পুরো ইউক্রেন দখল করতে চান পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ইউক্রেনের পুরো ভূখণ্ড রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করতে চান। এরই মধ্যে ইউরোপ ও কানাডা ইউক্রেনকে আরও শক্তিশালী সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, এমন সময় যখন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সামরিক সহায়তা কার্যত বন্ধ রেখেছে।

ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে জানিয়েছেন, ‌এই বছর ইউরোপীয় দেশগুলো এবং কানাডা মিলে ইউক্রেনকে $৩৫ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।

তিনি আরও বলেন, গত বছর পুরো বছরে সহায়তা ছিল $৫০ বিলিয়ন। এ বছর অর্ধেক সময় পার হওয়ার আগেই এই অঙ্কে পৌঁছে গেছে, এমনকি অনেকে বলছেন এটি $৪০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে।

এই সপ্তাহে দ্য হেগ-এ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনে ব্যবহৃত প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

গত বুধবার (২৫ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, আমরা দেখব, কিছু ব্যবস্থা সরবরাহ করা যায় কি না, — তিনি ইউক্রেনে ইতিমধ্যে থাকা প্যাট্রিয়ট সিস্টেমের জন্য ইন্টারসেপ্টর মিসাইলের কথা বলছিলেন। তিনি আরও বলেন, এগুলো পাওয়া খুব কঠিন। আমাদেরও এগুলোর দরকার আছে এবং আমরা ইসরায়েলকেও সরবরাহ করছি।

এদিকে, রাশিয়া জানিয়ে দিয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হলে ইউক্রেনের মিত্রদের অবশ্যই দেশটিতে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে হবে।

শনিবার, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ আবারও এ শর্তের পুনরাবৃত্তি করেন। তিনি বলেন, যদি ইউক্রেনের দিকে অস্ত্রের প্রবাহ অব্যাহত থাকে, তাহলে যুদ্ধবিরতির কোনো সম্ভাবনা থাকবে না।

২০ জুন সেন্ট পিটার্সবার্গ অর্থনৈতিক ফোরামে পুতিন বলেন, আমি বহুবার বলেছি, রুশ ও ইউক্রেনীয় জনগণ এক জাতি। এই দৃষ্টিকোণ থেকে পুরো ইউক্রেনই আমাদের। তিনি আরও বলেন, যেখানে রুশ সেনারা পা রাখে, তা আমাদের।

জবাবে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রিই সিবিহা বলেন, যেখানে রুশ সেনা যায় সেখানেই তারা নিয়ে আসে মৃত্যু, ধ্বংস আর বিভীষিকা।

জেলেনস্কি টেলিগ্রামে এক পোস্টে বলেন, পুতিন এবার সম্পূর্ণ খোলামেলাভাবে বলেছেন তিনি শুধু ইউক্রেনই নয়, বেলারুশ, বাল্টিক রাষ্ট্র, মলদোভা, ককেশাস এবং কাজাখস্তানের দিকেও নজর দিয়েছেন।

জার্মানির সেনাবাহিনীর কৌশলগত প্রতিবেদনেও পুতিনের সম্প্রসারণবাদী মনোভাবকে অস্তিত্বগত হুমকি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পুরো ইউক্রেন দখল করতে চান পুতিন

আপডেট সময় : ০১:৩৭:২৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ইউক্রেনের পুরো ভূখণ্ড রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করতে চান। এরই মধ্যে ইউরোপ ও কানাডা ইউক্রেনকে আরও শক্তিশালী সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, এমন সময় যখন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সামরিক সহায়তা কার্যত বন্ধ রেখেছে।

ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে জানিয়েছেন, ‌এই বছর ইউরোপীয় দেশগুলো এবং কানাডা মিলে ইউক্রেনকে $৩৫ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।

তিনি আরও বলেন, গত বছর পুরো বছরে সহায়তা ছিল $৫০ বিলিয়ন। এ বছর অর্ধেক সময় পার হওয়ার আগেই এই অঙ্কে পৌঁছে গেছে, এমনকি অনেকে বলছেন এটি $৪০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে।

এই সপ্তাহে দ্য হেগ-এ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনে ব্যবহৃত প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

গত বুধবার (২৫ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, আমরা দেখব, কিছু ব্যবস্থা সরবরাহ করা যায় কি না, — তিনি ইউক্রেনে ইতিমধ্যে থাকা প্যাট্রিয়ট সিস্টেমের জন্য ইন্টারসেপ্টর মিসাইলের কথা বলছিলেন। তিনি আরও বলেন, এগুলো পাওয়া খুব কঠিন। আমাদেরও এগুলোর দরকার আছে এবং আমরা ইসরায়েলকেও সরবরাহ করছি।

এদিকে, রাশিয়া জানিয়ে দিয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হলে ইউক্রেনের মিত্রদের অবশ্যই দেশটিতে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে হবে।

শনিবার, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ আবারও এ শর্তের পুনরাবৃত্তি করেন। তিনি বলেন, যদি ইউক্রেনের দিকে অস্ত্রের প্রবাহ অব্যাহত থাকে, তাহলে যুদ্ধবিরতির কোনো সম্ভাবনা থাকবে না।

২০ জুন সেন্ট পিটার্সবার্গ অর্থনৈতিক ফোরামে পুতিন বলেন, আমি বহুবার বলেছি, রুশ ও ইউক্রেনীয় জনগণ এক জাতি। এই দৃষ্টিকোণ থেকে পুরো ইউক্রেনই আমাদের। তিনি আরও বলেন, যেখানে রুশ সেনারা পা রাখে, তা আমাদের।

জবাবে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রিই সিবিহা বলেন, যেখানে রুশ সেনা যায় সেখানেই তারা নিয়ে আসে মৃত্যু, ধ্বংস আর বিভীষিকা।

জেলেনস্কি টেলিগ্রামে এক পোস্টে বলেন, পুতিন এবার সম্পূর্ণ খোলামেলাভাবে বলেছেন তিনি শুধু ইউক্রেনই নয়, বেলারুশ, বাল্টিক রাষ্ট্র, মলদোভা, ককেশাস এবং কাজাখস্তানের দিকেও নজর দিয়েছেন।

জার্মানির সেনাবাহিনীর কৌশলগত প্রতিবেদনেও পুতিনের সম্প্রসারণবাদী মনোভাবকে অস্তিত্বগত হুমকি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।