শিরোনাম :
Logo শেরপুরে নিখোঁজের তিন দিন পর কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার Logo হিটের প্রকল্প মূল্যায়নে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হচ্ছে: ইউজিসি চেয়ারম্যান Logo পলাশবাড়ী কালীবাড়ী বাজারে অবৈধ দখল উচ্ছেদ Logo পলাশবাড়ীতে ইউপি সদস্যের  হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে একদল দুর্বৃত্তরা  Logo ঝালকাঠির নবগ্রাম কৃষি ব্যাংক ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে সরেজমিনে ডিজিএম Logo সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচারে জর্জরিত দেশের শিল্পাঙ্গন বিনোদন প্রতিবেদন Logo ইবি কারাতে ক্লাবের নেতৃত্বে নোমান-সাদিয়া Logo গৌরবের অষ্টম বর্ষে আলোর দিশার পদার্পণে থাকছে নানা আয়োজন Logo শিক্ষার্থীদের রিটেক সমস্যা সমাধানে গাফিলতির অভিযোগ যবিপ্রবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে  Logo নতুন ভবনেই বদলে যাবে সফিবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র”

কাল উপকূল অতিক্রম করতে পারে ‘মোরা’, ডাক্তাদের ছুটি বাতিল !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৪:১৮:২৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৯ মে ২০১৭
  • ৭৬৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিন্মচাপটি ক্রমশ ঘূর্ণিঝড়ে (মোরা) রূপ নিয়েছে। এটি সরাসরি কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে রাত ১০ টার ভিতরে কক্সবাজার চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও এর পার্শবর্তী এলাকা অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস।

বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ উপকূলের দিকে গতিশীল রয়েছে। উপকূলে আঘাত হানার পূর্বে ঝড়টি যথেষ্ট শক্তি সঞ্চয় করবে এবং একই সাথে ক্রমশ ধীর গতিতে অগ্রসর হতে থাকবে। এজন্য উপকূলে অবস্থানকারী জেলে নৌকাসহ বসবাসকারীদের নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি উখিয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন। এছাড়াও সরকারিভাবে কক্সবাজারসহ চট্টগ্রামের ডাক্তারদের ছুটি বাতিলসহ হাসপাতাল অবস্থান করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রম করার সময় ঐসকল এলাকায় ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত থাকতে পারে। ওই সকল এলাকার উপকূল ও চরদ্বীপ স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২০ থেকে ২৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর। কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৭ নং সতর্ক সংকেত ও পায়রা ও মংলা বন্দরকে ৫ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ঘুর্ণিঝড় ‘মোরা’ বর্তমানে চট্টগ্রাম থেকে ৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে, পায়রা বন্দর থেকে ৫৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ও মংলা থেকে ৫৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তর। বর্তমানে এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় ভয়াবহ ভারি বর্ষণ ও চট্টগ্রাম কক্সবাজারে পাহাড় ধস হতে পারে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলবর্তী দক্ষিণাঞ্চল। ঝড়ের মূল শক্তি দ্বারা সম্ভাব্য আক্রান্ত জেলার মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম (১০), কক্সবাজার(১১), ফেনী(১৬), নোয়াখালী(৪৭) এই চারটি জেলাসহ আশপাশের এলাকা। এর মধ্যে চট্টগ্রাম(১০) ও কক্সবাজার(১১) সব থেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

দেশের উপকূলবর্তী এলাকায় সম্ভাব্য বিপর্যয় ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন কক্সবাজার রেড-ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহ-সভাপতি সাবেক পৌর চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আবছার।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, উখিয়াসহ কক্সবাজার জেলায় ৭নং সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তাই ঘূর্ণিঝড় মোরা আঘাত আনতে পারে এমন আশংকা করে ইতোমধ্যে পাহাড়ে ঝূঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের ও উপকূল তীরবর্তী অবস্থানকারী জেলেদের নিরাপদে সরিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা যেসমস্ত সাইক্লোন সেন্টার এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে এগুলো খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শেরপুরে নিখোঁজের তিন দিন পর কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার

কাল উপকূল অতিক্রম করতে পারে ‘মোরা’, ডাক্তাদের ছুটি বাতিল !

আপডেট সময় : ০৪:১৮:২৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৯ মে ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিন্মচাপটি ক্রমশ ঘূর্ণিঝড়ে (মোরা) রূপ নিয়েছে। এটি সরাসরি কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে রাত ১০ টার ভিতরে কক্সবাজার চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও এর পার্শবর্তী এলাকা অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস।

বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ উপকূলের দিকে গতিশীল রয়েছে। উপকূলে আঘাত হানার পূর্বে ঝড়টি যথেষ্ট শক্তি সঞ্চয় করবে এবং একই সাথে ক্রমশ ধীর গতিতে অগ্রসর হতে থাকবে। এজন্য উপকূলে অবস্থানকারী জেলে নৌকাসহ বসবাসকারীদের নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি উখিয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন। এছাড়াও সরকারিভাবে কক্সবাজারসহ চট্টগ্রামের ডাক্তারদের ছুটি বাতিলসহ হাসপাতাল অবস্থান করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রম করার সময় ঐসকল এলাকায় ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত থাকতে পারে। ওই সকল এলাকার উপকূল ও চরদ্বীপ স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২০ থেকে ২৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর। কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৭ নং সতর্ক সংকেত ও পায়রা ও মংলা বন্দরকে ৫ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ঘুর্ণিঝড় ‘মোরা’ বর্তমানে চট্টগ্রাম থেকে ৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে, পায়রা বন্দর থেকে ৫৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ও মংলা থেকে ৫৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তর। বর্তমানে এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় ভয়াবহ ভারি বর্ষণ ও চট্টগ্রাম কক্সবাজারে পাহাড় ধস হতে পারে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলবর্তী দক্ষিণাঞ্চল। ঝড়ের মূল শক্তি দ্বারা সম্ভাব্য আক্রান্ত জেলার মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম (১০), কক্সবাজার(১১), ফেনী(১৬), নোয়াখালী(৪৭) এই চারটি জেলাসহ আশপাশের এলাকা। এর মধ্যে চট্টগ্রাম(১০) ও কক্সবাজার(১১) সব থেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

দেশের উপকূলবর্তী এলাকায় সম্ভাব্য বিপর্যয় ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন কক্সবাজার রেড-ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহ-সভাপতি সাবেক পৌর চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আবছার।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, উখিয়াসহ কক্সবাজার জেলায় ৭নং সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তাই ঘূর্ণিঝড় মোরা আঘাত আনতে পারে এমন আশংকা করে ইতোমধ্যে পাহাড়ে ঝূঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের ও উপকূল তীরবর্তী অবস্থানকারী জেলেদের নিরাপদে সরিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা যেসমস্ত সাইক্লোন সেন্টার এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে এগুলো খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।