মঙ্গলবার | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশে গেছে ১১ লাখ ১৬ হাজারের বেশি কর্মী, রেমিট্যান্স এসেছে ১৫,৭৯১ মিলিয়ন ডলার Logo চাঁদপুর-৩ আসনে গনফোরাম মনোনীত প্রার্থী অ্যাড. সেলিম আকবরের মনোনয়ন দাখিল Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী নুরুল ইসলাম বেপারী Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন Logo চুয়াডাঙ্গা ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে কাপছে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৬ ডিগ্রি Logo চুয়াডাঙ্গা -১ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী জনাব, মো: শরীফুজ্জামান শরীফ এর মনোনয়ন ফর্ম জমা Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন অ্যাড. শাহজাহান মিয়া Logo ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, মতলব উত্তর উপজেলা শাখার শপথ অনুষ্ঠান Logo আসন্ন নির্বাচন আয়োজনে ‘আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত’ : প্রধান উপদেষ্টা Logo পলাশবাড়ী চৌমাথায় সৌন্দর্যহীন ফাঁকা জায়গা, নান্দনিক উন্নয়নের দাবি স্থানীয়দের

জরাজীর্ণ মাথাভাঙ্গা সেতু : ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০১:৪২:১৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০১৯
  • ৭৩৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত মাথাভাঙ্গা নদীর সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। এতে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর জেলার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। ইতোমধ্যে এক বছরের ব্যবধানে সেতুর মাঝখানে দুটি স্থান ধসে গেছে। কোনো রকমে জোড়াতালি দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি সচল রাখা হয়েছে। এলাকাবাসী দ্রুত নতুন সেতু নির্মাণ করে হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত নির্বিঘœ করার দাবি জানিয়েছেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, নতুন সেতু নির্মাণের দরপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। কার্যাদেশ শেষে শিগগিরই নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রাণকেন্দ্র বড়বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে মাথাভাঙ্গা নদী। ১৯৬২ সালে মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত হয় সেতুটি যা চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার একমাত্র সংযোগ সেতু। মাথাভাঙ্গা সেতু নামে পরিচিত সেতুটির দৈর্ঘ্য ১৪০ মিটার। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বোমা হামলায় সেতুর পূর্ব দিকের কিছু অংশ উড়ে যায়। পরবর্তীতে ভাঙা অংশ পুনর্নিমাণ করে চলাচলের উপযোগী করা হয়। তারপর থেকে সেতুটি ব্যবহার হয়ে আসছিল। ২০১৫ সালের ২৫ অক্টোবর সেতুর মাঝের অংশ ধসে যায়। ধসে যাওয়া অংশ ইস্পাতের পাটাতন দিয়ে মেরামত করা হয়। এ অবস্থায় চলাচলের একপর্যায়ে ২০১৮ সালের ৩ জানুয়ারি আবারো একটি অংশ ধসে পড়ে। ফলে এখন ঝুঁকির মধ্যদিয়ে চলাচল করছে ছোট-বড় হরেক রকম যানবাহন। বড় কোনো যানবাহন সেতুর ওপর উঠলে দুলতে থাকে সেতুটি। এতে যাত্রী সাধারণের মনে ভীতির সঞ্চার হয়। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
এলাকার বাসিন্দা, পথচারী, গাড়ির চালকসহ অনেকে জানান, সেতুর পিলারের অনেক স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। পলেস্তারা খসে নদীতে গোসল করতে আসা মানুষের গায়ে পড়ছে। সেতুর ওপর ছোট-বড় গাড়ি উঠলে সেতুটি কাঁপতে থাকে। ভয়ে ভয়ে তাদের সেতুটি পার হতে হয়। তা ছাড়া এর ওপর দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে। চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর জেলার একমাত্র সংযোগ সেতু। সেতুটি ভেঙে গেলে দুই জেলার মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
চুয়াডাঙ্গা সড়ক জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হায়দার বলেন, চুয়াডাঙ্গার প্রধান নদী মাথাভাঙ্গার সেতুটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পুরাতন সেতুর পাশেই নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে। নতুন সেতু নির্মাণের জন্য দরপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। দরপত্র মূল্যায়নের কাজ চলছে। সেতু নির্মাণে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। চলতি অর্থ বছরেই এর কাজ উদ্বোধন করা হবে। নির্মাণকাজ শুরু হলে শেষ হতে সময় লাগবে দুই বছর।

এসএম শাফায়েত:

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশে গেছে ১১ লাখ ১৬ হাজারের বেশি কর্মী, রেমিট্যান্স এসেছে ১৫,৭৯১ মিলিয়ন ডলার

জরাজীর্ণ মাথাভাঙ্গা সেতু : ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

আপডেট সময় : ০১:৪২:১৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০১৯

নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত মাথাভাঙ্গা নদীর সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। এতে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর জেলার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। ইতোমধ্যে এক বছরের ব্যবধানে সেতুর মাঝখানে দুটি স্থান ধসে গেছে। কোনো রকমে জোড়াতালি দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি সচল রাখা হয়েছে। এলাকাবাসী দ্রুত নতুন সেতু নির্মাণ করে হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত নির্বিঘœ করার দাবি জানিয়েছেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, নতুন সেতু নির্মাণের দরপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। কার্যাদেশ শেষে শিগগিরই নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রাণকেন্দ্র বড়বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে মাথাভাঙ্গা নদী। ১৯৬২ সালে মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত হয় সেতুটি যা চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার একমাত্র সংযোগ সেতু। মাথাভাঙ্গা সেতু নামে পরিচিত সেতুটির দৈর্ঘ্য ১৪০ মিটার। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বোমা হামলায় সেতুর পূর্ব দিকের কিছু অংশ উড়ে যায়। পরবর্তীতে ভাঙা অংশ পুনর্নিমাণ করে চলাচলের উপযোগী করা হয়। তারপর থেকে সেতুটি ব্যবহার হয়ে আসছিল। ২০১৫ সালের ২৫ অক্টোবর সেতুর মাঝের অংশ ধসে যায়। ধসে যাওয়া অংশ ইস্পাতের পাটাতন দিয়ে মেরামত করা হয়। এ অবস্থায় চলাচলের একপর্যায়ে ২০১৮ সালের ৩ জানুয়ারি আবারো একটি অংশ ধসে পড়ে। ফলে এখন ঝুঁকির মধ্যদিয়ে চলাচল করছে ছোট-বড় হরেক রকম যানবাহন। বড় কোনো যানবাহন সেতুর ওপর উঠলে দুলতে থাকে সেতুটি। এতে যাত্রী সাধারণের মনে ভীতির সঞ্চার হয়। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
এলাকার বাসিন্দা, পথচারী, গাড়ির চালকসহ অনেকে জানান, সেতুর পিলারের অনেক স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। পলেস্তারা খসে নদীতে গোসল করতে আসা মানুষের গায়ে পড়ছে। সেতুর ওপর ছোট-বড় গাড়ি উঠলে সেতুটি কাঁপতে থাকে। ভয়ে ভয়ে তাদের সেতুটি পার হতে হয়। তা ছাড়া এর ওপর দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে। চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর জেলার একমাত্র সংযোগ সেতু। সেতুটি ভেঙে গেলে দুই জেলার মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
চুয়াডাঙ্গা সড়ক জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হায়দার বলেন, চুয়াডাঙ্গার প্রধান নদী মাথাভাঙ্গার সেতুটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পুরাতন সেতুর পাশেই নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে। নতুন সেতু নির্মাণের জন্য দরপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। দরপত্র মূল্যায়নের কাজ চলছে। সেতু নির্মাণে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। চলতি অর্থ বছরেই এর কাজ উদ্বোধন করা হবে। নির্মাণকাজ শুরু হলে শেষ হতে সময় লাগবে দুই বছর।

এসএম শাফায়েত: