শিরোনাম :
Logo ইবিতে ঠিকাদারদের লাইসেন্স নবায়নের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo জবির স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় আয় ১২ কোটি টাকা Logo বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার নির্বাচন সম্পন্ন Logo আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo সরকার উদ্যোগ না নিলে আমরা বসে থাকব না: নাহিদ ইসলাম Logo সার্কের বিকল্প জোট গঠনে কাজ করছে চীন-পাকিস্তান, রয়েছে বাংলাদেশও Logo পহেলা জুলাই থেকে ৫ আগস্টের কর্মসূচি ঘিরে হুমকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo নতুন নেতৃত্বে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘তারুণ্য’ Logo সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসী হামলা, আহত-৩০ Logo খুবির দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনকে কটাক্ষ ও ধর্ম অবমাননার অভিযোগ

আসছে ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার বাজেট !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:১০:০৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • ৭৫৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের আকার হবে ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে বেশি গুরুত্ব পাবে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত।গতকাল রোববার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় প্রাক-বাজেট আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

আলোচনায় বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস), পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই), ইকনোমিক রিসার্চ গ্রুপ (ইআরজি) এবং অর্থনীতি সমিতির অর্থনীতিবিদ ও গবেষকরা অংশ নেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের চেয়ে ২০ শতাংশ বাড়বে। সেই হারে ঠিক করা হবে এনবিআরের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রাও। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের উন্নয়নের বিকল্প নেই। চলতি অর্থবছর শেষে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। তবে আগামী অর্থবছরের জিডিপির প্রাক্কলন করা হয়নি। আগামী অর্থবছরের বাজেট তৈরির প্রথম প্রাক-বাজেট আলোচনা থিংক ট্যাংকদের সঙ্গে করেছি। তারা বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছেন। এসব পরামর্শের মধ্যে রয়েছে, রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে হবে।

এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আহরণ মোটামুটি সন্তোষজনক। তবে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে হবে। কেননা, মানুষের আয় বেড়েছে; করদাতার সংখ্যা বেড়েছে, বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে। সে অনুপাতে রাজস্ব আহরণও বাড়াতে হবে। সম্প্রতি রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক ধারায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে থিংক ট্যাংক।

তিনি বলেন, বিদেশে অবস্থানরত শ্রমিকদের মজুরি কমে গেছে। এ ছাড়া এজেন্ট ব্যাংকিং এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের কারণে সঠিকভাবে রেমিট্যান্স আসছে না। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ফাঁকি রয়েছে। এ ফাঁকি বন্ধ করতে আগামী বাজেটে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। রিজার্ভ ভেঙে সভরেন বন্ড গঠনে সতর্কতার পরামর্শ দিয়েছে থিংক ট্যাংক। আগামী বাজেটে ব্যাংকিং কমিশন গঠনের ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। অন্যদিকে ভ্যাট আইন নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কিছু সমস্যা রয়েছে। তবে আলোচনা চলছে। আগামী অর্থবছরেই নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করা হবে। সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

অন্যান্য বছরের মতো এবারও জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। মাসব্যাপী আলোচনা শেষে ৩০ জুন পাশ হবে বাজেট।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে ঠিকাদারদের লাইসেন্স নবায়নের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

আসছে ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার বাজেট !

আপডেট সময় : ০৬:১০:০৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের আকার হবে ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে বেশি গুরুত্ব পাবে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত।গতকাল রোববার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় প্রাক-বাজেট আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

আলোচনায় বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস), পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই), ইকনোমিক রিসার্চ গ্রুপ (ইআরজি) এবং অর্থনীতি সমিতির অর্থনীতিবিদ ও গবেষকরা অংশ নেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের চেয়ে ২০ শতাংশ বাড়বে। সেই হারে ঠিক করা হবে এনবিআরের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রাও। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের উন্নয়নের বিকল্প নেই। চলতি অর্থবছর শেষে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। তবে আগামী অর্থবছরের জিডিপির প্রাক্কলন করা হয়নি। আগামী অর্থবছরের বাজেট তৈরির প্রথম প্রাক-বাজেট আলোচনা থিংক ট্যাংকদের সঙ্গে করেছি। তারা বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছেন। এসব পরামর্শের মধ্যে রয়েছে, রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে হবে।

এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আহরণ মোটামুটি সন্তোষজনক। তবে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে হবে। কেননা, মানুষের আয় বেড়েছে; করদাতার সংখ্যা বেড়েছে, বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে। সে অনুপাতে রাজস্ব আহরণও বাড়াতে হবে। সম্প্রতি রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক ধারায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে থিংক ট্যাংক।

তিনি বলেন, বিদেশে অবস্থানরত শ্রমিকদের মজুরি কমে গেছে। এ ছাড়া এজেন্ট ব্যাংকিং এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের কারণে সঠিকভাবে রেমিট্যান্স আসছে না। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ফাঁকি রয়েছে। এ ফাঁকি বন্ধ করতে আগামী বাজেটে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। রিজার্ভ ভেঙে সভরেন বন্ড গঠনে সতর্কতার পরামর্শ দিয়েছে থিংক ট্যাংক। আগামী বাজেটে ব্যাংকিং কমিশন গঠনের ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। অন্যদিকে ভ্যাট আইন নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কিছু সমস্যা রয়েছে। তবে আলোচনা চলছে। আগামী অর্থবছরেই নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করা হবে। সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

অন্যান্য বছরের মতো এবারও জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। মাসব্যাপী আলোচনা শেষে ৩০ জুন পাশ হবে বাজেট।