শিরোনাম :
Logo বীরগঞ্জে বীজ ডিলার ও কৃষক সমাবেশ Logo হাবিপ্রবিতে প্রথম ধাপের ভর্তি সম্পন্ন হয়েছে ৬৭.৭৫ শতাংশ। Logo রাবিতে আন্তঃকলেজ সাঁতার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল Logo পাক-ভারত যুদ্ধবিরতি ট্রাম্পের মধ্যস্থতা ছাড়াই হয়েছে, দাবি জয়শঙ্করের Logo হাসিনার নির্বাচনি হলফনামায় গরমিল: ব্যবস্থা নিতে ইসিকে দুদকের চিঠি Logo ১৫০ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি নি‌য়ে ঢাকায় আসছেন চীনা বাণিজ্যমন্ত্রী Logo বাঁচতে চায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ধর্মীয় শিক্ষক আঃ ছাত্তার Logo নতুন হারে মহার্ঘ ভাতা, কোন গ্রেডে কত বাড়ছে? Logo এবার মশার শরীরে ম্যালেরিয়ার ওষুধ! গবেষকদের যুগান্তকারী আবিষ্কার Logo পঞ্চগড়ে ভারতীয় পুশ-ইন, নারী-শিশুসহ ২১ বাংলাদেশিকে সীমান্তে ফেরত

সব দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে ইসি গঠনে গুরুত্বারোপ বিএনপির!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:৫৮:৫২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৭০ বার পড়া হয়েছে
নিউজ ডেস্ক:
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে বিএনপি। তারা বলেছেন, দেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক সংকট, এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য রাষ্ট্রপতির যে উদ্যোগ, তা নিঃসন্দেহে একটা ফলপ্রসূ ভূমিকা পালন করবে। সংকট নিরসনে এই আলোচনার প্রক্রিয়াটা অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে আবারো রাষ্ট্রপতি আমাদের ডাকবেন। সেক্ষেত্রে আমাদের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতিকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
রবিবার বিকালে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এক ঘন্টার সংলাপ শেষে বেরিয়ে আসার পর নেতারা এসব কথা জানিয়েছেন।
সংলাপ শেষে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সংলাপে সব রাজনৈতিক দলের মতৈক্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কোনো আইন তৈরি হয়নি। এ কারণে সব রাজনৈতিক দলের মতৈক্যের কোনো বিকল্প নেই বলে আমরা মনে করি। আমরা রাষ্ট্রপতিকে বাছাই কমিটি গঠন, নির্বাচন কমিশন গঠন ও আরপিও সংশোধনের বিষয়ে জানিয়েছি। বাছাই কমিটির সদস্য মনোনয়নের পদ্ধতিও জানানো হয়েছে। এখন রাষ্ট্রপতি এই পদ্ধতি পরীক্ষা করবেন।
মির্জা ফখরুল জানান, এই সংলাপে মূলত তিনটি প্রস্তাব তুলে ধরেছে বিএনপি। তিনটি প্রধান অংশ ছিল আমাদের প্রস্তাবের। একটি হলো বাছাই কমিটি গঠন এবং সেটা হতে হবে একেবারে নিরপেক্ষ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য বাছাই কমিটি। দ্বিতীয় নির্বাচন কমিশন গঠন, যেটাও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং মতামতের ভিত্তিতে হতে হবে। আর তৃতীয়, আরপিও সংশোধন এবং নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করার প্রস্তাবগুলো।
ফখরুল বলেন, আমরা বলেছি, কী পদ্ধতিতে বাছাই কমিটির সদস্যদেরকে আমরা মনোনীত করবো। আমরা প্রস্তাব করেছি একজন আহ্বায়ক থাকবেন বাছাই কমিটির এবং চারজন সদস্য থাকবেন। একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি, যিনি বিতর্কিত নন এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য-তিনিই হবেন এর প্রধান। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আশা করছি মহামান্য রাষ্ট্রপতি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে তিনি তার পদ্ধতিগত বিষয়গুলো নির্ধারণ করবেন। এবং তিনি পুনরায় আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বীরগঞ্জে বীজ ডিলার ও কৃষক সমাবেশ

সব দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে ইসি গঠনে গুরুত্বারোপ বিএনপির!

আপডেট সময় : ০১:৫৮:৫২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬
নিউজ ডেস্ক:
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে বিএনপি। তারা বলেছেন, দেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক সংকট, এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য রাষ্ট্রপতির যে উদ্যোগ, তা নিঃসন্দেহে একটা ফলপ্রসূ ভূমিকা পালন করবে। সংকট নিরসনে এই আলোচনার প্রক্রিয়াটা অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে আবারো রাষ্ট্রপতি আমাদের ডাকবেন। সেক্ষেত্রে আমাদের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতিকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
রবিবার বিকালে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এক ঘন্টার সংলাপ শেষে বেরিয়ে আসার পর নেতারা এসব কথা জানিয়েছেন।
সংলাপ শেষে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সংলাপে সব রাজনৈতিক দলের মতৈক্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কোনো আইন তৈরি হয়নি। এ কারণে সব রাজনৈতিক দলের মতৈক্যের কোনো বিকল্প নেই বলে আমরা মনে করি। আমরা রাষ্ট্রপতিকে বাছাই কমিটি গঠন, নির্বাচন কমিশন গঠন ও আরপিও সংশোধনের বিষয়ে জানিয়েছি। বাছাই কমিটির সদস্য মনোনয়নের পদ্ধতিও জানানো হয়েছে। এখন রাষ্ট্রপতি এই পদ্ধতি পরীক্ষা করবেন।
মির্জা ফখরুল জানান, এই সংলাপে মূলত তিনটি প্রস্তাব তুলে ধরেছে বিএনপি। তিনটি প্রধান অংশ ছিল আমাদের প্রস্তাবের। একটি হলো বাছাই কমিটি গঠন এবং সেটা হতে হবে একেবারে নিরপেক্ষ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য বাছাই কমিটি। দ্বিতীয় নির্বাচন কমিশন গঠন, যেটাও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং মতামতের ভিত্তিতে হতে হবে। আর তৃতীয়, আরপিও সংশোধন এবং নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করার প্রস্তাবগুলো।
ফখরুল বলেন, আমরা বলেছি, কী পদ্ধতিতে বাছাই কমিটির সদস্যদেরকে আমরা মনোনীত করবো। আমরা প্রস্তাব করেছি একজন আহ্বায়ক থাকবেন বাছাই কমিটির এবং চারজন সদস্য থাকবেন। একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি, যিনি বিতর্কিত নন এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য-তিনিই হবেন এর প্রধান। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আশা করছি মহামান্য রাষ্ট্রপতি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে তিনি তার পদ্ধতিগত বিষয়গুলো নির্ধারণ করবেন। এবং তিনি পুনরায় আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন।