এ দেশের স্বাধীনতায় পুলিশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান চিরস্মরণীয়
নিউজ ডেস্ক:মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গায় বসবাসরত অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা একটায় পুলিশ লাইনসে ড্রিল সেডে এ সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগর টগর। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার মহান মুক্তি সংগ্রামে বাংলাদেশ পুলিশের গৌরবজনক অধ্যায়ের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি বর্তমান প্রজন্মের পুলিশ সদস্যদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস হৃদয়ে ধারণ করে বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন, এ দেশে স্বাধীনতার জন্য পুলিশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান অনন্য ও চিরস্মরণীয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে চলছে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা। তাঁদের কাছ থেকে নতুন প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে এবং দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবে। তিনি আরও বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে পুলিশের ভূমিকা অপরিসীম উল্লেখ করে বলেন, কেউ যেটা করতে পারেনি, বাংলাদেশ পুলিশ সেটা করতে পেরেছে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমপি টগর বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে যে ক্যু করেছিল, তৎকালীন সময়ে মুক্তিযোদ্ধারা আতঙ্কিত ছিল।’ তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আখ্যা দিয়ে উন্নয়নের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্য জননেত্রী শেখ হাসিনারকে অনুসরণ করছে। সভাপতির বক্তব্যে এসপি জাহিদ মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে বাংলাদেশ পুলিশ। বাংলাদেশ পুলিশ দেশের কল্যাণে সন্ত্রাস, জঙ্গি, মাদক নির্মূলসহ শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অবসরপ্রাপ্ত ২৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্য ছাড়াও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদ মর্যাদার কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে চুয়াডাঙ্গায় বসবাসরত অবসরপ্রাপ্ত ২৩ পুলিশ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কানাই লাল সরকার।