির্বাচন।

নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপি-জামায়াতসমর্থিত সাদা দলের আহ্বায়ক আকতার হোসেন খান বলেন, নির্বাচন ‍সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। আমাদের দাবিও এমন একটি সুশৃঙ্খল নির্বাচন। নির্বাচনে আমাদের ৩৫ জন প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা ভালো কিছু আশা করছি।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনা থেকে ‍শুরু করে সব ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক চর্চার প্রয়োজন রয়েছে। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য একটি শক্তিশালী বিরোধী দল প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয় সুষ্ঠু ও ভারসাম্যপূর্ণভাবে পরিচালনার জন্য একটি শক্তিশালী বিরোধী প্যানেল থাকা জরুরি। আমরা উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকেও এমনটা দাবি করেছি।

আমরা শিক্ষকদের কাছে গিয়েছি। তারা এসেছেন, সুশৃঙ্খলভাবে তাদের অধিকার প্রয়োগ করছেন। প্রতিনিধি নির্বাচনে শিক্ষকরাই তাদের মত প্রকাশ করবেন। আমরা ইতিবাচক কিছুই আশা করছি।
নীল দলের কোন্দল নিয়ে তিনি বলেন, নীল দলে অভ্যন্তরীণ কোন্দল হলেও আদর্শিক জায়গায় তারা এক। তাদের কোন্দলে আমাদের তেমন কোনো ফল আনবে বলে মনে করি না।

দেশের দ্বিতীয় সংসদ খ্যাত ঢাবি সিনেট প্রতিনিধি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বামসমর্থিত শিক্ষকদের নীল দল ৩৪ সদস্যের প্যানেল নিয়ে এবং বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত শিক্ষকদের সাদা দল ৩৫ জনের পূর্ণ প্যানেলে নির্বাচন করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের প্রতিনিধি হিসেবে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দীন নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন।

এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মোট তিনটি প্যানেল জমা পড়েছিল। এর মধ্যে সরকার সমর্থক নীল দলের দুটি প্যানেলের একটি বাতিল করেন নির্বাচন কমিশনার।