পবিত্র কাবাঘরের নাম ও বৈশিষ্ট্য

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৯:৪৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭০৬ বার পড়া হয়েছে
আল্লাহর ইবাদতের জন্য পৃথিবীতে নির্মিত প্রথম ঘর কাবা। কাবাঘর পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র ও সম্মানিত স্থান। পবিত্র কাবাঘরের দিকে ফিরেই মুসলমানরা নামাজ আদায় করে। কোরআন ও হাদিসে কাবাঘরের একাধিক নাম, গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্য বর্ণিত হয়েছে।

কাবাঘরের সম্মান ও মর্যাদা

পবিত্র কাবাঘর আল্লাহর অনন্য নিদর্শন এবং তা হাজরে আসওয়াদ, জমজম কূপ ও মাকামে ইবরাহিমের মতো নিদর্শনকে বুকে ধারণ করে আছে। আল্লাহ কাবাঘরকে নিরাপদ ঘোষণা করেছেন এবং এই পবিত্র ঘরের হজ ফরজ করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তাতে অনেক সুস্পষ্ট নিদর্শন আছে, যেমন মাকামে ইবরাহিম। আর যে সেখানে প্রবেশ করে সে নিরাপদ। মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে এই ঘরের হজ করা তার অবশ্য কর্তব্য। যে প্রত্যাখ্যান করল সে জেনে রাখুক আল্লাহ বিশ্বজগতের মুখাপেক্ষী নন।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ৯৭)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে এই ঘরের হজ করল এবং অশ্লীলতায় লিপ্ত হলো না, আল্লাহর অবাধ্য হলো না সে সদ্য প্রসূত শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে (হজ থেকে) ফিরল।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৫২১)

কাবাঘরের নামগুলো
কোরআন ও হাদিসে কাবাঘরের সাতটি নাম পাওয়া যায়। তা হলো—
১. বাইত: পবিত্র কোরআনে ১৫ বার ‘বাইত’ শব্দ দ্বারা কাবাঘরকে ব্যক্ত করা হয়েছে। কখনো শুধু বাইত শব্দটি এসেছে। আবার কখনো এর সাথে যুক্ত হয়েছে সর্বনাম ও বিশেষণ। আরবি বাইত শব্দের অর্থ ঘর। যেমন মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই মানবজাতির জন্য সর্বপ্রথম যে ঘর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা তো বাক্কায় (মক্কায়), তা বরকতময় ও বিশ্বজগতের দিশারী।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ৯৬)
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা যেন তাওয়াফ করে প্রাচীনঘরের।’ (সুরা হজ, আয়াত : ২৯)
২. কাদিস: আল্লামা আজরাকি (রহ.) বলেন, প্রাচীনকালে আরবের লোকেরা কাবাঘরকে কাদিস বলত। যার অর্থ পবিত্র। লিসানুল আরবে কাদিসের একটি অর্থ লেখা হয়েছে ‘বাইতুল হারাম’ বা কাবাঘর। (আখবারু মক্কা : ১/২৮০; লিসানুল আরব : ৬/১৭০)
৩. নাজির: শাব্দিক অর্থ মানতকারী, তবে তা মানতের স্থান অর্থে ব্যবহৃত হতো। আল্লামা আজরাকি (রহ.) বলেন, প্রাচীনকালে আরবের লোকেরা কাবাঘরকে নাজির বলত। কেননা কাবাঘরের উদ্দেশ্যে নানা জিনিসের মানত করা হতো। (আখবারু মক্কা : ১/২৮০)
৪. নাদির: নাদির শব্দটি ‘নাদরাতুন’ থেকে এসেছে। নাদরাহ হলো এক প্রকার বিরল ও মূল্যবান রত্ন যা স্বর্ণের খনিতে পাওয়া যায়। তুলনাহীন ও মূল্যবান অর্থে কাবাঘরকে নাদির বলা হতো। (কামুসুল মুহিত, পৃষ্ঠা ৬১৯)
৫. বানিয়্যাহ: শাব্দিক অর্থ স্থাপত্য বা শ্রেষ্ঠ স্থাপত্য। আল্লামা ইবনে আসির (রহ.) বলেন, কাবাঘরকে বানিয়্যাতু ইবরাহিম বলা হতো। কেননা তিনি তা নির্মাণ করেছিলেন। পরবর্তীতে অধিক ব্যবহারের কারণে তাতে সংকোচন ঘটে এবং বানিয়্যাহ শব্দে রূপান্তরিত হয়। হাদিসেও কাবাঘর বোঝাতে বানিয়্যাহ শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। (আন নিহায়া ফি গারিবিল হাদিস ওয়াল আসার : ১/১৫৮; মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৫৮৩৬)
৬. দাওয়ার: আল্লামা ইবনে মানজুর (রহ.) দাওয়ারকে কাবাঘরের একটি নাম হিসেবে উল্লেখ করেছেন। দাওয়ার শব্দটি দায়ির শব্দের বহুবচন। যার অর্থ বৃত্তাকার। যেহেতু কাবাঘরকে ঘিরে মানুষ তাওয়াফ করে। তাই তাকে দাওয়ার বলা হয়। (আসমাউ কাবাতিল মুশাররাফা, পৃষ্ঠা ২৮; লিসানুল আরব : ৪/২৯৮)
৭. কিবলা: পবিত্র কোরআনে কাবাঘরকে কিবলা নামে উল্লেখ করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি এ যাবত যে কিবলা অনুসরণ করছিলে তাকে আমি এই উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম যাতে জানতে পারি কে রাসুলের অনুসরণ করে এবং কে ফিরে যায়?’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৪৩)

কাবাঘরের বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলী
কোরআন ও হাদিসের আলোকে কাবাঘরের গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরা হলো—
১. পথপ্রদর্শক: পবিত্র কাবাকে আল্লাহ মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক বানিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই মানবজাতির জন্য সর্বপ্রথম যে ঘর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা তো বাক্কায় (মক্কায়), তা বরকতময় ও বিশ্বজগতের দিশারী।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ৯৬)
২. বরকতময়: কাবাঘরকে আল্লাহ বরকতময় করেছেন। যেমনটি সুরা আলে ইমরানের ৯৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে।
৩. মিলনমেলা : কাবাঘরকে আল্লাহ মানুষের জন্য নিরাপদ মিলনমেলা বানিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘সে সময়কে স্মরণ কোরো, যখন কাবাঘরকে মানবজাতির মিলনকেন্দ্র ও নিরাপত্তাস্থল করেছিলাম।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১২৫)
৪. কিবলা: আল্লাহ কাবাঘরকে কিবলা বানিয়েছেন। ফলে মানুষ সে দিকে ফিরে ইবাদত করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাকে অবশ্যই এমন কিবলার দিকে ফিরিয়ে দিচ্ছি যা তুমি পছন্দ করো। অতএব তুমি মসজিদুল হারামের দিকে মুখ ফিরাও।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৪৪)
৫. কল্যাণের উত্স: মহান আল্লাহ বলেন, ‘পবিত্র কাবাঘর, পবিত্র মাস, কোরবানির জন্য কাবায় প্রেরিত পশু ও গলায় মালা পরিহিত পশুকে আল্লাহ মানুষের কল্যাণের জন্য নির্ধারিত করেছেন।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৯৭)
৬. সম্মানিত: ইবরাহিম (আ.) কাবাকে সম্মানিত ঘর আখ্যা দিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন—‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমি আমার বংশধরদের কতককে বসবাস করালাম অনুর্বর উপত্যকায় তোমার সম্মানিত ঘরের কাছে।’ (সুরা ইবরাহিম, আয়াত : ৩৭)
৭. পবিত্র: নির্মাণকাল থেকে কাবাঘরকে আল্লাহ পবিত্র করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, যখন আমি ইবরাহিমের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম সেই ঘরের স্থান, তখন বলেছিলাম, আমার সঙ্গে কোনো শরিক স্থির কোরো না এবং আমার ঘরকে পবিত্র রেখো তাদের জন্য যারা তাওয়াফ করে, যারা নামাজে দাঁড়ায়, রুকু করে ও সিজদা করে।’ (সুরা হজ, আয়াত : ২৬)
৮. প্রাচীন: কাবাঘর পৃথিবীর প্রাচীনতম ঘর। কোরআনে কাবাকে প্রাচীন বিশেষণে বিশেষায়িত করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘অতঃপর তারা যেন তাদের অপরিচ্ছন্নতা দূর করে এবং তাদের মানত পূর্ণ করে এবং তাওয়াফ করে প্রাচীন ঘরের।’ (সুরা হজ, আয়াত : ২৯)

আল্লাহ সবাইকে পবিত্র কাবাঘরের জিয়ারত নসিব করুন। আমিন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পবিত্র কাবাঘরের নাম ও বৈশিষ্ট্য

আপডেট সময় : ০৯:৩৯:৪৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
আল্লাহর ইবাদতের জন্য পৃথিবীতে নির্মিত প্রথম ঘর কাবা। কাবাঘর পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র ও সম্মানিত স্থান। পবিত্র কাবাঘরের দিকে ফিরেই মুসলমানরা নামাজ আদায় করে। কোরআন ও হাদিসে কাবাঘরের একাধিক নাম, গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্য বর্ণিত হয়েছে।

কাবাঘরের সম্মান ও মর্যাদা

পবিত্র কাবাঘর আল্লাহর অনন্য নিদর্শন এবং তা হাজরে আসওয়াদ, জমজম কূপ ও মাকামে ইবরাহিমের মতো নিদর্শনকে বুকে ধারণ করে আছে। আল্লাহ কাবাঘরকে নিরাপদ ঘোষণা করেছেন এবং এই পবিত্র ঘরের হজ ফরজ করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তাতে অনেক সুস্পষ্ট নিদর্শন আছে, যেমন মাকামে ইবরাহিম। আর যে সেখানে প্রবেশ করে সে নিরাপদ। মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে এই ঘরের হজ করা তার অবশ্য কর্তব্য। যে প্রত্যাখ্যান করল সে জেনে রাখুক আল্লাহ বিশ্বজগতের মুখাপেক্ষী নন।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ৯৭)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে এই ঘরের হজ করল এবং অশ্লীলতায় লিপ্ত হলো না, আল্লাহর অবাধ্য হলো না সে সদ্য প্রসূত শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে (হজ থেকে) ফিরল।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৫২১)

কাবাঘরের নামগুলো
কোরআন ও হাদিসে কাবাঘরের সাতটি নাম পাওয়া যায়। তা হলো—
১. বাইত: পবিত্র কোরআনে ১৫ বার ‘বাইত’ শব্দ দ্বারা কাবাঘরকে ব্যক্ত করা হয়েছে। কখনো শুধু বাইত শব্দটি এসেছে। আবার কখনো এর সাথে যুক্ত হয়েছে সর্বনাম ও বিশেষণ। আরবি বাইত শব্দের অর্থ ঘর। যেমন মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই মানবজাতির জন্য সর্বপ্রথম যে ঘর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা তো বাক্কায় (মক্কায়), তা বরকতময় ও বিশ্বজগতের দিশারী।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ৯৬)
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা যেন তাওয়াফ করে প্রাচীনঘরের।’ (সুরা হজ, আয়াত : ২৯)
২. কাদিস: আল্লামা আজরাকি (রহ.) বলেন, প্রাচীনকালে আরবের লোকেরা কাবাঘরকে কাদিস বলত। যার অর্থ পবিত্র। লিসানুল আরবে কাদিসের একটি অর্থ লেখা হয়েছে ‘বাইতুল হারাম’ বা কাবাঘর। (আখবারু মক্কা : ১/২৮০; লিসানুল আরব : ৬/১৭০)
৩. নাজির: শাব্দিক অর্থ মানতকারী, তবে তা মানতের স্থান অর্থে ব্যবহৃত হতো। আল্লামা আজরাকি (রহ.) বলেন, প্রাচীনকালে আরবের লোকেরা কাবাঘরকে নাজির বলত। কেননা কাবাঘরের উদ্দেশ্যে নানা জিনিসের মানত করা হতো। (আখবারু মক্কা : ১/২৮০)
৪. নাদির: নাদির শব্দটি ‘নাদরাতুন’ থেকে এসেছে। নাদরাহ হলো এক প্রকার বিরল ও মূল্যবান রত্ন যা স্বর্ণের খনিতে পাওয়া যায়। তুলনাহীন ও মূল্যবান অর্থে কাবাঘরকে নাদির বলা হতো। (কামুসুল মুহিত, পৃষ্ঠা ৬১৯)
৫. বানিয়্যাহ: শাব্দিক অর্থ স্থাপত্য বা শ্রেষ্ঠ স্থাপত্য। আল্লামা ইবনে আসির (রহ.) বলেন, কাবাঘরকে বানিয়্যাতু ইবরাহিম বলা হতো। কেননা তিনি তা নির্মাণ করেছিলেন। পরবর্তীতে অধিক ব্যবহারের কারণে তাতে সংকোচন ঘটে এবং বানিয়্যাহ শব্দে রূপান্তরিত হয়। হাদিসেও কাবাঘর বোঝাতে বানিয়্যাহ শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। (আন নিহায়া ফি গারিবিল হাদিস ওয়াল আসার : ১/১৫৮; মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৫৮৩৬)
৬. দাওয়ার: আল্লামা ইবনে মানজুর (রহ.) দাওয়ারকে কাবাঘরের একটি নাম হিসেবে উল্লেখ করেছেন। দাওয়ার শব্দটি দায়ির শব্দের বহুবচন। যার অর্থ বৃত্তাকার। যেহেতু কাবাঘরকে ঘিরে মানুষ তাওয়াফ করে। তাই তাকে দাওয়ার বলা হয়। (আসমাউ কাবাতিল মুশাররাফা, পৃষ্ঠা ২৮; লিসানুল আরব : ৪/২৯৮)
৭. কিবলা: পবিত্র কোরআনে কাবাঘরকে কিবলা নামে উল্লেখ করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি এ যাবত যে কিবলা অনুসরণ করছিলে তাকে আমি এই উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম যাতে জানতে পারি কে রাসুলের অনুসরণ করে এবং কে ফিরে যায়?’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৪৩)

কাবাঘরের বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলী
কোরআন ও হাদিসের আলোকে কাবাঘরের গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরা হলো—
১. পথপ্রদর্শক: পবিত্র কাবাকে আল্লাহ মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক বানিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই মানবজাতির জন্য সর্বপ্রথম যে ঘর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা তো বাক্কায় (মক্কায়), তা বরকতময় ও বিশ্বজগতের দিশারী।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ৯৬)
২. বরকতময়: কাবাঘরকে আল্লাহ বরকতময় করেছেন। যেমনটি সুরা আলে ইমরানের ৯৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে।
৩. মিলনমেলা : কাবাঘরকে আল্লাহ মানুষের জন্য নিরাপদ মিলনমেলা বানিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘সে সময়কে স্মরণ কোরো, যখন কাবাঘরকে মানবজাতির মিলনকেন্দ্র ও নিরাপত্তাস্থল করেছিলাম।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১২৫)
৪. কিবলা: আল্লাহ কাবাঘরকে কিবলা বানিয়েছেন। ফলে মানুষ সে দিকে ফিরে ইবাদত করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাকে অবশ্যই এমন কিবলার দিকে ফিরিয়ে দিচ্ছি যা তুমি পছন্দ করো। অতএব তুমি মসজিদুল হারামের দিকে মুখ ফিরাও।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৪৪)
৫. কল্যাণের উত্স: মহান আল্লাহ বলেন, ‘পবিত্র কাবাঘর, পবিত্র মাস, কোরবানির জন্য কাবায় প্রেরিত পশু ও গলায় মালা পরিহিত পশুকে আল্লাহ মানুষের কল্যাণের জন্য নির্ধারিত করেছেন।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৯৭)
৬. সম্মানিত: ইবরাহিম (আ.) কাবাকে সম্মানিত ঘর আখ্যা দিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন—‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমি আমার বংশধরদের কতককে বসবাস করালাম অনুর্বর উপত্যকায় তোমার সম্মানিত ঘরের কাছে।’ (সুরা ইবরাহিম, আয়াত : ৩৭)
৭. পবিত্র: নির্মাণকাল থেকে কাবাঘরকে আল্লাহ পবিত্র করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, যখন আমি ইবরাহিমের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম সেই ঘরের স্থান, তখন বলেছিলাম, আমার সঙ্গে কোনো শরিক স্থির কোরো না এবং আমার ঘরকে পবিত্র রেখো তাদের জন্য যারা তাওয়াফ করে, যারা নামাজে দাঁড়ায়, রুকু করে ও সিজদা করে।’ (সুরা হজ, আয়াত : ২৬)
৮. প্রাচীন: কাবাঘর পৃথিবীর প্রাচীনতম ঘর। কোরআনে কাবাকে প্রাচীন বিশেষণে বিশেষায়িত করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘অতঃপর তারা যেন তাদের অপরিচ্ছন্নতা দূর করে এবং তাদের মানত পূর্ণ করে এবং তাওয়াফ করে প্রাচীন ঘরের।’ (সুরা হজ, আয়াত : ২৯)

আল্লাহ সবাইকে পবিত্র কাবাঘরের জিয়ারত নসিব করুন। আমিন।