ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে আজ সকাল ৯টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নেতৃত্বে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্যে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়। এসময় তিনি র্যালিতে আগতদের উদ্দেশে বলেন, ভাই আমার একটা অনুরোধ শুনবেন আপনারা কি চান ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীকে র্যালিতে রাখি তাহলে একটু পিছনে যান।
আজ সোমবার (১৪ এপ্রিল) শোভাযাত্রা চারুকলা থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ, টিএসসি, শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর ঘুরে পুনরায় চারুকলায় গিয়ে শেষ হয় এই বর্ণাঢ্য মিছিল।
এবারের শোভাযাত্রার প্রধান আকর্ষণ ছিল ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ মোটিফ, যা বাংলাদেশের দীর্ঘস্থায়ী ফ্যাসিবাদী শাসনের প্রতীকী চিত্রণ।
এর আগে শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোরে অজ্ঞাতদুর্বৃত্তরা বাঁশ-কাঠ দিয়ে তৈরি এই মুখোশটি জ্বালিয়ে দিলে দ্রুত সময়ে ককশিটের ওপর পুনরায় এটি তৈরি করা হয়।
ফিলিস্তিনিদের সংহতিতে তরমুজের ফালি মোটিফ অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের প্রতীক। এছাড়া বাঘ, ইলিশ, শান্তির পায়রা, পালকিসহ ৭টি প্রধান মোটিফ এবং সুলতানি-মুঘল আমলের মুখোশ, তালপাতার সেপাই, পটচিত্রসহ ১০০ ফুট দীর্ঘ লোকজ চিত্রাবলি শোভাযাত্রাকে করেছে বৈচিত্র্যময়।
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে শুরু হওয়া এই শোভাযাত্রা ১৯৯৬ সালে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পায়। তবে এবার নাম পরিবর্তন করে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ রাখা হয়।