জাপানের বাংলাদেশের ওপর আস্থা ফিরেছে!

  • আপডেট সময় : ০৩:২০:৩৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৭১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, জাপান সফরের সময় সেদেশের অর্থমন্ত্রী এবং জাইকার প্রেসিডেন্ট দুজনের সঙ্গেই আমার বৈঠক হয়েছে। তারা আমাদের জানিয়েছে, বাংলাদেশে বরবাসরত আমাদের নাগরিকরা এখন মুক্ত। হলি আর্টিজানের ঘটনার পর আমরা তাদের সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করতে বলেছিলাম। ওই ঘটনার পর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের যে উদ্যোগ নিয়েছিল তাতে আমরা (জাপান) সন্তুষ্ট। আমাদের আস্থা ফিরে এসেছে এবং ভয়-ভীতি কেটে গেছে।

চলতি ডিসেম্বর মসের ৫-৯ তারিখ পর্যন্ত জাপান সফর করেছেন অর্থমন্ত্রী। শনিবার দেশে ফিরেছেন তিনি। রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জাপানের ব্যবসায়ীরা তো অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশে আসা-যাওয়া করতেন। মাঝখানে কিছুটা ছেদ পড়েছিল। এখন সেটা স্বাভাবিক। ব্যবসায়ীদের মতো সরকারি পর্যায়েও অচিরেই আসা-যাওয়া শুরু হবে।

জাপানের নিষেধাজ্ঞা কেমন ছিল-সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে লিখিত কোনও স্টেটমেন্ট ছিল না। তবে দেশটির নাগরিকদের সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

অর্থমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ওই ঘটনার পর বাংলাদেশে জাপানি কোনও প্রকল্পের কাজ আটকে ছিল না। আমার চেয়েছি বাংলাদেশে বিনিয়োগের মার্কেটটি বড় করতে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে জাপানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্য এখন সহজ হবে।

তিনি বলেন, বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য দক্ষ শ্রমিককের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে দক্ষ শ্রমিক অভাব রয়েছে।

রিজার্ভ চুরির ব্যাপারে সিআইডি তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির বিষয়ে সিআইডির প্রতিবেদন আমি দেখি নাই। কাজেই ও বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে পারবো না।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক সম্রজ্ঞী মিনি বেগম মাদক বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার

জাপানের বাংলাদেশের ওপর আস্থা ফিরেছে!

আপডেট সময় : ০৩:২০:৩৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, জাপান সফরের সময় সেদেশের অর্থমন্ত্রী এবং জাইকার প্রেসিডেন্ট দুজনের সঙ্গেই আমার বৈঠক হয়েছে। তারা আমাদের জানিয়েছে, বাংলাদেশে বরবাসরত আমাদের নাগরিকরা এখন মুক্ত। হলি আর্টিজানের ঘটনার পর আমরা তাদের সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করতে বলেছিলাম। ওই ঘটনার পর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের যে উদ্যোগ নিয়েছিল তাতে আমরা (জাপান) সন্তুষ্ট। আমাদের আস্থা ফিরে এসেছে এবং ভয়-ভীতি কেটে গেছে।

চলতি ডিসেম্বর মসের ৫-৯ তারিখ পর্যন্ত জাপান সফর করেছেন অর্থমন্ত্রী। শনিবার দেশে ফিরেছেন তিনি। রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জাপানের ব্যবসায়ীরা তো অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশে আসা-যাওয়া করতেন। মাঝখানে কিছুটা ছেদ পড়েছিল। এখন সেটা স্বাভাবিক। ব্যবসায়ীদের মতো সরকারি পর্যায়েও অচিরেই আসা-যাওয়া শুরু হবে।

জাপানের নিষেধাজ্ঞা কেমন ছিল-সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে লিখিত কোনও স্টেটমেন্ট ছিল না। তবে দেশটির নাগরিকদের সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

অর্থমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ওই ঘটনার পর বাংলাদেশে জাপানি কোনও প্রকল্পের কাজ আটকে ছিল না। আমার চেয়েছি বাংলাদেশে বিনিয়োগের মার্কেটটি বড় করতে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে জাপানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্য এখন সহজ হবে।

তিনি বলেন, বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য দক্ষ শ্রমিককের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে দক্ষ শ্রমিক অভাব রয়েছে।

রিজার্ভ চুরির ব্যাপারে সিআইডি তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির বিষয়ে সিআইডির প্রতিবেদন আমি দেখি নাই। কাজেই ও বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে পারবো না।