‘ভারতে দাঙ্গা লাগাতে চেয়েছিল পাকিস্তান, কিন্তু জম্মু ও কাশ্মিরের জনতা রুখে দাঁড়িয়েছেন এবং যোগ্য জবাব দিয়েছেন। পাকিস্তান শুধু মানবতারই বিরোধী নয়, কাশ্মিরিয়তেরও বিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার জম্মু-কাশ্মীর সফরে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
গত ২২শে এপ্রিল পহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার পর এই প্রথম জম্মু-কাশ্মির সফরে গেলেন তিনি। গত ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত (ছয় ও সাতই মে-র মধ্যবর্তী রাতে) যে সাম্প্রতিক সামরিক পদক্ষেপ নিয়েছিল, তারও ঠিক এক মাস পূর্ণ হয়েছে।
মোদির শুক্রবারের এই কর্মসূচি চন্দ্রভাগা নদীর ওপরে তৈরি হওয়া বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতুর উদ্বোধন, বন্দে ভারত রেল উদ্বোধনসহ একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনার জন্য। কিন্তু ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা এবং যুদ্ধ বিরতির পরও দুই দেশের মধ্যে চলমান ‘বাকযুদ্ধের’ আবহে তার এই সফরের দিকে নজর ছিল অনেকেরই।
জম্মু-কাশ্মীরের কাটরার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ, এবং কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবসহ আরও অনেকে। ওই সভায় প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ তোলেন, পর্যটনশিল্পকে ঘিরে কাশ্মিরের উন্নতিকে নিশানা করতেই পাকিস্তান হামলা চালিয়েছিল।
তিনি বলেন, পর্যটন থেকে রোজগার হয়। পর্যটন মানুষকে জুড়েও রাখে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের প্রতিবেশী দেশ মানবতার বিরোধী, এই মিলমিশের বিরোধী এবং পর্যটনেরও বিরোধী। তারা এমন একটা দেশ যারা দরিদ্র মানুষের রুজি রোজগারেরও বিরুদ্ধে। পহেলগামে ২২ এপ্রিল যা হয়েছে এটা তারই উদাহরণ। পাকিস্তান পেহেলগামে মানবতা এবং কাশ্মীরিয়ত দুয়েরই বিরোধী। তাদের (পাকিস্তানের) উদ্দেশ্য ছিল ভারতে দাঙ্গা লাগানো। তাদের উদ্দেশ্য ছিল কাশ্মিরের দরিদ্র মানুষের রুজি-রোজগারের পথ বন্ধ করা।
পাকিস্তানকে জম্মু-কাশ্মিরের বাসিন্দারা যোগ্য জবাব দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন মোদি। তার কথায়, ‘পাকিস্তানের এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ যেভাবে দাঁড়িয়েছেন, তারা যে শক্তি দেখিয়েছেন তাতে পাকিস্তানই নয়, বিশ্বের সমস্ত সন্ত্রাসী মানসিকতা সম্পন্নদের একটা কড়া বার্তা গিয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের যুবশক্তি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধেযোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য মনস্থির করে ফেলেছে।’
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে শেহবাজ শরিফ, ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির, পাকিস্তান পিপলস পার্টির বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বারেবারে দাবি করেছেন, কাশ্মীরের পরিস্থিতির জন্য দায়ী ভারত সরকার।