নিউজ ডেস্ক:
জয়ের স্বপ্ন পূরণে সকলের আন্তরিক সহায়তা চেয়েছেন নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলের ২৪ নম্বর ডিস্ট্রিক্টের প্রার্থী তৈয়বুর রহমান হারুন।
গত রবিবার কুইন্সের জ্যামাইকায় এবং এর আগে ২৫ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসে দুটি সমাবেশ থেকে প্রবাসীরাও একই স্লোগানে উচ্চকিত হন যে, ‘বিজয়ের এ প্রত্যাশাকে বাস্তবায়ন করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতেই হবে।
দলমত এবং আঞ্চলিকতার উর্ধে থেকে হারুনকে ভোট দিতে হবে মাতৃভূমির সার্বিক কল্যাণের পথ সুগম করতে। ’
কাউন্সিলম্যান পদে ডেমক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়ন দৌড়ে থাকা হারুনের সমর্থনে অনুষ্ঠিত সভায় তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান কম্যুনিটি লিডার ফখরুল আলম সর্বশেষ অবস্থার আলোকে বলেন, ‘সীমিত সম্পদ সত্ত্বেও আমরা প্রচন্ডভাবে আশাবাদি জয়ের ব্যাপারে। কারণ, যাকেই ফোন করছি, তিনিই সানন্দে সমর্থন ব্যক্ত করার পাশাপাশি ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার কেন্দ্রে গিয়ে হারুনকে ভোট দেয়ার অঙ্গিকার করছেন। এটা সবচেয়ে বড় সাফল্য আমাদের যে, নির্বাচকদের মধ্যে সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছি।
আগের নির্বাচনে ডেমক্র্যাটিক পার্টি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী এডভোকেট মুজিবর রহমান বলেন, ‘বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে জয় ছিনিয়ে আনার। এজন্যে সবকিছুর উর্ধে উঠতে হবে প্রত্যেক ভোটারকে। এটি জাতীয় এবং সম্প্রদায়গত স্বার্থে প্রয়োজন। হারুন হচ্ছেন আমাদের সকলের প্রতিনিধি, বাংলাদেশের প্রতিনিধি। ’
প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জ্যাকসন হাইটসের মেজবান পার্টি হলের সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন তৈয়বুর রহমানের প্রধান নির্বাচনী উপদেষ্টা কাজী আজহারুল হক মিলন, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মোল্লাহ মনিরুজ্জামান, কম্যুনিটি এ্যাক্টিভিস্ট শীতাংশ গুহ, শামসুল হুদা, শরাফ সরকার, মো: শাহনেওয়াজ, তৈয়বুর রহমানের নির্বাচন কমিটির ম্যানেজার ডোনাল্ড, বদরুল হুদা, বাংলাদেশ সোসাইটির ৩ বারের নির্বাচন কমিশনার আবু নাসের।
উল্লেখ্য, ডেমক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী বাছাই তথা প্রাইমারি নির্বাচনে এই ডিস্ট্রিক্টে মাত্র দু’জন প্রার্থী। অপরজন হলেন বর্তমান কাউন্সিলম্যান ররি ল্যান্সম্যান। তাকে পরাজিত করতে পারলেই তৈয়বুর রহমান হারুন জিতে যাবেন। কারণ, এ এলাকার রেজিস্টার্ড ভোটারের ৭০% এরও অধিক হচ্ছেন ডেমক্র্যাট। এ এলাকা থেকে এর আগে আরেকজন লড়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশী-আমেরিকানদের ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম না হওয়ায় জয়ী হতে পারেননি। সে অভিজ্ঞতার আলোকে এবার সবকিছু ঢেলে সাজিয়ে মাঠে নেমেছেন সকলে।
তৈয়বুর রহমান হারুন বলেন,‘নিউইয়র্ক বিশাল এক নগরী। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও বহুমাত্রিক। এই নগরীর প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রয়েছে সমান সুযোগ সুবিধা ভোগ করার। বিশেষ করে প্রতিটি ডিষ্ট্রিক্টে সিটি বাজেট থেকে বরাদ্দকৃত অর্থের ন্যায্য হিস্যা সবাইকে দিতে হবে। কিন্তু বিগত চার বছর ডিষ্ট্রিক্ট ২৪ এর জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের সম-ব্যবহার করেননি বর্তমান কাউন্সিলম্যান।
হারুন অভিযোগ করে বলেন, ‘চলতি বছরের ৭ লাখ ডলার বরাদ্দের মধ্যে ৫১ শতাংশ অর্থ বিশেষ একটি কমিউনিটির জন্য ব্যয় করা হয়েছে। ২৯ শতাংশ অর্থ অন্যান্য কমিউনিটির জন্য এবং ১৪ শতাংশ অর্থ ব্যয় করা হয়েছে ডিষ্ট্রিক্টের বাইরের কাজে। তিনি নির্বাচিত হলে এ ধরনের অনিয়ম রোধ করে সবার জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।