নতুন নোট নিয়ে যে তথ্য দিলেন গভর্নর

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৮:২০:২৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • ৭১০ বার পড়া হয়েছে
এবারের ঈদে নতুন নোট হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ছবিযুক্ত টাকা বাজারে না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। আগামী এপ্রিলের শেষ নাগাদ মিলবে বাজারে নতুন নোট।

এছাড়া চলতি মাসে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসতে পারে। বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে ব্রিটিশ সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

যদিও ঈদকে কেন্দ্র করে নতুন নোটের আবেদন থাকলেও এবারে তা না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কারণ, জুলাই আন্দোলনের ছবি যুক্ত নোট প্রস্তুত হয়নি।

লন্ডন সফরে এসে টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানান, সরকারের নির্দেশেই বঙ্গবন্ধুর ছবিযুক্ত টাকা বাজারে না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে নষ্ট না করে অবশিষ্ট টাকা আপাতত সংরক্ষণ করে রাখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, নতুন করে আগের সরকারের অতিরিক্ত ছাপানো টাকাগুলোর অবশিষ্টগুলো বাজারে ছাড়া হচ্ছে না। যেসব নোট অবশিষ্ট আছে, সেগুলো আপাতত বাক্সবন্দি অবস্থায় থাকবে। নতুন নোট ছাপানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একটি ব্রিটেন ও একটি সুইস কোম্পানি এটি তৈরি করছে। এপ্রিলের শেষ নাগাদ নতুন নোট বাজারে আসতে পারে।

রেমিট্যান্স প্রসঙ্গেও তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আড়াই বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে। আর চলতি মাসের ১৯ দিনে এসেছে সোয়া ২ বিলিয়ন ডলার। ইতিহাস ভেঙে একক মাস হিসাবে এটি ৩ বিলিয়ন হওয়ার আশা গভর্নরের।

গভর্নর আরও বলেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ এই মাসে খুবই ভালো। এটি প্রণোদনা দেয়া হোক বা অর্থপাচার বন্ধের কারণেই হোক; রেমিট্যান্স আসছে, এটিই আশার কথা। চলতি মাসে তিন বিলিয়ন হতে পারে। এ বছর ৩০ বিলিয়ন হতে পারে।

এবারের সফরে এস আলমসহ বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থের খোঁজসহ কোথায় কী কী সম্পদ আছে এবং তা দেশে ফিরিয়ে নিতে ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতার কথাও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ১৫-২০ বিলিয়ন ডলার একই ব্যক্তি ও তার পরিবার নিয়ে গেছে। যেসব জায়গা থেকে এসব অর্থ নেয়া হয়েছে সেটি চিহ্নিত করা হয়েছে। এস আলম গ্রুপের অর্থ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। কীভাবে নেয়া হয়েছে, বিদেশে কী কী সম্পদ রয়েছে তা খুঁজে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে ব্রিটিশ সরকার ও সংশ্লিষ্ট এনজিও, লিগ্যাল ফার্মের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

গভর্নর বলেন, অবাধে অর্থপাচার বন্ধ হওয়ায় বর্তমানে রিজার্ভের ক্ষয় অনেকটাই কমে এসেছে। আইএমএফের বিপিএম-সিক্স অনুযায়ী ২০ মার্চ রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক নয় ছয় বিলিয়ন ডলার।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নতুন নোট নিয়ে যে তথ্য দিলেন গভর্নর

আপডেট সময় : ০৮:২০:২৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
এবারের ঈদে নতুন নোট হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ছবিযুক্ত টাকা বাজারে না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। আগামী এপ্রিলের শেষ নাগাদ মিলবে বাজারে নতুন নোট।

এছাড়া চলতি মাসে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসতে পারে। বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে ব্রিটিশ সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

যদিও ঈদকে কেন্দ্র করে নতুন নোটের আবেদন থাকলেও এবারে তা না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কারণ, জুলাই আন্দোলনের ছবি যুক্ত নোট প্রস্তুত হয়নি।

লন্ডন সফরে এসে টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানান, সরকারের নির্দেশেই বঙ্গবন্ধুর ছবিযুক্ত টাকা বাজারে না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে নষ্ট না করে অবশিষ্ট টাকা আপাতত সংরক্ষণ করে রাখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, নতুন করে আগের সরকারের অতিরিক্ত ছাপানো টাকাগুলোর অবশিষ্টগুলো বাজারে ছাড়া হচ্ছে না। যেসব নোট অবশিষ্ট আছে, সেগুলো আপাতত বাক্সবন্দি অবস্থায় থাকবে। নতুন নোট ছাপানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একটি ব্রিটেন ও একটি সুইস কোম্পানি এটি তৈরি করছে। এপ্রিলের শেষ নাগাদ নতুন নোট বাজারে আসতে পারে।

রেমিট্যান্স প্রসঙ্গেও তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আড়াই বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে। আর চলতি মাসের ১৯ দিনে এসেছে সোয়া ২ বিলিয়ন ডলার। ইতিহাস ভেঙে একক মাস হিসাবে এটি ৩ বিলিয়ন হওয়ার আশা গভর্নরের।

গভর্নর আরও বলেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ এই মাসে খুবই ভালো। এটি প্রণোদনা দেয়া হোক বা অর্থপাচার বন্ধের কারণেই হোক; রেমিট্যান্স আসছে, এটিই আশার কথা। চলতি মাসে তিন বিলিয়ন হতে পারে। এ বছর ৩০ বিলিয়ন হতে পারে।

এবারের সফরে এস আলমসহ বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থের খোঁজসহ কোথায় কী কী সম্পদ আছে এবং তা দেশে ফিরিয়ে নিতে ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতার কথাও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ১৫-২০ বিলিয়ন ডলার একই ব্যক্তি ও তার পরিবার নিয়ে গেছে। যেসব জায়গা থেকে এসব অর্থ নেয়া হয়েছে সেটি চিহ্নিত করা হয়েছে। এস আলম গ্রুপের অর্থ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। কীভাবে নেয়া হয়েছে, বিদেশে কী কী সম্পদ রয়েছে তা খুঁজে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে ব্রিটিশ সরকার ও সংশ্লিষ্ট এনজিও, লিগ্যাল ফার্মের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

গভর্নর বলেন, অবাধে অর্থপাচার বন্ধ হওয়ায় বর্তমানে রিজার্ভের ক্ষয় অনেকটাই কমে এসেছে। আইএমএফের বিপিএম-সিক্স অনুযায়ী ২০ মার্চ রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক নয় ছয় বিলিয়ন ডলার।