১০ দফা দাবিতে ইবি উপাচার্যকে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের স্মারকলিপি

oppo_1024

শিক্ষার্থীদের স্বার্থরক্ষায় ১০ দফা দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন। বুধবার (২৫ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা উপাচার্যের কাছে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম এবং ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাব্বিরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

স্মারকলিপিতে উল্লিখিত ১০টি দাবি হলো:
১. কোটার সংস্কার: ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধী কোটা ব্যতীত অন্যান্য অযৌক্তিক সব কোটা বাতিল করতে হবে।
২. সড়ক সংস্কার: কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের দ্রুত সংস্কারে সরকারের সঙ্গে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
৩. নারী শিক্ষার্থীদের নামাজের স্থান: প্রতিটি আবাসিক হল ও বিভাগে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নামাজের উপযুক্ত ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. সেশনজট নিরসন: মহামারি ও পূর্বের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের কারণে সৃষ্ট সেশনজট নিরসনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
৫. ভর্তি ফি হ্রাস: ভর্তি প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে এবং ভর্তি ফি কমাতে হবে।
৬. ইকসু আইন প্রণয়ন ও গঠন: ইকসু গঠনের জন্য আইন প্রণয়ন ও রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।
৭. বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা: প্রতিটি ভবনে পানি ফিল্টার স্থাপন এবং নষ্ট টিউবওয়েলগুলো মেরামত করতে হবে।
৮. সনদ উত্তোলন সহজীকরণ: পরীক্ষার কাগজপত্র উত্তোলনে ভোগান্তি বন্ধে একটি মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে।
৯. নারী স্বাস্থ্য সুরক্ষা: আবাসিক হলে হাইজিন সামগ্রী সহজলভ্য করতে এবং ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করতে হবে।
১০. চিকিৎসাকেন্দ্র উন্নয়ন: মানসম্পন্ন ওষুধ সরবরাহ, আধুনিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত ও একটি মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত বলেন, “এই ১০ দফা দাবি শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার, নিরাপত্তা এবং নৈতিক পরিবেশ রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা করছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত এসব বিষয়ে দায়িত্বশীল ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা গণতান্ত্রিক উপায়ে দাবির পক্ষে আন্দোলনে বাধ্য হবে।”

স্মারকলিপি গ্রহণ করে উপাচার্য ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শিক্ষার্থীবান্ধব। আমরা বিষয়গুলো পর্যালোচনা করেছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ইকসু বিষয়ে কিছু জটিলতা রয়েছে। কয়েকটি দাবি বাস্তবায়নের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে, বাকিগুলোও দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

১০ দফা দাবিতে ইবি উপাচার্যকে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের স্মারকলিপি

আপডেট সময় : ০৭:৩৭:৫৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

শিক্ষার্থীদের স্বার্থরক্ষায় ১০ দফা দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন। বুধবার (২৫ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা উপাচার্যের কাছে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম এবং ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাব্বিরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

স্মারকলিপিতে উল্লিখিত ১০টি দাবি হলো:
১. কোটার সংস্কার: ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধী কোটা ব্যতীত অন্যান্য অযৌক্তিক সব কোটা বাতিল করতে হবে।
২. সড়ক সংস্কার: কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের দ্রুত সংস্কারে সরকারের সঙ্গে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
৩. নারী শিক্ষার্থীদের নামাজের স্থান: প্রতিটি আবাসিক হল ও বিভাগে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নামাজের উপযুক্ত ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. সেশনজট নিরসন: মহামারি ও পূর্বের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের কারণে সৃষ্ট সেশনজট নিরসনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
৫. ভর্তি ফি হ্রাস: ভর্তি প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে এবং ভর্তি ফি কমাতে হবে।
৬. ইকসু আইন প্রণয়ন ও গঠন: ইকসু গঠনের জন্য আইন প্রণয়ন ও রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।
৭. বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা: প্রতিটি ভবনে পানি ফিল্টার স্থাপন এবং নষ্ট টিউবওয়েলগুলো মেরামত করতে হবে।
৮. সনদ উত্তোলন সহজীকরণ: পরীক্ষার কাগজপত্র উত্তোলনে ভোগান্তি বন্ধে একটি মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে।
৯. নারী স্বাস্থ্য সুরক্ষা: আবাসিক হলে হাইজিন সামগ্রী সহজলভ্য করতে এবং ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করতে হবে।
১০. চিকিৎসাকেন্দ্র উন্নয়ন: মানসম্পন্ন ওষুধ সরবরাহ, আধুনিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত ও একটি মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত বলেন, “এই ১০ দফা দাবি শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার, নিরাপত্তা এবং নৈতিক পরিবেশ রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা করছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত এসব বিষয়ে দায়িত্বশীল ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা গণতান্ত্রিক উপায়ে দাবির পক্ষে আন্দোলনে বাধ্য হবে।”

স্মারকলিপি গ্রহণ করে উপাচার্য ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শিক্ষার্থীবান্ধব। আমরা বিষয়গুলো পর্যালোচনা করেছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ইকসু বিষয়ে কিছু জটিলতা রয়েছে। কয়েকটি দাবি বাস্তবায়নের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে, বাকিগুলোও দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”