স্পেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ তাপপ্রবাহের মধ্যে তাপদাহে দুজন মারা গেছে।
দেশটির দমকল কর্মীরা জানিয়েছে, তারা দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে দুটি মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছেন।
বার্সেলোনা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে ইউরোপ জুড়ে চলমান তাপপ্রবাহ উচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগটির কারণে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তাপপ্রবাহের কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্পেনের কাতালোনিয়া অঞ্চলের কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার লেরিদা প্রদেশে প্রায় একই সঙ্গে দুটি স্থানে ব্যাপকভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় প্রায় ১৪ হাজার মানুষকে তাদের বাড়িতে আটকা পড়েছে।
কসকো শহরের কাছে একটি অগ্নিকাণ্ডে ‘অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা দুজনকে মৃত অবস্থায় পেয়েছেন’ বলে অগ্নিনির্বাপক ও জরুরি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ স্পষ্ট নয়, তবে পরিষেবা জানিয়েছে যে, সাম্প্রতিক তাপ, শুষ্ক পরিস্থিতি ও ঝড়ের কারণে সৃষ্ট তীব্র বাতাস আগুনের তীব্রতা বাড়িয়েছে।
কাতালোনিয়ার আঞ্চলিক প্রেসিডেন্ট সালভাদোর ইলা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ জানান, ‘আগ্নিকাণ্ডের ফলে দুই ব্যক্তির মৃত্যুর খবর শুনে তিনি হতবাক’ হয়ে গিয়েছেন।
কয়েক ঘন্টা আগে, অঞ্চলটির পুলিশ দুই বছরের একটি ছেলের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল। শিশুটি কয়েক ঘন্টা ধরে রোদে পার্ক করা একটি গাড়িতে ছিল।
স্পেন তীব্র তাপ প্রবাহের মধ্যে রয়েছে। অনেক জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ছাড়িয়ে গেছে এবং জুন মাসের জন্য বেশ কয়েকটি তাপ রেকর্ড স্থাপন করা হয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কর্ডোবায় একজন ও বার্সেলোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। উভয়ই শনিবার রাস্তার কাজ করার সময় তাপদাহের শিকার হয়েছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপ প্রবাহ ও ঝড়ের মতো চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলো আরও তীব্র হয়ে উঠছে।
বিগত তাপ প্রবাহের সময় ইউরোপে কয়েক হাজার মানুষ মারা গেছে। যার ফলে কর্তৃপক্ষ বৃদ্ধ, তরুণ ও অসুস্থ মানুষের জন্য সতর্কতা জারি করেছে।
বিশেষজ্ঞরাও এই তাপ প্রবাহকে ‘নীরব ঘাতক’ বলে অভিহিত করে তাদের জন্য সতর্কতা জারি করেছেন।