শিরোনাম :
Logo সিনিয়র আরসিওয়াই ফোরাম চাঁদপুর ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন Logo সাজিদের মৃত্যুতে বিক্ষোভে উত্তাল ইবি, শিক্ষার্থীদের তদন্ত ও নিরাপত্তার দাবি Logo সাজিদের রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে ইবি ছাত্রদলের মানববন্ধন Logo সড়ক দুর্ঘটনায় খুলনার জামায়াত নেতা নিহত Logo আজ গোপালগঞ্জে ১৪ ঘণ্টার জন্য শিথিল করা হয়েছে কারফিউ Logo জামায়াতের সমাবেশের জন্য প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, জড়ো হচ্ছেন নেতাকর্মীরা Logo কচুয়া প্রেসক্লাবের বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত Logo বরেন্দ্র জাদুঘর–ইংল্যান্ডের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা, প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় ধাপ শুরু Logo নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মিলনমেলা Logo সাজিদের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত দাবিতে শিবিরের টর্চ লাইট মিছিল

বদহজমের জন্য দায়ী যেসব অভ্যাস !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:১২:২৫ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৫ জুলাই ২০১৭
  • ৭৫৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বদহজম মানবদেহে অতি পরিচিত একটি সমস্যা। পেট ফুলে থাকা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য বদহজমের লক্ষণ। সাধারণত ভেজাল খাবারে কারণেই এ সমস্যাটি হয়। তবে দৈনন্দিন জীবনের কিছু অভ্যাসও বদহজমের দায়ী। তাই খাবার বা অভ্যাসের ভুলগুলো চিহ্নিত করা না গেলে কখনই গ্যাস এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। আর এজন্য হজমতন্ত্রের জন্য একটি সুস্থ অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। তবে তার আগে ক্ষতিকর অভ্যাসগুলো আমাদের জেনে নেয়া প্রয়োজন।

১. একসাথে অনেক বেশি খাওয়া
ভাল হজমের জন্য একসাথে অনেক বেশি খাওয়া ঠিক নয়। সেই পরিমাণ খাবার যদি একসাথে না খেয়ে কয়েক বারে খাওয়া হয় তাহলে তা হজমতন্ত্রের জন্য বেশ ভালো হয়।

২. রাতে দেরি করে খাওয়া
এই অভ্যাসটির কারণে বুকজ্বলা এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে। কারণ দেরি করে খাওয়ার সাথে সাথেই ঘুমাতে যেতে হয়। তাই ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে ২ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন।

৩. খাবার সাথে পানীয় গ্রহণ
অনেকেরই অভ্যাস আছে যেকোনো ভারী খাবার খাওয়ার সাথেই হজমের সুবিধা হবে ভেবে গ্যাস ড্রিঙ্কস এমনকি চা খাওয়া। এর ফল প্রকৃত পক্ষে বিপরীতই হয়ে থাকে। পেটে গ্যাসের সৃষ্টি হয়।

৪. যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্যআঁশ গ্রহণ না করা
অভ্যন্তরীণ অন্ত্রের চলাচলকে গতিশীল করতে আঁশ জাতীয় খাবার গ্রহণ করা খুবই প্রয়োজনীয়। কারণ এসব খাবারের অভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। তাই আঁশ জাতীয় খাবার গ্রহণের পরিমাণ বাড়াতে হবে।

৫ অ্যালকোহল
হজমক্রিয়ার উপর অ্যালকোহল ভয়ঙ্কর খারাপ প্রভাব ফেলে। এর ফলে ডায়রিয়া হয় এমনকি পেটে আলসারও হতে পারে।

৬. পেটে বাতাস ঢুকলে
যদি খুব দ্রুত খাবার খাওয়া হয় তাহলে সেই খাবারের সাথে কিছুটা বাতাসও পেটে ঢুকে যায়। এটি বদহজমের অন্যতম প্রধান কারণ। তাই খাবার দ্রুত না খেয়ে ধীরে ধীরে চিবিয়ে খেতে হবে।

৭. প্রাকৃতিক কাজ সময় মত না সারা
অনেকের অভ্যাস থাকে আটকে রাখা। এটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এটা হজমক্রিয়ার সমস্যা তো করেই সেই সাথে অন্যান্য শারীরিক সমস্যারও কারণ হয়ে দাড়ায়।

৮. সোডা বা গ্যাস ড্রিঙ্কস
এসব গ্যাস ড্রিঙ্কসের প্রভাব হজমতন্ত্রের উপর দুইভাবে পড়ে। এসব সোডা বা গ্যাস ড্রিঙ্কস পান করার পর পেট ফোলা ভাব দেখা দেয় এবং সেই সাথে অ্যাসিডিটিও দেখা দেয়। তাই সোডা বা গ্যাস ড্রিঙ্কস না খেয়ে ঘরে তৈরি ফলের জুস খান।

৯. ধূমপান করা
ধূমপান বদহজমের অন্যতম একটি কারণ। এর ফলে অ্যাসিডিটি তো হয়ই পেটে আলসারও হতে পারে। এছাড়া ধূমপান হজমতন্ত্রের উপর বিভিন্নভাবেই প্রভাব ফেলে।

১০. চুইংগাম
চুইংগাম চিবানোর সাথে সাথে কিছুটা বাতাস পেটের ভেতরেও ঢুকে যায়। এর ফলে পেটে গ্যাস হয় এবং ঢেঁকুর আসে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সিনিয়র আরসিওয়াই ফোরাম চাঁদপুর ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন

বদহজমের জন্য দায়ী যেসব অভ্যাস !

আপডেট সময় : ০২:১২:২৫ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৫ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

বদহজম মানবদেহে অতি পরিচিত একটি সমস্যা। পেট ফুলে থাকা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য বদহজমের লক্ষণ। সাধারণত ভেজাল খাবারে কারণেই এ সমস্যাটি হয়। তবে দৈনন্দিন জীবনের কিছু অভ্যাসও বদহজমের দায়ী। তাই খাবার বা অভ্যাসের ভুলগুলো চিহ্নিত করা না গেলে কখনই গ্যাস এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। আর এজন্য হজমতন্ত্রের জন্য একটি সুস্থ অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। তবে তার আগে ক্ষতিকর অভ্যাসগুলো আমাদের জেনে নেয়া প্রয়োজন।

১. একসাথে অনেক বেশি খাওয়া
ভাল হজমের জন্য একসাথে অনেক বেশি খাওয়া ঠিক নয়। সেই পরিমাণ খাবার যদি একসাথে না খেয়ে কয়েক বারে খাওয়া হয় তাহলে তা হজমতন্ত্রের জন্য বেশ ভালো হয়।

২. রাতে দেরি করে খাওয়া
এই অভ্যাসটির কারণে বুকজ্বলা এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে। কারণ দেরি করে খাওয়ার সাথে সাথেই ঘুমাতে যেতে হয়। তাই ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে ২ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন।

৩. খাবার সাথে পানীয় গ্রহণ
অনেকেরই অভ্যাস আছে যেকোনো ভারী খাবার খাওয়ার সাথেই হজমের সুবিধা হবে ভেবে গ্যাস ড্রিঙ্কস এমনকি চা খাওয়া। এর ফল প্রকৃত পক্ষে বিপরীতই হয়ে থাকে। পেটে গ্যাসের সৃষ্টি হয়।

৪. যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্যআঁশ গ্রহণ না করা
অভ্যন্তরীণ অন্ত্রের চলাচলকে গতিশীল করতে আঁশ জাতীয় খাবার গ্রহণ করা খুবই প্রয়োজনীয়। কারণ এসব খাবারের অভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। তাই আঁশ জাতীয় খাবার গ্রহণের পরিমাণ বাড়াতে হবে।

৫ অ্যালকোহল
হজমক্রিয়ার উপর অ্যালকোহল ভয়ঙ্কর খারাপ প্রভাব ফেলে। এর ফলে ডায়রিয়া হয় এমনকি পেটে আলসারও হতে পারে।

৬. পেটে বাতাস ঢুকলে
যদি খুব দ্রুত খাবার খাওয়া হয় তাহলে সেই খাবারের সাথে কিছুটা বাতাসও পেটে ঢুকে যায়। এটি বদহজমের অন্যতম প্রধান কারণ। তাই খাবার দ্রুত না খেয়ে ধীরে ধীরে চিবিয়ে খেতে হবে।

৭. প্রাকৃতিক কাজ সময় মত না সারা
অনেকের অভ্যাস থাকে আটকে রাখা। এটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এটা হজমক্রিয়ার সমস্যা তো করেই সেই সাথে অন্যান্য শারীরিক সমস্যারও কারণ হয়ে দাড়ায়।

৮. সোডা বা গ্যাস ড্রিঙ্কস
এসব গ্যাস ড্রিঙ্কসের প্রভাব হজমতন্ত্রের উপর দুইভাবে পড়ে। এসব সোডা বা গ্যাস ড্রিঙ্কস পান করার পর পেট ফোলা ভাব দেখা দেয় এবং সেই সাথে অ্যাসিডিটিও দেখা দেয়। তাই সোডা বা গ্যাস ড্রিঙ্কস না খেয়ে ঘরে তৈরি ফলের জুস খান।

৯. ধূমপান করা
ধূমপান বদহজমের অন্যতম একটি কারণ। এর ফলে অ্যাসিডিটি তো হয়ই পেটে আলসারও হতে পারে। এছাড়া ধূমপান হজমতন্ত্রের উপর বিভিন্নভাবেই প্রভাব ফেলে।

১০. চুইংগাম
চুইংগাম চিবানোর সাথে সাথে কিছুটা বাতাস পেটের ভেতরেও ঢুকে যায়। এর ফলে পেটে গ্যাস হয় এবং ঢেঁকুর আসে।