আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিয়েছে চাঁদপুর জেলা কারাগারের কারাবন্দীরাসহ সকলেই।পাশাপাশি উৎসবের ছোঁয়া লেগেছে চাঁদপুর কারাগারে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে জেলা কারাগারের আয়োজনে কারাবন্দীদের জন্য করা হয় পহেলা বৈশাখের এই আয়োজন।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে কারা অধিদপ্তর ও মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক তাদের জন্য ছিলো সকালে পান্তা-ইলিশ, আলু ভর্তা, পেঁয়াজ, মরিচ। দুপুরে পোলাও, মুরগির রোস্ট, ছোলার ডাল, সালাদ, মিষ্টি, পান- সুপারি। বিকেলে ঐতিহ্যবাহী পুয়া পিঠা এবং রাতে সাদা ভাত, রুই মাছ ও আলুরদম।
এছাড়াও কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য পান্তা ভাত, মাছ, আলু ভর্তা, পেঁয়াজ, মরিচ এবং দুপুরে পোলাও, মুরগীর রোস্ট, ডিম, ছোলার ডাল, সালাদ ও মিষ্টি উন্নতমানের খাবার দেওয়া হয়। বন্দী, স্টাফ ও তাদের পরিবার বর্গের মধ্যে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পুরষ্কার বিতরণ ও বন্দিদের পরিবেশনায় বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আয়োজনটি হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত। এমন আয়োজনে খুশি কারাবন্দিরের পাশাপাশি দর্শনার্থীরা। সব মিলিয়ে তাদের জন্যও ছিল এক আনন্দঘন অভিজ্ঞতা।
আত্মীয়-স্বজনদের জন্য ছিল আলাদা ব্যবস্থাপনা। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বন্দীদের সঙ্গে দেখা করতে আসা স্বজনদের বরণ করে নেওয়া হয় আন্তরিকতা ও মর্যাদার সঙ্গে। যাতে উৎসবের অংশীদারিত্ব সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ে।
চাঁদপুর জেলা কারাগারের জেলার মুহাম্মদ মুনীর হোসাইন জানান, পরিবার থেকে দূরে থাকা বন্দিরা যাতে বর্ষবরণের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হন সেজন্য কারা মহাপরিদর্শকের নির্দেশে এই আনন্দ আয়োজন করা হয়েছে।
আমরা এখানে বন্দিদের জন্য পান্তা ইলিশসহ বিভিন্ন উন্নতমানের খাবারের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি।
বন্দীরাও এই সমাজেরই অংশ। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে তাদের মানসিক বিকাশ, সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ এবং নতুন জীবনের প্রত্যাশা জেগে ওঠে।
উল্লেখ্য: বাংলাদেশ কারা অধিদপ্তরের এমন মানবিক ও সংস্কৃতিবান উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। এটি শুধুমাত্র বন্দীদের মাঝে নয়, সমাজে সংস্কৃতি ও সহমর্মিতার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।