চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে আবারও শিলাবৃষ্টির তান্ডব : বাড়লো ক্ষয়ক্ষতি
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে আবারও শিলাবৃষ্টি তান্ডব চালিয়েছে। এতে বেড়েছে আরও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। মৌসুমী ফলের মুকুল ঝরে পড়ায় ফলন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষীরা। গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে প্রায় ৫০ মিনিট ধরে চলে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে শিলাবৃষ্টি। জেলা আবহাওয়া অফিসের মিলিমিটারে এ বৃষ্টির পরিমাপ ছিল ৫.৪ মি.মি। এদিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের জোড়গাছা গ্রামের মাঠে কাজ করার সময় ঝড় ও শিলাবৃষ্টির কবলে পড়ে আমজাদ হোসেন (৫২) নামের একজন কৃষক নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আচমকা শিলাবৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় সদর, আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠে মাঠে শত শত বিঘা আলু, পেয়াজ, রসুন, সরিষাসহ এ জাতীয় ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে। মাটিতে লুটিয়ে পড়া ধান, ভুট্টা, কলাসহ বিভিন্ন ফসলে পঁচন শুরু হয়েছে। টানা দু’দিনের শিলাবৃষ্টিতে আরও ঝরে পড়েছে আম ও লিচুর মুকুল।
আমাদের আলমডাঙ্গা অফিস জানায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের জোড়গাছা গ্রামে প্রচন্ড ঝড় ও শিলাবৃষ্টির কবলে একজন কৃষক নিহত হয়েছেন। রোববার বিকালে জোড়গাছা গ্রামের এবাদত আলীর ছেলে আমজাদ হোসেন (৫২) বাড়ি থেকে গরু নিয়ে মাঠে চরাতে গেলে হঠাৎ প্রচন্ড ঝড় ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় বাড়ির অন্যান্য লোকজন ফিরে গেলেও আমজাদ হোসেনকে বাড়িতে না দেখতে পেয়ে ঝড়, বৃষ্টি থামলে বাড়ির লোকজন মাঠে খুঁজতে যায়। বহু খোজাখুঁজির পর তারা আমজাদকে মাঠের ভেতর পড়ে থাকতে দেখে। তারা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে দ্রুত গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। এ সময় আমজাদের বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে। গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে জানাযা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলে আমজাদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে। এদিকে, প্রচন্ড ঝড় ও শীলবৃষ্টিতে ফসল, আমের গুটিসহ কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।























































