শিরোনাম :
Logo কর্মস্থলে অনুপস্থিত কর্মচারীকে বেতনসিটে উপস্থিতি দেখিয়ে বেতন বিল তৈরির অভিযোগ যবিপ্রবি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে Logo কেটিএমের নতুন বাইক ভারতের বাজারে আসবে কাল! Logo আপনারেই কিন্তু রিপেয়ার করে দিব, নির্বাহী প্রকৌশলীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আসছে নতুন রাজনৈতিক দল, নাম নির্ধারণ Logo জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা হিন্দুদের জন্মাষ্টমীর ধর্মাচার: হেফাজত Logo ছিনতাইকারীর কবলে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থী Logo চট্টগ্রাম বোর্ডে এসএসসির বাংলা পরীক্ষায় অনুপস্থিত ১১৭৩ জন Logo যথাসময়ে নামাজ পড়ার পুরস্কার Logo ইসলামের দৃষ্টিতে চুপ থাকা

দালাল কাউসারের প্রতারণায় সৌদি আরবে বহু প্রবাসী যুবক নিঃস্ব

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:০৯:৪৭ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭৩২ বার পড়া হয়েছে

চাঁদপুর প্রতিনিধি:
চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নং মডেল লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের নান্নু উকিল বাড়ির কাউসার আলমের আর্থিক প্রতারণার শিকার হয়ে সৌদি আরবে বহু প্রবাসী যুবক নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। এমনকি ছুটিতে বাংলাদেশেও আসতে পারছেন না অনেকে। বাঙালি প্রবাসীদের সাথে তার আর্থিক প্রতারণা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সৌদি আরব থেকে একাধিক প্রবাসী এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত বছর ২২ মে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ২ নং বালিথুবা, মুলপাড়া, মাছিমপুর তপদার বাড়ির মোঃ মুনছুর ও তাছলিমা বেগমের বড় ছেলে
মুছা তপদারকে ফ্রি ভিসায় সৌদি আরবে নেন তার ভগ্নিপতি কাউসার আলম। সেখানে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয় মুছা তপাদার।
ঘটনা জানতে চাইলে মুছা তপদারের মা তাছলিমা বেগম বলেন, মুছা পড়াশোনার পাশাপাশি চাঁদপুরে একটি স্থানীয় পত্রিকায় চাকরী ও একটি কম্পিউটারে দোকানে কাজ করতো। এতে সে নিজের খরচ নিজে বহন করা সহ মোটামুটি ভালোই চলছিল। হঠাৎ তার বড় বোনের জামাই কাউসার বিভিন্ন কথা বলে ৪ লক্ষ ২০ হাজান টাকায় সৌদি আরব নিয়ে ৩৮ হাজর টাকা বেতনে কম্পিউটারের ভালো কাজ ও ভিসা, আকামা এবং থাকা কোম্পানি বহন করবে বলে গত বছরে মৌখিক চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে কাউসার মুছাকে  সৌদি আরব নিয়ে যান। সেখানে পৌঁছানোর কিছুদিন পর কাজের জন্য বললে কাউসার আরেক দালালের কাছে আমার ছেলেকে ভিন্ন একটি কাজের জন্য দিয়ে দেন। মুছার সাথে কোম্পানির ও কম্পিউটারের কাজের কথা বলে থাকলেও প্রথমে (মাজরাতে) কৃষি কাজে শ্রমিক হিসেবে কাজ দেয়া হয়। তারপরে একটা সুপার মার্কেটে কাজের ব্যবস্থা করে ভুক্তভোগী মুছার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন দালাল কাউসার।

কাউসার ও তার পরিবারের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে কাউসার অকথ্য ভাষায় গালাগালি সহ অনেক অপমানজনক কথাবার্তা বলেন। সুপার মার্কেটে কাফেলা না করায় এবং দালালের সাথে যোগাযোগ করা ব্যর্থ হওয়ায়  আমার ছেলে সৌদি আরবে অবৈধ হিসেবে  হিসাবে অবস্থান করছেন। এতে করে আমার ছেলের সাথে কাউসার প্রতারণা করেছেন এবং বর্তমানে সে দেশে অবস্থান করে বিভিন্ন মানুষদের প্ররোচনা করে সৌদি আরবে যাওয়ার কথা বলতেছেন।

এছাড়াও দালাল কাউসার চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নসহ উপজেলায় একাধিক ব্যক্তির সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে। এই সকল প্রতারণার তথ্য ও প্রমাণ ভুক্তভোগী একাধিক পরিবারগুলো প্রতিবেদককের কাছে জমা দিয়েছে।

কাউসার চাঁদপুর সদর উপজেলা লক্ষীপুর ইউনিয়নের বহরিয়া, শ্রিরামপুর নান্নু উকিল বাড়ির বাদশা সেকান্তর হাওলাদার এর বড় ছেলে। পেশায় কাউসার আদম ব্যবসায়ী এবং দালাল। সে বর্তমানে চাঁদপুর শহরে চেয়্যারঘাট উত্তর জিটি রোডে  আখন্দ বাড়ি সংলগ্ন বসবাস করছেন।

কাউসার আলমের প্রতারণা থেকে বাঁচতে এবং সকলে পাওনা টাকা ফেরৎ পেতে বাংলাদেশী দূতাবাসের সহযোগিতা কামনা করেছেন প্রবাসীরা। তার গ্রামের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সে বাড়িতে থাকতেও মানুষের সাথে প্রতারণা করে বেড়াতো। প্রবাসে গিয়েও সে কাজ না করে প্রতারণা করে দিন পার করছে। তার প্রতারণার শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে খেটে খাওয়া প্রবাসী যুবকরা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কর্মস্থলে অনুপস্থিত কর্মচারীকে বেতনসিটে উপস্থিতি দেখিয়ে বেতন বিল তৈরির অভিযোগ যবিপ্রবি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

দালাল কাউসারের প্রতারণায় সৌদি আরবে বহু প্রবাসী যুবক নিঃস্ব

আপডেট সময় : ০৮:০৯:৪৭ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫

চাঁদপুর প্রতিনিধি:
চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নং মডেল লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের নান্নু উকিল বাড়ির কাউসার আলমের আর্থিক প্রতারণার শিকার হয়ে সৌদি আরবে বহু প্রবাসী যুবক নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। এমনকি ছুটিতে বাংলাদেশেও আসতে পারছেন না অনেকে। বাঙালি প্রবাসীদের সাথে তার আর্থিক প্রতারণা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সৌদি আরব থেকে একাধিক প্রবাসী এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত বছর ২২ মে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ২ নং বালিথুবা, মুলপাড়া, মাছিমপুর তপদার বাড়ির মোঃ মুনছুর ও তাছলিমা বেগমের বড় ছেলে
মুছা তপদারকে ফ্রি ভিসায় সৌদি আরবে নেন তার ভগ্নিপতি কাউসার আলম। সেখানে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয় মুছা তপাদার।
ঘটনা জানতে চাইলে মুছা তপদারের মা তাছলিমা বেগম বলেন, মুছা পড়াশোনার পাশাপাশি চাঁদপুরে একটি স্থানীয় পত্রিকায় চাকরী ও একটি কম্পিউটারে দোকানে কাজ করতো। এতে সে নিজের খরচ নিজে বহন করা সহ মোটামুটি ভালোই চলছিল। হঠাৎ তার বড় বোনের জামাই কাউসার বিভিন্ন কথা বলে ৪ লক্ষ ২০ হাজান টাকায় সৌদি আরব নিয়ে ৩৮ হাজর টাকা বেতনে কম্পিউটারের ভালো কাজ ও ভিসা, আকামা এবং থাকা কোম্পানি বহন করবে বলে গত বছরে মৌখিক চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে কাউসার মুছাকে  সৌদি আরব নিয়ে যান। সেখানে পৌঁছানোর কিছুদিন পর কাজের জন্য বললে কাউসার আরেক দালালের কাছে আমার ছেলেকে ভিন্ন একটি কাজের জন্য দিয়ে দেন। মুছার সাথে কোম্পানির ও কম্পিউটারের কাজের কথা বলে থাকলেও প্রথমে (মাজরাতে) কৃষি কাজে শ্রমিক হিসেবে কাজ দেয়া হয়। তারপরে একটা সুপার মার্কেটে কাজের ব্যবস্থা করে ভুক্তভোগী মুছার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন দালাল কাউসার।

কাউসার ও তার পরিবারের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে কাউসার অকথ্য ভাষায় গালাগালি সহ অনেক অপমানজনক কথাবার্তা বলেন। সুপার মার্কেটে কাফেলা না করায় এবং দালালের সাথে যোগাযোগ করা ব্যর্থ হওয়ায়  আমার ছেলে সৌদি আরবে অবৈধ হিসেবে  হিসাবে অবস্থান করছেন। এতে করে আমার ছেলের সাথে কাউসার প্রতারণা করেছেন এবং বর্তমানে সে দেশে অবস্থান করে বিভিন্ন মানুষদের প্ররোচনা করে সৌদি আরবে যাওয়ার কথা বলতেছেন।

এছাড়াও দালাল কাউসার চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নসহ উপজেলায় একাধিক ব্যক্তির সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে। এই সকল প্রতারণার তথ্য ও প্রমাণ ভুক্তভোগী একাধিক পরিবারগুলো প্রতিবেদককের কাছে জমা দিয়েছে।

কাউসার চাঁদপুর সদর উপজেলা লক্ষীপুর ইউনিয়নের বহরিয়া, শ্রিরামপুর নান্নু উকিল বাড়ির বাদশা সেকান্তর হাওলাদার এর বড় ছেলে। পেশায় কাউসার আদম ব্যবসায়ী এবং দালাল। সে বর্তমানে চাঁদপুর শহরে চেয়্যারঘাট উত্তর জিটি রোডে  আখন্দ বাড়ি সংলগ্ন বসবাস করছেন।

কাউসার আলমের প্রতারণা থেকে বাঁচতে এবং সকলে পাওনা টাকা ফেরৎ পেতে বাংলাদেশী দূতাবাসের সহযোগিতা কামনা করেছেন প্রবাসীরা। তার গ্রামের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সে বাড়িতে থাকতেও মানুষের সাথে প্রতারণা করে বেড়াতো। প্রবাসে গিয়েও সে কাজ না করে প্রতারণা করে দিন পার করছে। তার প্রতারণার শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে খেটে খাওয়া প্রবাসী যুবকরা।