সোমবার | ১ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় Logo সদরপুরে গার্ডিয়ান এর এরিয়া অফিস উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে ১০ লাখ টাকার মৃত্যু দাবী চেক বিতরণ। Logo ৪৫তম বিসিএস-এ ক্যাডার বুটেক্সের ১৩ শিক্ষার্থী Logo হাবিপ্রবিতে মশার উপদ্রবে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা, ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের Logo জবিস্থ চুয়াডাঙ্গা ছাত্রকল্যাণের নেতৃত্বে সজিব ও তরিকুল Logo মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া চিকিৎসা খালেদা জিয়া গ্রহণ করতে পারছেন : ডা. জাহিদ Logo কচুয়ায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন গণঅধিকার পরিষদ নেতা এনায়েত হাসিব Logo কচুয়ায় ইউএনও হেলাল চৌধুরীর বিদায় সংবর্ধনা Logo জীবননগর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা সভাপতি রিংকু, সম্পাদক ফরহাদ

ঝালকাঠিতে জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে পন্ড

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৫:৩২:৪০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
  • ৭৭৮ বার পড়া হয়েছে

রিপোর্ট : ইমাম বিমান: ঝালকাঠিতে গভীর রাতে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে পন্ড সহ মেয়ের বাবার কাছ থেকে মুছলেকা আদায়ের ঘটনা ঘটেছে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারী সোমবার বিকেলে সদর উপজেলাধীন ২ নং বিনয়কাঠি ইউনিয়নের শের-ই বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মাবলম্বী এক ছাত্রীর (১৭) (চলমান ২০১৮ সালের বানিজ্য বিভাগের এসএসসি পরীক্ষার্থী) বিয়ের লগ্নের পূর্বে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন মেয়ের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করেন সেই সাথে মেয়ের বাবার কাছ থেকে বাল্য বিয়ে দিবোনা বলে মর্মে মুছলেকা আদায় করেন।

এ বিষয় জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রগাম অফিসার নাছরিন আক্তার জানান, গত ২৬ ফেব্রুয়ারী দুপুরে আমাদের কাছে সংবাদ আসে বিনিয়কাঠি ইউনিয়নের শের-ই বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মাবলম্বী এক ছাত্রীর আজকে সন্ধ্যায় গোধূলী লগ্নে বিয়ে হতে চলছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে আমাদের জেলা মহিলা অধিদপ্তর কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন স্যার বিকেলে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের সত্যতা জানতে পারেন। এ সময় স্যার মেয়ের বাবার কাছ থেকে বাল্য বিয়ে দিবনা মর্মে মুছলেকা আদায় করেন। পরে রাতে আমার কাছে আবারও সংবাদ আসে গভীর রাতে ঐ ছাত্রীর পুনরায় বিয়ে হতে চলছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে আমি ঝালকাঠি সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে বিষয়টি জানালে তিনি রাত আনুমানিক দশটার সময় সদর থানার এসআই হারুনকে ঘটনা স্থানে পাঠালে এসআই হারুন বিয়ে বাড়ী গেলে পুলিশের টের পেয়ে বিয়ে করতে আসা পিরোজপুর জেলাধীন নাজিরপুর উপজেলার মালিখালি ইউনিয়ের খাগড়াখালি গ্রামের মৃত মনিদ্র হালদারের ছেলে গোপাল হালদারের এবং তার সাথে থাকা লোকজন পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে ঐ রাতেই বিয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ

ঝালকাঠিতে জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে পন্ড

আপডেট সময় : ০৫:৩২:৪০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

রিপোর্ট : ইমাম বিমান: ঝালকাঠিতে গভীর রাতে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে পন্ড সহ মেয়ের বাবার কাছ থেকে মুছলেকা আদায়ের ঘটনা ঘটেছে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারী সোমবার বিকেলে সদর উপজেলাধীন ২ নং বিনয়কাঠি ইউনিয়নের শের-ই বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মাবলম্বী এক ছাত্রীর (১৭) (চলমান ২০১৮ সালের বানিজ্য বিভাগের এসএসসি পরীক্ষার্থী) বিয়ের লগ্নের পূর্বে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন মেয়ের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করেন সেই সাথে মেয়ের বাবার কাছ থেকে বাল্য বিয়ে দিবোনা বলে মর্মে মুছলেকা আদায় করেন।

এ বিষয় জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রগাম অফিসার নাছরিন আক্তার জানান, গত ২৬ ফেব্রুয়ারী দুপুরে আমাদের কাছে সংবাদ আসে বিনিয়কাঠি ইউনিয়নের শের-ই বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মাবলম্বী এক ছাত্রীর আজকে সন্ধ্যায় গোধূলী লগ্নে বিয়ে হতে চলছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে আমাদের জেলা মহিলা অধিদপ্তর কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন স্যার বিকেলে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের সত্যতা জানতে পারেন। এ সময় স্যার মেয়ের বাবার কাছ থেকে বাল্য বিয়ে দিবনা মর্মে মুছলেকা আদায় করেন। পরে রাতে আমার কাছে আবারও সংবাদ আসে গভীর রাতে ঐ ছাত্রীর পুনরায় বিয়ে হতে চলছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে আমি ঝালকাঠি সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে বিষয়টি জানালে তিনি রাত আনুমানিক দশটার সময় সদর থানার এসআই হারুনকে ঘটনা স্থানে পাঠালে এসআই হারুন বিয়ে বাড়ী গেলে পুলিশের টের পেয়ে বিয়ে করতে আসা পিরোজপুর জেলাধীন নাজিরপুর উপজেলার মালিখালি ইউনিয়ের খাগড়াখালি গ্রামের মৃত মনিদ্র হালদারের ছেলে গোপাল হালদারের এবং তার সাথে থাকা লোকজন পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে ঐ রাতেই বিয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়।