চাঁদপুরের কচুয়ায় তীব্র গো-খাদ্য (খড়ের) সংকট দেখা দিয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন খামারি ও কৃষকরা। খাদ্যের অভাবে অনেক পশু অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গবাদি পশুর সংকটে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অনেক খামারি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় প্রায় ৭০-৮০টি খামার রয়েছে। প্রত্যেক খামারে বর্তমানে গো-খাদ্য হিসেবে খড়ের সংকট পড়েছে। যার কারনে অনেক কৃষক ও খামারীরা অধিক গুনে খড় ক্রয় করতে হচ্ছে। খড়ের পাশাপাশি গো-খাদ্য হিসেবে ঘাস চাষ না করায় এমন দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান কৃষকরা। তাছাড়া বর্তমানে এক আটি ঘড়ের দাম হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
মনসা-নয়াকান্দি গ্রামের কৃষক নিতাই চন্দ্র দাস বলেন, এবারের বন্যায় পানি যেমন উঠছে তেমনি আবার পানি দীর্ঘদিন থাকায় গরুর ঘাস পচে গেছে। তাছাড়া আরো কয়েক মাস পর বোরো ধানের খড় আসবে। তার আগে খড়ের দাম দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। গরুদের খাদ্য হিসেবে খড় কিনতে হিমসিম খাচ্ছি। বাজার থেকে চড়া মূল্যে শুকনো খাবার কিনে গবাদিপশু পালনের ক্ষমতা অনেকের নেই।
গরুর খামারি জিয়াউদ্দিন মজুমদার বলেন, আমার খামারে অর্ধশত গরু রয়েছে। এসব গরুর জন্য জমিতে ঘাসের চাষ করা হয়েছে। এবারের বন্যায় পানির নিচে সব ঘাস পচে গেছে। এখন গরুর খাদ্য নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছি। এখন আশপাশে ঘাস পাওয়া যাচ্ছে না।
দোয়াটি গ্রামে কৃষক দিদার হোসেন বলেন, একটা গাভী ও একটা বাচুর লালন পালন করেছি। খড়ের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কোনো মতো ভাতের মাড় ও অল্প
কিছু ভুসি মিশিয়ে খাওয়াচ্ছি। কিন্তু কাঁচা খাদ্য না থাকায় দিন দিন গরু শুকিয়ে যাচ্ছে।
কচুয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শাওকাত হোসেন সুমন জানান, এ উপজেলায় অনেক গবাদি পশু রয়েছে। এরমধ্যে প্রায় কয়েক হাজার পশুর খাদ্য সংকট রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব ইউনিয়নের খামারি ও কৃষকদের তালিকা তৈরি করে পাঠানো হবে। পাশাপাশি খড়ের বিকল্প হিসেবে ঘাস চাষে আগ্রহী হতে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।