1. [email protected] : amzad khan : amzad khan
  2. [email protected] : NilKontho : Anis Khan
  3. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  4. [email protected] : Nilkontho : rahul raj
  5. [email protected] : NilKontho-news :
  6. [email protected] : M D samad : M D samad
  7. [email protected] : NilKontho : shamim islam
  8. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  9. [email protected] : user 2024 : user 2024
  10. [email protected] : Hossin vi : Hossin vi
যুক্তরাষ্ট্র-ইইউ সংলাপে উঠে এলো বাংলাদেশ প্রসঙ্গ | Nilkontho
১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | বৃহস্পতিবার | ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
হোম জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি জেলার খবর আন্তর্জাতিক আইন ও অপরাধ খেলাধুলা বিনোদন স্বাস্থ্য তথ্য ও প্রযুক্তি লাইফষ্টাইল জানা অজানা শিক্ষা ইসলাম
শিরোনাম :
আগস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতের সংখ্যা জানালো যাত্রী কল্যাণ সমিতি আরো এক হত্যা মামলায় সাবেক বিচারক মানিক গ্রেপ্তার জাতিসংঘে বৈঠক হচ্ছে না ড. ইউনূস-মোদির হাসিনা সহযোগীদের সম্পদ তদন্তের জন্য যুক্তরাজ্যকে বাংলাদেশের অনুরোধ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে চাকরি ‘মব জাস্টিস’ নিয়ে সতর্ক করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চোখের পাপ থেকে বাঁচতে করণীয় ফল খাওয়ার কুফল ফের রিমান্ডে সালমান-আনিসুল শহীদ পরিবার ও আহতদের কল্যাণে এগিয়ে আসার আহ্বান আসিফ মাহমুদের আ. লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ গ্রেফতার ‘দরবেশের’ থাবায় লণ্ডভণ্ড পুঁজিবাজার ১২শ’ কোটি টাকার ৪টি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন ভারতে ইলিশের কেজি ৪ হাজার টাকা ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতায় যা যা করতে পারবে সেনাবাহিনী লেবাননে ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণে নিহত ১৪, আহত ৪৫০ আমল করলেও যে কারণে কবুল হয় না সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা: সিআরপিসির ১৭টি ধারায় কী কী কথা বলা আছে চুয়াডাঙ্গায় নিসচা’র সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ গান চুরির অভিযোগে গায়িকার বিরুদ্ধে মামলা

যুক্তরাষ্ট্র-ইইউ সংলাপে উঠে এলো বাংলাদেশ প্রসঙ্গ

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

চীন ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর ওপর কূটনীতি, ব্যবসাসহ নানা ইস্যুতে দ্বিপাক্ষিক সংলাপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ওই সংলাপে বাংলাদেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গত ৯-১০ সেপ্টেম্বর দুদিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ-এর মধ্যে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে ওই সংলাপের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।

সংলাপে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতিমালা, চীন ও তাইওয়ান সমস্যা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে চীনের সম্পৃক্ততা, মিয়ানমার সংকটে যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের নীতি, ভারত মহাসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর নানা বিষয় সংলাপে উঠে এসেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সামুদ্রিক গোলক, শক্তি এবং সংযোগসহ নিরাপত্তার বিষয়ে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলোতে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংশ্লিষ্টতার মূল্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের সর্বশেষ অগ্রগতি নিয়েও কথা বলেছে।

মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট কার্ট ক্যাম্পবেল এবং ইউরোপীয় এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিস (ইইএএস) সেক্রেটারি জেনারেল স্টেফানো স্যানিনোর চীনের ওপর মার্কিন-ইইউ সংলাপের এটি সপ্তম উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক এবং ইন্দো-প্যাসিফিকের ওপর তাদের এটি ষষ্ঠ উচ্চ-স্তরের বৈঠক।

ক্যাম্পবেল ও স্যানিনো চীনের সঙ্গে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পৃক্ততা এবং তাদের নিজ নিজ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিপথ নিয়ে আলোচনা করেছেন। যেহেতু চীনের সঙ্গে একটা ন্যায্য প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ, তাই দেশটির সঙ্গে যোগাযোগের পথ খোলা রাখা গুরুত্বপূর্ণ বলে তারা মনে করেন। তারা চীনের সঙ্গে অভিন্ন স্বার্থ এবং পার্থক্যের ক্ষেত্রে খোলাখুলি থাকবে বলে নিজের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তারা মনে করেন  যৌথ উদ্দেশ্য, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও স্বার্থের অগ্রগতির জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় গুরুত্বপূর্ণ।

তারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়ার কাছে চীনের সরঞ্জাম রপ্তানিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই দুই কূটনীতিক মনে করেন চীনের সমর্থনের কারণে রাশিয়া ইউক্রেনে  এই অবৈধ যুদ্ধ বজায় রাখতে পারছে, যা ট্রান্সআটলান্টিকের পাশাপাশি বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ। তারা মনে করেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসাবে চীনকে জাতিসংঘের সনদসহ আন্তর্জাতিক আইনের সমর্থনে কাজ করা উচিত। ইউক্রেনে যেকোনো শান্তি প্রস্তাব অবশ্যই জাতিসংঘের সনদ এবং এর নীতিগুলোর ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত বলে তারা মনে করেন। সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম-ভিত্তিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে চীনের পদক্ষেপ কামনা করেন তারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন চীনের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ এবং ন্যায্য অর্থনৈতিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব দেয়। নিয়ম-ভিত্তিক, অবাধ ও ন্যায্য বাণিজ্যের প্রতিও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কোম্পানিগুলোর জন্য প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টির ক্ষেত্র তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য। কিন্তু চীনের কৌশল এ দিক থেকে বিপরীতমুখী। চীন অ-বাজার নীতি ও অনুশীলনে করে যাচ্ছে, যা এক রকম অর্থনৈতিক জবরদস্তির সামিল। তবে এটা মোকাবিলা করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র-ইইউ।

ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট ক্যাম্পবেল এবং সেক্রেটারি জেনারেল সানিনোও চীনের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। এ বিষয়ে চীনের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংশ্লিষ্টতাসহ উভয়ই তিব্বত এবং জিনজিয়াংসহ চীন কর্তৃক অব্যাহত মানবাধিকার লঙ্ঘন মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাকে কার্যকরভাবে সহযোগিতা করতে চীনের কাজ করা উচিত বলেও তারা মনে করেন। চীন অনেককে অন্যায় ও নির্বিচারে আটক করছে বলে তারা অভিযোগ করেছেন। অন্যায়ভাবে, নির্বিচারে আটক সব ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য চীনের প্রতি তারা আহ্বান জানিয়েছেন। তারা চীনের আন্তর্জাতিক দমন-পীড়ন অনুশীলনের বিরুদ্ধে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা বিদেশি তথ্য ম্যানিপুলেশন এবং হস্তক্ষেপ শনাক্তকরণ এবং প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত তথ্য শেয়ার করা চালিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসন, স্বাধীন প্রতিষ্ঠান এবং সুশীল সমাজের ওপর চীনের ক্র্যাকডাউন, মৌলিক আইনের ২৩ ধারার অধীনে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে মার্চ, ২০২৪ এর মাধ্যমে অধিকার ও স্বাধীনতার ক্রমাগত অবক্ষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাইওয়ান প্রণালিজুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছে। তারা মনে করে এটা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য। তারা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আন্তঃপ্রণালি সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে। তারা তাইওয়ান প্রণালি এবং তাইওয়ানের আশেপাশে সংযমের সঙ্গে কাজ করার জন্য চীনকে আহ্বান জানিয়েছে। তারা স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের যেকোনো একতরফা প্রচেষ্টার বিরোধিতা করেছে, বিশেষ করে বলপ্রয়োগ বা জোরপূর্বক কোনো  কিছু করা। তারা আন্তর্জাতিক সংস্থায় তাইওয়ানের অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।

উভয় পক্ষই পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরে উত্তেজনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। চীনের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তাদের দৃঢ় বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করেছে, যা সমুদ্রে জীবনের নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে এবং নৌ চলাচলের স্বাধীনতাকে লঙ্ঘন করে। উভয় পক্ষ পিআরসি এবং ফিলিপাইনের মধ্যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছে, তবুও দক্ষিণ চীন সাগরে বৈধ ফিলিপাইনের আকাশ ও সামুদ্রিক অভিযানের বিরুদ্ধে চীনের বিপজ্জনক এবং বর্ধিত পদক্ষেপের বিষয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছে।

ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট ক্যাম্পবেল এবং সেক্রেটারি জেনারেল স্যানিনোও ইন্দো-প্যাসিফিকের উচ্চ-স্তরের পরামর্শের ষষ্ঠ বৈঠক করেছেন। তারা একটি মুক্ত, উন্মুক্ত এবং নিয়ম-ভিত্তিক ইন্দো-প্যাসিফিকের কথা বলেছেন। তারা এই অঞ্চলের দেশগুলোর পারস্পরিক সমর্থন, অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমৃদ্ধ ও সুরক্ষিত এবং সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান নিয়ে আলোচনা করেছেন। মানবাধিকার, মৌলিক স্বাধীনতা, লিঙ্গ সমতা এবং আইনের শাসনের ক্ষেত্রে তারা একমত হয়েছেন। তারা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থা বিশ্লেষণপূর্বক নিজ নিজ মূল্যায়ন শেয়ার করেছেন।

তারা মিয়ানমারের বর্তমান চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেছেন। জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টারের ২৬ জুনের প্রতিবেদনে সামরিক সরকারকে সহায়তাকারী ব্যাংকগুলো চিহ্নিত করে এবং সীমাবদ্ধ ব্যবস্থার সমন্বয় ও মূল্যায়নকে আরও বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন। তারা রাশিয়ায় ডিপিআরকে-এর ক্রমাগত অস্ত্র হস্তান্তর এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার ডিপিআরকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

উভয় পক্ষ এই অঞ্চল জুড়ে তাদের আরও নিজ নিজ ব্যস্ততা এবং অংশীদারিত্ব নিয়েও আলোচনা করেছে। তারা আঞ্চলিক সংযোগে  যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্মিলিত উদ্যোগের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছে, বিশেষ করে গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট (পিজিআই) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের গ্লোবাল গেটওয়ের জন্য অংশীদারিত্বের কাঠামোতে। তারা ইন্দো-প্যাসিফিক জুড়ে ক্লিন এনার্জি কানেক্টিভিটি গড়ে তোলার জন্য অঙ্গীকার নিশ্চিত করেছে। জাস্ট এনার্জি ট্রানজিশন পার্টনারশিপ (জেইটিপি) এর মাধ্যমে ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়াতে সমন্বয় অগ্রসর করার পরিকল্পনা করেছে।

তারা ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চলমান এবং ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততা নিয়ে আলোচনা করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র দ্বীপ উন্নয়নশীল রাজ্য (এসআইডিএস) এবং ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) সঙ্গে সমর্থন।

এই পোস্ট শেয়ার করুন:

এই বিভাগের আরো খবর

নামাযের সময়

সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৩৩
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৬:১২
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৩৮
  • ১২:০৩
  • ৪:২৫
  • ৬:১২
  • ৭:২৬
  • ৫:৫০

বিগত মাসের খবরগুলি

শুক্র শনি রবি সোম মঙ্গল বু বৃহ
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০