রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইবিএ’র ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী মো. জসিম উদ্দীন (২৪) উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় পাল্টা অভিযোগ দিলেন রাবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) আহসান হাবিব।
গত বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে রাজশাহীর মতিহার থানায় সাধারণ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
অভিযোগের বাদী হলেন মো. আহসান হাবিব (২৯)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ সেশনের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি রাবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক (অব্যাহতিপ্রাপ্ত)। এদিকে বিবাদী হলেন মো. জসিম উদ্দীন (২৪)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ এর ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে মতিহার থানাধীন মেহেরচন্ডী পূর্ব পাড়া খন্দকার মসজিদের সামনে বিবাদীর সাথে দেখা হয় আমার। সে ইতিপূর্বে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের রাজনীতির সহিত জড়িত ছিলো এবং শাহ মখদুম হলে সিট বাণিজ্য, নিরীহ শিক্ষার্থীদের নির্যাতন এবং চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সহিত জড়িত ছিলো।
এসময় তার সাথে দেখা হলে তার গতিবিধী সন্দেহজনক হওয়ায় আমি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করি, সে এখনো নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাথে জড়িত কিনা? অতপর বিবাদীর কোনো ক্ষতি না করে এলাকার ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্থতায় ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু পরে বিশেষ এক কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় ২৫ জুন রাত আড়াইটায় উক্ত তুচ্ছ ঘটনাকে বড় বিষয় উল্লেখ করে চাঁদাবাজির কথা বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মানহানিকর কথা প্রচার করে।
কোনো রকম যাচাই বাছাই ও প্রাথমিক তথ্য প্রমান ছাড়াই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তা প্রচার করা হয়। যা আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার এর জন্য হুমকি স্বরুপ। আমি উক্ত অপপ্রচারের মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হয়ে সামাজিক ও মানুষিক ভাবে তীব্র যন্ত্রণা ভোগ করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদল নেতা আহসান হাবিব বলেন, জসিম নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিল এবং রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গালিবের দুর্ধর্ষ ক্যাডার হিসেবে পরিচিত ছিল। তৎকালীন সময়ে আইবিএ’র শিক্ষার্থীদের জন্য হল বরাদ্দ না থাকলে ছাত্রলীগের দাপটে অবৈধভাবে শাহ মখদুম হলে পলিটিক্যাল ব্লকে থাকতো। তাকে পেয়ে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ করি এছাড়া আর কিছু না।
কিন্তু এদিকে সে বিশেষ এক মহলের প্ররোচনায় ছাত্রদলকে হেয় করার উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপে মাত্র ১৫০০ টাকার বিষয় নিয়ে আমার চাঁদাবাজির কাল্পনিক পোস্ট করছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ বিষয়ে আইনের আশ্রয় চেয়ে আমি থানায় জিডি করেছি।
এ বিষয় জানতে বিবাদী জসিমের ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে মতিহার মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল মালেক বলেন, গতকাল আহসান হাবিব নামের এক ছাত্রদল নেতা থানায় এক শিক্ষার্থীর নামে জিডি করেন।