ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক আগ্রাসন আঞ্চলিক স্তরে একটি “বিপজ্জনক ঘটনা” বলে উল্লেখ করেছেন ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতা সাইয়্যেদ আব্দুল মালিক আল-হুথি। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, জায়নিস্ট শাসন যখন ইরানে হামলা চালায়, তখন ইরান তার মতাদর্শ অনুযায়ী পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি চালানোর পক্ষপাতী ছিল না এবং তা কার্যত অনুসরণও করেনি।
তিনি বলেন, ‘ইসলামি প্রজাতন্ত্রকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে ফিলিস্তিনি সংগ্রামের প্রতি তাদের সমর্থন ও স্বাধীনতাবাদী অবস্থানের কারণে, যা পশ্চিমা শক্তিগুলো সহ্য করতে চায় না। “তারা একটি স্বাধীন ইরান চায় না।”
‘ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক ইস্যুকে পশ্চিমা বিশ্ব একটি অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশের পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে এবং অতীতে তারা তা ব্যবহারও করেছে, মন্তব্য করেন হুথি।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “যদি কাউকে পারমাণবিক অস্ত্র রাখায় নিষিদ্ধ করা উচিত হয়, তবে তা হলো অপরাধী ইসরায়েলি শত্রু, যারা বছরের পর বছর আন্তর্জাতিক শাস্তি থেকে বেঁচে যাচ্ছে।”
হুথি আরও বলেন, ইরান মজলুম মুসলিম জাতিসমূহের পক্ষ অবলম্বনের কারণেই শত্রুদের দৃষ্টিতে সমস্যা হয়ে উঠেছে, এবং এটিই ইরানের প্রতি বিদ্বেষের “সবচেয়ে বড় কারণগুলোর একটি।”
তিনি বলেন, ইরান একটি স্বাধীন ও মুক্ত দেশ, যারা ইসলামি আদর্শকে তাদের স্বাধীনতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং কখনো পশ্চিমা শক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করেনি।
তিনি বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক হামলা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি কেলেঙ্কারির নজির এবং এটি প্রমাণ করে তারা “কৌশলগত প্রতারণা” চালাচ্ছে।
হুথি জোর দিয়ে বলেন, “শত্রু তাদের আগ্রাসনের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে—যার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রও সক্রিয়—এবং তার প্রধান কারণ হলো ইরানের প্রতিরোধ, ঐক্য ও বিধ্বংসী প্রতিক্রিয়া।”
তিনি বলেন, “ইরানের শক্তিশালী ও কার্যকর প্রতিক্রিয়া শত্রুকে এক নজিরবিহীন পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে। আজকের প্রতিশোধমূলক অভিযানে ইসরায়েলি শত্রু কাঁদতে বাধ্য হয়েছে এবং তারা বাস্তবতাকে বিকৃত করার চেষ্টা করছে।”