শিরোনাম :
Logo জীবননগরে আন্ত:জেলা চোর সিন্ডিকেটের প্রধান সাগর ২ সহযোগীসহ গ্রেফতার Logo পঁচিশ বাসে করে সাত ধাপে ক্যাম্পাসে আসছে শিক্ষার্থীরা Logo জুলাই আন্দোলনে নামাজ পড়তে বাধাদানে অভিযুক্ত বরখাস্ত শিক্ষককে ফেরাতে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি Logo কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ শুরু Logo বেরোবির এআইএস ক্লাবের নেতৃত্বে মিজান- আলবীর  Logo চাঁদপুরে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত Logo কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে অবরোধে ইবি শিক্ষার্থীরা Logo বুটেক্সে টেকসই উন্নয়নে পাটের ভূমিকা বিষয়ক সেমিনার, অতিথি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা Logo সাজিদ হত্যার তিন মাস; ইবি শিক্ষার্থীদের অভিনব প্রতিবাদ  Logo তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে যুবকদের কর্মসংস্থান হবে: আজিজুল বারী হেলাল

চাঁদপুরে অর্ধশত গ্রামে পালিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে পালিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর। রোববার সকাল থেকে হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফসহ জেলার প্রায় অর্ধশত গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপনের প্রস্তুতি নেয়া।

ঈদের প্রথম জামায়াত দরবার শরীফ মাঠে সকাল ৯টায় অনষ্ঠিত হয়। এই জামায়াতে ঈমামিত করেন পীরজাদা মাওলানা মুফতি জাকারিয়া চৌধুরী।

তিনি বলেন, আগাম রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক মাওলানা ইসহাক (রহ.)। ১৯২৮ সাল থেকে সাদ্রা দরবার শরিফের পীর সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের প্রথা চালু করেন। এছাড়াও মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) এর অনুসারী মুসল্লীরা চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় একই সাথে ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন। পৃথিবীতে চন্দ্র-সূর্য একটি। আলাদা করে কেনো ঈদ উদযাপিত হবে।

এদিকে ঈদের দ্বিতীয় জামায়াত সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করবেন মাওলানা মুফতি আরিফ চৌধুরী।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র সৌদি আরব নয়, কোরআন ও হাদিসের আলোকে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আমরা রোজা পালন ও ঈদুল ফিতর উদযাপন করে থাকি। রোববার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ঈদের নামাজ আদায় করেত আসা বৃদ্ধ আব্দুর রব বলেন, এখানে আমার বাবা-চারাও ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। এখন আমরাও একসাথে রোজা ও ঈদ উদযাপন করি। আমাদের কাছে এটাই সঠিক নিয়ম মনে হয়।

রাসেল মুন্সি নামের আরেক মুসল্লী বলেন, সাদ্রা দরবার শরীফে আমি ২৫ বছর ধরে ঈদের নামাজ আদায় করি। এই এলাকার না হলেও মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) এর অনুসারী হিসেবে আমরা আগাম রোজা ও ঈদ উদযাপন করি।

যেসব গ্রামে আগাম ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে: হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলাসহ অর্ধশত গ্রাম।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জীবননগরে আন্ত:জেলা চোর সিন্ডিকেটের প্রধান সাগর ২ সহযোগীসহ গ্রেফতার

চাঁদপুরে অর্ধশত গ্রামে পালিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর

আপডেট সময় : ০৬:০৫:১৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে পালিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর। রোববার সকাল থেকে হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফসহ জেলার প্রায় অর্ধশত গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপনের প্রস্তুতি নেয়া।

ঈদের প্রথম জামায়াত দরবার শরীফ মাঠে সকাল ৯টায় অনষ্ঠিত হয়। এই জামায়াতে ঈমামিত করেন পীরজাদা মাওলানা মুফতি জাকারিয়া চৌধুরী।

তিনি বলেন, আগাম রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক মাওলানা ইসহাক (রহ.)। ১৯২৮ সাল থেকে সাদ্রা দরবার শরিফের পীর সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের প্রথা চালু করেন। এছাড়াও মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) এর অনুসারী মুসল্লীরা চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় একই সাথে ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন। পৃথিবীতে চন্দ্র-সূর্য একটি। আলাদা করে কেনো ঈদ উদযাপিত হবে।

এদিকে ঈদের দ্বিতীয় জামায়াত সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করবেন মাওলানা মুফতি আরিফ চৌধুরী।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র সৌদি আরব নয়, কোরআন ও হাদিসের আলোকে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আমরা রোজা পালন ও ঈদুল ফিতর উদযাপন করে থাকি। রোববার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ঈদের নামাজ আদায় করেত আসা বৃদ্ধ আব্দুর রব বলেন, এখানে আমার বাবা-চারাও ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। এখন আমরাও একসাথে রোজা ও ঈদ উদযাপন করি। আমাদের কাছে এটাই সঠিক নিয়ম মনে হয়।

রাসেল মুন্সি নামের আরেক মুসল্লী বলেন, সাদ্রা দরবার শরীফে আমি ২৫ বছর ধরে ঈদের নামাজ আদায় করি। এই এলাকার না হলেও মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) এর অনুসারী হিসেবে আমরা আগাম রোজা ও ঈদ উদযাপন করি।

যেসব গ্রামে আগাম ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে: হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলাসহ অর্ধশত গ্রাম।