ভর্তি ১০৩ রোগী : সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা
নিউজ ডেস্ক:তীব্র শিতে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। এতে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ। শীতে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশি, জ্বর, ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত। বিশেষ করে ঠা-াজনিত রোগে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। এদের অনেকেই ঠা-াজনিত সর্দি, জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপালের ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। গত তিনদিনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া আক্রান্তে শিশুসহ ১০৩ জন ভর্তি হয়েছেন। এছাড়াও শীতজনিত রোগে প্রতিদিন আক্রান্ত হয়ে নতুন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন কয়েক’শ রোগী।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের দু’টি কক্ষ নিয়ে ডায়রিয়া ওয়ার্ড। দু’টি কক্ষ সব সময় রোগীতে পরিপূর্ণ থাকে। তবে কক্ষের কোনোটিতে বেড নেই। তাই মেঝেতে রোগীদের থাকতে হচ্ছে। চাপ বাড়লে বাইরের বারান্দায় রোগীদের থাকতে দিতে হয়। মেঝে ও বারান্দায় রোগীদের চিকিৎসা চলছে। সব মিলিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী ও তার স্বজনেরা বলেন, তীব্র শীতে হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে কোন জায়গা নাই। বারান্দায় চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। সেবা দিতে যেমন হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তেমনই শীতে জরাজীর্ণ হতে হচ্ছে আমাদের।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন খাইরুল আলম রোগীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তন, বাসি খাবার খাওয়াসহ নানা কারণে শিশু ও সব বয়সের মানুষ ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। গত কয়েকদিনে জেলায় ডায়রিয়া রোগের প্রাদূর্ভাব বেড়েছে অনেক। আর বহির্বিভাগ থেকে প্রতিদিন ১০০ জনের ও বেশি জন ডায়রিয়া ও শীতজনিত কারণে রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত তিনদিনে তিন শতাধিকের বেশি রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, রোটা ভাইরাসের কারণে শিশুরা বেশি ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে স্থান সংকুলান না হওয়ায় রোগীদের বারান্দায়, সিড়ি ও বাইরে থাকতে হচ্ছে শীতে কষ্ট করে। এ কারণে সিভিল সার্জনের পরামর্শ, মলত্যাগ করার পর সাবান দিয়ে হাত ধুলে ডায়রিয়ার আশঙ্কা ৪০ শতাংশ হ্রাস করে। তাই বড়দের পাশাপাশি শিশুদেরও খাওয়ার আগে ও পরে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। নখ কেটে সব সময় ছোট রাখতে হবে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে তারা বাইরে খেলাধুলা করে, ঘরের ছোট ছোট জিনিস হাতে নিয়ে মুখে দেয়। তাই সবসময় হাত পরিষ্কার রাখা উচিত। খাবার সব সময় ঢেকে রাখা উচিত। পরিষ্কার স্থানে খাবার রাখা। টয়লেট থেকে আসার পর সাবান বা ছাই দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। প্রতিটি বাসাবাড়িতে খাওয়ার স্যালাইন ও জিঙ্ক ট্যাবলেট সব সময় রাখা উচিত।