প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সুশিক্ষাই শিক্ষিত হতে হবে
নিউজ ডেস্ক: আলমডাঙ্গা সরকারী কলেজের প্রতিটি ইট, পাথর, পলেস্তারা আর বালু কণার সাথে মিশে আছে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের তিন তিন বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপির নাম। অনেকেই কথা দিয়েছেন কিন্তু কেউ কথা রাখেনি। কথা রেখেছেন সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। দীর্ঘ ৫৩ বছর পর আলমডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজ সরকারীকরণ করলেন সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। গতকাল আলমডাঙ্গা সরকারী কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী ও সকল শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি’কে এক ব্যতিক্রম সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় এই সংবর্ধনা সভা আয়োজন করা হয়। তিনি কলেজের নিকট পৌছালে মুহুর্মুহু শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে কলেজ প্রাঙ্গণ। শিক্ষার্থীরা ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে স্বাগত জানিয়ে মূল মঞ্চে নিয়ে যান। সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা সরকারী কলেজের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহাত মান্নান। প্রধান অতিথি হিসেবে সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি সকলের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে ওঠে। তিনি বলেন আপনারা আজকে আমাকে যে সম্মান দিলেন তা চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন তোমরা আমাদের সন্তান, তোমাদেরকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের আরো বলেন, শিক্ষা জীবনে ফাঁকি দিলে, তোমরা নিজেরাই ফাঁকিতে পড়বে। প্রত্যেকটা অভিভাবকরা চাই তার সন্তান সুশিক্ষাই শিক্ষিত হয়ে, সমাজের একজন ভালো মানুষ হয়ে উঠুক। তা হতে হলে তোমাদেরকে অবশ্যই মনোযোগ সহকারে লেখাপড়া করতে হবে। শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা সঠিকভাবে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করালে অবশ্যই শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা বন্ধব সরকার। আপনারা জানেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এক সাথে ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেছে। কারণ ওইটাই হচ্ছে মূল ভিত্তি। এর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৩৪ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারীকরণ করেছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সারা বাংলাদেশের প্রত্যেক উপজেলায় ১টি করে কলেজ ও ১টি করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারী করণের পদক্ষেপ নেন। ওই সময় আমি আলমডাঙ্গা মানুষের দীর্ঘদিনের আকাঙ্খা আলমডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজ ও আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারীকরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কথা রেখেছেন। এখন আপনারা সরকারী কলেজের শিক্ষক ও তোমরাও সরকারী কলেজের ছাত্র/ছাত্রী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আব্দুর রশীদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাষ্টার, মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সালাউদ্দিন টিপু, এমএস জোহা কলেজের অধ্যক্ষ অমর আলী, ওসি তদন্ত লুৎফুল কবীর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলমডাঙ্গা সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম সরোয়ার। প্রভাষক আমিরুল ইসলাম জয়ের উপস্থাপনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কলেজের বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা শিক্ষানুরাগী লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, সাবেক সদস্য শাহ্ আলম, রোকনুজ্জামান ডাবলু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদুর রহমান অরুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ শাহাবুদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মাসুন রানা তুহিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালমুন আহমেদ ডন, সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল হক, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা তপন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নয়ন সরকার, সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান তমাল, আলমডাঙ্গা সরকারী স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইংরেজী বিভাগে প্রধান জেসমিন আরা, বাংলা বিভাগে প্রধান মুঞ্জুরুল ইসলাম, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে প্রধান আল মামুন রেজা, অর্থনীতি বিভাগের প্রধান বাসেত আলী, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রধান তাসলিমা খাতুন, রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান মহিতুর রহমান, ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান রেজাউল ইসলাম, গণিত বিভাগের প্রধান জেসমিন বেগম, সিনিয়ার শিক্ষক আলম হোসেন, আব্দুল মোমেন, মাকছুদুর রহমান, হাবিবুর রহমান, খলিলুজ্জামান, তাপস রশীদ, মালেকা পারভীন, রেজিয়া সুলতানা টুম্পা, আনোরুজ্জামান, শেখ শফি উজ্জামান, অমিত কুমার দত্ত, মুসলিমা খাতুন প্রমুখ। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন একাদশ শ্রেণির তাসনুভা শাহরিন পৃথা, নাইমুর রহমান। সঙ্গীত পরিবেশন করেন তমা বিশ্বাস, ওয়াকিনা হাসান কনা, তন্দ্রা সাহা, পাপড়ি সাহা, মিথিলা ফারজানা ও প্রভাষক রবিউল ইসলাম।