শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকীতে শেরপুর জেলা ছাত্রদলের কুরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo অব্যাহত সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত Logo ওয়েব পোর্টাল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ইবির আইসিটি বিভাগে নবীনবরণ Logo পলাশবাড়ীতে ভিডাব্লিউ ডি প্রকল্পে অনিয়মসহ স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। Logo যবিপ্রবি ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা: নিষিদ্ধ সংগঠনের দুই কর্মীকে পুলিশে সোপর্দ Logo তেকানী ইউনিয়নের সচিব হালিমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ Logo কচুয়ার শিক্ষা ও পরিবেশ উন্নয়নে ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমানের অনন্য উদ্যোগ Logo কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অক্টোবর থেকে: বেবিচক চেয়ারম্যান” Logo মাদকসহ সাতক্ষীরা শহরের চিহ্নিত চোরাকারবারি আটক Logo দুর্নীতি ও অপচয়ের কারণে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করতে পারছি না: জ্বালানি উপদেষ্টা

এডভোকেট মাকসুদা-কে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম; মামলা হলেও গ্রেফতার হয়নি আসামি

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৯:২৬:০৫ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭৯৪ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট :

সম্প্রতি এডভোকেট মাকসুদা খাতুনের উপর চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তার মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণদল-(বিএনপি)এর সিনিয়র সহ-সভাপতি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এবং ঢাকা বার এসোসিয়েশনের সদস্য এডভোকেট মোছাঃ মাকসুদা খাতুনকে পরিকল্পিতভাবে খুন করার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে জখম করা হয়।

আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সম্প্রতী ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলায় আদমপুর বাজারে আলী নেওয়াজের বাড়ির পশ্চিম পাশে এডভোকেট মোছাঃ মাকসুদা খাতুনের স্বামী মোঃ নাজমুল হোসেন মুন্সীর ক্রয়কৃত জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মান করার সময় আহাম্মদ আলীর হুকুমে ও সাদ্দাম হোসেন এর মদদে ৮/৯ জনের স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসীচক্র বে-আইনীভাবে জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে খুন করার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়।

সন্ত্রাসীরা তার উপর অতর্কিত ভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে এলোপাথারী ভাবে তার মাথায় কুপিয়ে তাকে গুরুতর ভাবে জখম করে এবং ইট, রড, ভেলচা দিয়ে পিটিয়ে বামহাত ভেঙ্গে দেয় এরপর বুট জুতা দিয়ে চটকায় এবং লাথি, কিল, ঘুশি মেরে আঘাত করে তার মেরুদন্ড, কোমর ও বাম পা মারাত্বকভাবে আহত করে। তার হাত পা অকার্যকর করে দেয়। সন্ত্রাসীরা তার গলায় ব্যবহৃত একটি সোনার চেইন, একটি হাতের সোনার ব্রেসলেট এবং একটি আইফোন ১১ প্রো নিয়ে যায়।

প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তাকে মহেশপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে জরুরী ভাবে যশোর সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সে এখন পর্যন্ত উঠে দাঁড়াতে পারছেন না । ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

জানা যায়, আহাম্মদ আলীর হুকুমে এডভোকেট মোছাঃ মাকসুদা খাতুনকে খুন করার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালায়। এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মদদ দাতা মোঃ সাদ্দাম হোসেন, পিতা- মৃত শামসুল হক, গ্রাম: আদমপুর, থানা: মহেশপুর, জেলা: ঝিনাইদহ এবং

আঃ মালেক, পিতা- আঃ বারেক ও আঃ সালাম পিতা- ইউছুফ আলী, আহমেদ আলী, পিতা- শতশত আলী, এবং লেয়াকত আলী, পিতা- সামছুল হক, আবদুল ওহাব ও আলী আহমেদ পিতা- রোছমত আলী, এরসাথে আলমগীর পিতা-আলী আহমেদ, ও সিরাজ সরদার পিতা -অজ্ঞাত, এবং রিনা সরদার পিতা- সিরাজ সরদার বড়খানপুর, চৌগাছা,যশোর।

এই ঘটনায় ৯ জন পরিকল্পনাকারী ও হামলাকারী সন্ত্রাসী চিহ্নিত হয়েছে এবং অজ্ঞাত ৪/৫ সন্ত্রাসীসহ মহেশপুর থানায় একটি ফৌজদারী মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ৭৫/৭৪৩, এখন পর্যন্ত এডভোকেট মোছাঃ মাকসুদা খাতুনের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীরা কেঁউ গ্রেপ্তার হয়নি। সাতজন আসামী মহেশপুর উপজেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রিয়াদ হাসান এর আদালত থেকে অজামিন যোগ্য ৩০৭ ও ৩২৬ ধারা উপেক্ষা করে জামিন নিয়ে এলাকায় দাপটের সাথেই ঘুরে বেড়াচ্ছে।

এ বিষয়ে সন্ত্রাসীরা কোনো কথা বলেননি,তবে প্রকাশ্য ভুক্তভোগী পরিবারকে জানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে চলেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ এবং আতংক বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকীতে শেরপুর জেলা ছাত্রদলের কুরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

এডভোকেট মাকসুদা-কে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম; মামলা হলেও গ্রেফতার হয়নি আসামি

আপডেট সময় : ০৯:২৬:০৫ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট :

সম্প্রতি এডভোকেট মাকসুদা খাতুনের উপর চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তার মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণদল-(বিএনপি)এর সিনিয়র সহ-সভাপতি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এবং ঢাকা বার এসোসিয়েশনের সদস্য এডভোকেট মোছাঃ মাকসুদা খাতুনকে পরিকল্পিতভাবে খুন করার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে জখম করা হয়।

আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সম্প্রতী ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলায় আদমপুর বাজারে আলী নেওয়াজের বাড়ির পশ্চিম পাশে এডভোকেট মোছাঃ মাকসুদা খাতুনের স্বামী মোঃ নাজমুল হোসেন মুন্সীর ক্রয়কৃত জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মান করার সময় আহাম্মদ আলীর হুকুমে ও সাদ্দাম হোসেন এর মদদে ৮/৯ জনের স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসীচক্র বে-আইনীভাবে জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে খুন করার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়।

সন্ত্রাসীরা তার উপর অতর্কিত ভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে এলোপাথারী ভাবে তার মাথায় কুপিয়ে তাকে গুরুতর ভাবে জখম করে এবং ইট, রড, ভেলচা দিয়ে পিটিয়ে বামহাত ভেঙ্গে দেয় এরপর বুট জুতা দিয়ে চটকায় এবং লাথি, কিল, ঘুশি মেরে আঘাত করে তার মেরুদন্ড, কোমর ও বাম পা মারাত্বকভাবে আহত করে। তার হাত পা অকার্যকর করে দেয়। সন্ত্রাসীরা তার গলায় ব্যবহৃত একটি সোনার চেইন, একটি হাতের সোনার ব্রেসলেট এবং একটি আইফোন ১১ প্রো নিয়ে যায়।

প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তাকে মহেশপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে জরুরী ভাবে যশোর সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সে এখন পর্যন্ত উঠে দাঁড়াতে পারছেন না । ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

জানা যায়, আহাম্মদ আলীর হুকুমে এডভোকেট মোছাঃ মাকসুদা খাতুনকে খুন করার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালায়। এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মদদ দাতা মোঃ সাদ্দাম হোসেন, পিতা- মৃত শামসুল হক, গ্রাম: আদমপুর, থানা: মহেশপুর, জেলা: ঝিনাইদহ এবং

আঃ মালেক, পিতা- আঃ বারেক ও আঃ সালাম পিতা- ইউছুফ আলী, আহমেদ আলী, পিতা- শতশত আলী, এবং লেয়াকত আলী, পিতা- সামছুল হক, আবদুল ওহাব ও আলী আহমেদ পিতা- রোছমত আলী, এরসাথে আলমগীর পিতা-আলী আহমেদ, ও সিরাজ সরদার পিতা -অজ্ঞাত, এবং রিনা সরদার পিতা- সিরাজ সরদার বড়খানপুর, চৌগাছা,যশোর।

এই ঘটনায় ৯ জন পরিকল্পনাকারী ও হামলাকারী সন্ত্রাসী চিহ্নিত হয়েছে এবং অজ্ঞাত ৪/৫ সন্ত্রাসীসহ মহেশপুর থানায় একটি ফৌজদারী মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ৭৫/৭৪৩, এখন পর্যন্ত এডভোকেট মোছাঃ মাকসুদা খাতুনের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীরা কেঁউ গ্রেপ্তার হয়নি। সাতজন আসামী মহেশপুর উপজেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রিয়াদ হাসান এর আদালত থেকে অজামিন যোগ্য ৩০৭ ও ৩২৬ ধারা উপেক্ষা করে জামিন নিয়ে এলাকায় দাপটের সাথেই ঘুরে বেড়াচ্ছে।

এ বিষয়ে সন্ত্রাসীরা কোনো কথা বলেননি,তবে প্রকাশ্য ভুক্তভোগী পরিবারকে জানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে চলেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ এবং আতংক বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।