শিরোনাম :
Logo উমর (রা.)-এর বড় ভাই জায়েদ ইবনে খাত্তাব (রা.)-এর বীরত্ব Logo আন্তর্জাতিক মুসলিম ইউনিয়নের উদ্যোগে ‘১৪৪৭ হিজরি সপ্তাহ’ উদযাপন Logo ‘মেসিকে থামানো একজন ডিফেন্ডার দিয়ে সম্ভব নয়’ Logo নাটকীয় ম্যাচে বেনফিকাকে বিদায় করে চেলসির উল্লাস Logo ইরাকে রাসায়নিক অস্ত্র সরবরাহের জন্য পশ্চিমা বিশ্বের জবাবদিহিতা চাইলো ইরান Logo মেজর জেনারেল মুসাভির সঙ্গে ফোনালাপে সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী Logo সন্ধ্যার মধ্যে যেসব জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়-বৃষ্টির আভাস Logo আগামী মাসের মধ্যেই জুলাই সনদ স্বাক্ষর হবে: আলী রীয়াজ Logo জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে সরকার ব্যর্থ, তাই আমরাই দেবো: নাহিদ ইসলাম Logo তদন্তের বিরুদ্ধে বেরোবিতে আন্দোলনে নাখোশ শহীদ আবু সাঈদের পরিবার

শবেবরাতে যা ভেবে হালুয়া-রুটি খাওয়া যাবে ও যাবে না

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০১:৫৯:৫২ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৭৩৫ বার পড়া হয়েছে
পবিত্র শবেবরাত বা লাইলাতুল বরাত আজ শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি)। হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি মুসলমানরা শবে বরাত বা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করে থাকেন। রাতটি ‘লাইলাতুল বরাত’ হিসেবেও পরিচিত।

রাতটি বিশেষ ফজিলতপূর্ণ রাত। রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে তার সৃষ্টিকুলের দিকে দয়ার দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষী ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (সহিহ ইবনে হিব্বান: ৫৬৬৫)

এ রাতটিই আমাদের দেশে ‘শবে বরাত’ হিসেবে পরিচিত। এ রাতে আমাদের কর্তব্য বেশি বেশি নেক আমল ও ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করা; যেন আল্লাহর রহমত ও ক্ষমায় আমরাও শামিল হতে পারি।

আলেমগণ জানাচ্ছেন, সদকা ও হাদিয়া সব সময়ই নেক আমলের অন্তর্ভুক্ত। প্রতিবেশী, আত্মীয় স্বজন বা দরিদ্রদের হালুয়া-রুটিসহ যে কোনো খাবার খাওয়ানো, হাদিয়া পাঠানো নাজায়েজ হওয়ার কোনো কারণ নেই। কিন্তু হালুয়া-রুটি বানানো, খাওয়া ও বিরতরণকে শবে বরাতের জরুরি বা বিশেষ ফজিলতপূর্ণ আমল মনে করলে তা বিদআত গণ্য হবে। হালুয়া রুটি বানানো, খাওয়া বা বিতরণ করা শবে বরাতের বিশেষ কোনো আমল নয়।

‘শবে বরাতের বিশেষ আমল মনে না করলে বা এ রকম ভুল ধারণা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে হালুয়া-রুটি বানানো, খাওয়া ও বিরতরণ করা নাজায়েজ নয়।’

‘তবে, কেউ যদি বিশেষ কোনো আমল মনে না করে অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিকভাবে এই রাতে হালুয়া-রুটি খান ও কাউকে খাওয়ান তাতে কোনো সমস্যা নেই।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

উমর (রা.)-এর বড় ভাই জায়েদ ইবনে খাত্তাব (রা.)-এর বীরত্ব

শবেবরাতে যা ভেবে হালুয়া-রুটি খাওয়া যাবে ও যাবে না

আপডেট সময় : ০১:৫৯:৫২ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
পবিত্র শবেবরাত বা লাইলাতুল বরাত আজ শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি)। হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি মুসলমানরা শবে বরাত বা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করে থাকেন। রাতটি ‘লাইলাতুল বরাত’ হিসেবেও পরিচিত।

রাতটি বিশেষ ফজিলতপূর্ণ রাত। রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে তার সৃষ্টিকুলের দিকে দয়ার দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষী ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (সহিহ ইবনে হিব্বান: ৫৬৬৫)

এ রাতটিই আমাদের দেশে ‘শবে বরাত’ হিসেবে পরিচিত। এ রাতে আমাদের কর্তব্য বেশি বেশি নেক আমল ও ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করা; যেন আল্লাহর রহমত ও ক্ষমায় আমরাও শামিল হতে পারি।

আলেমগণ জানাচ্ছেন, সদকা ও হাদিয়া সব সময়ই নেক আমলের অন্তর্ভুক্ত। প্রতিবেশী, আত্মীয় স্বজন বা দরিদ্রদের হালুয়া-রুটিসহ যে কোনো খাবার খাওয়ানো, হাদিয়া পাঠানো নাজায়েজ হওয়ার কোনো কারণ নেই। কিন্তু হালুয়া-রুটি বানানো, খাওয়া ও বিরতরণকে শবে বরাতের জরুরি বা বিশেষ ফজিলতপূর্ণ আমল মনে করলে তা বিদআত গণ্য হবে। হালুয়া রুটি বানানো, খাওয়া বা বিতরণ করা শবে বরাতের বিশেষ কোনো আমল নয়।

‘শবে বরাতের বিশেষ আমল মনে না করলে বা এ রকম ভুল ধারণা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে হালুয়া-রুটি বানানো, খাওয়া ও বিরতরণ করা নাজায়েজ নয়।’

‘তবে, কেউ যদি বিশেষ কোনো আমল মনে না করে অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিকভাবে এই রাতে হালুয়া-রুটি খান ও কাউকে খাওয়ান তাতে কোনো সমস্যা নেই।’