বাংলাদেশে সংস্কার প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে চায় কমনওয়েলথ

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৩:২৪ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
  • ৭০৮ বার পড়া হয়েছে

আগামী বছরের নির্ধারিত জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সংস্কারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি আইয়র্কর বোটচওয়ে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি চায়, তাহলে আমরা সহায়তা দিতে প্রস্তুত, বিশেষ করে সংবিধান সংস্কারের জন্য সহায়তা দিতে পারলে আমরা খুশি হবো।’ লন্ডনের একটি হোটেলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন তিনি।

বোটচওয়ে জানান, আগামী পাঁচ বছরে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সহায়তা করা কমনওয়েলথের প্রধান অগ্রাধিকারগুলোর একটি।

তিনি আরও বলেন, কমনওয়েলথের অন্যান্য প্রধান অগ্রাধিকার হলো বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সহায়তা করা।

ঘানার নাগরিক বোটচওয়ে বলেন, বর্তমানে কমনওয়েলথের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৮৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ভবিষ্যতে এটি এক ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেন, অনেক কমনওয়েলথ সদস্য জলবায়ু পরিবর্তনের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত এবং তাদের মধ্যে অনেক দেশই ছোট আকারের।

‘আমরা তাদের জলবায়ু অর্থায়নের সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করবো,’ বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কমনওয়েলথ মহাসচিবকে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ক্রীড়া ও যুব সম্পৃক্ততার সম্ভাবনা অনুসন্ধানের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘ক্রীড়া শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি একটি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিও। আমরা খেলোয়াড়দের উদ্যোক্তা হতে উৎসাহ দিচ্ছি। ক্রীড়ার মাধ্যমে কমনওয়েলথকে স্মরণীয় করে রাখা যেতে পারে।’

কমনওয়েলথ মহাসচিব জানান, এ মাসেই ঢাকায় একটি যুব প্রোগ্রামের আয়োজন করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, কমনওয়েলথের ১.৫ বিলিয়ন জনসংখ্যা যুবক এবং তাদের বিভিন্ন কার্যক্রমে যুক্ত করার চেষ্টা চলছে।

তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের জন্য কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নতুন করে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনাও রয়েছে, যেটিকে প্রধান উপদেষ্টা অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর জোর দেন।

অনুষ্ঠানে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ এবং যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে সংস্কার প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে চায় কমনওয়েলথ

আপডেট সময় : ০৮:৫৩:২৪ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

আগামী বছরের নির্ধারিত জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সংস্কারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি আইয়র্কর বোটচওয়ে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি চায়, তাহলে আমরা সহায়তা দিতে প্রস্তুত, বিশেষ করে সংবিধান সংস্কারের জন্য সহায়তা দিতে পারলে আমরা খুশি হবো।’ লন্ডনের একটি হোটেলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন তিনি।

বোটচওয়ে জানান, আগামী পাঁচ বছরে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সহায়তা করা কমনওয়েলথের প্রধান অগ্রাধিকারগুলোর একটি।

তিনি আরও বলেন, কমনওয়েলথের অন্যান্য প্রধান অগ্রাধিকার হলো বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সহায়তা করা।

ঘানার নাগরিক বোটচওয়ে বলেন, বর্তমানে কমনওয়েলথের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৮৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ভবিষ্যতে এটি এক ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেন, অনেক কমনওয়েলথ সদস্য জলবায়ু পরিবর্তনের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত এবং তাদের মধ্যে অনেক দেশই ছোট আকারের।

‘আমরা তাদের জলবায়ু অর্থায়নের সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করবো,’ বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কমনওয়েলথ মহাসচিবকে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ক্রীড়া ও যুব সম্পৃক্ততার সম্ভাবনা অনুসন্ধানের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘ক্রীড়া শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি একটি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিও। আমরা খেলোয়াড়দের উদ্যোক্তা হতে উৎসাহ দিচ্ছি। ক্রীড়ার মাধ্যমে কমনওয়েলথকে স্মরণীয় করে রাখা যেতে পারে।’

কমনওয়েলথ মহাসচিব জানান, এ মাসেই ঢাকায় একটি যুব প্রোগ্রামের আয়োজন করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, কমনওয়েলথের ১.৫ বিলিয়ন জনসংখ্যা যুবক এবং তাদের বিভিন্ন কার্যক্রমে যুক্ত করার চেষ্টা চলছে।

তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের জন্য কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নতুন করে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনাও রয়েছে, যেটিকে প্রধান উপদেষ্টা অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর জোর দেন।

অনুষ্ঠানে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ এবং যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।