শিরোনাম :

ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত সাজেক,পর্যটক গমনে নিরুৎসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ১১:০৬:২৪ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৭২২ বার পড়া হয়েছে

 

মেঘের রাজ্য হিসেবে পরিচিতি সাজেক ভ্যালীতে
ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে বসতঘর,রিসোর্ট, কটেজ, রেঁস্তোরাসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে পর্যটকদের সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পাঠান মোঃ সাইদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাঙাামাটি পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক পর্যটন এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড সংঘঠিত হওয়ায় পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হলো।

সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা প্রশাসন।তদন্ত কমিটি’কে ৭কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত,সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে সাজেক ভ্যালির একটি রির্সোট থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। দর্শনীয় স্থানটির অধিকাংশ স্থাপনা কাঠ ও বাঁশের তৈরি হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এতে পুড়ে ছাঁই হয়েছে ৯৪টি স্থাপনা। এরমধ্যে রয়েছে ৩২টি রিসোর্ট, ৩৫টি বসতবাড়ি, ২০টি দোকান এবং সাতটি রেস্তোরাঁ।প্রায় পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টার পর ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী,বিজিবি ও স্থানীয়দের চেষ্টায় সন্ধ্যার দিকে আগুনে মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আসে।

সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সুবর্ণ দেব বর্মন বলেন, পুড়ে যাওয়া ৩৫ বসতবাড়ির মধ্যে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ১৯টি। বাকিগুলো লুসাই জনগোষ্ঠীর।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শহিদ আবু সাইদকে নিয়ে কটুক্তি করায় বেরোবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত সাজেক,পর্যটক গমনে নিরুৎসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন

আপডেট সময় : ১১:০৬:২৪ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

 

মেঘের রাজ্য হিসেবে পরিচিতি সাজেক ভ্যালীতে
ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে বসতঘর,রিসোর্ট, কটেজ, রেঁস্তোরাসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে পর্যটকদের সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পাঠান মোঃ সাইদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাঙাামাটি পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক পর্যটন এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড সংঘঠিত হওয়ায় পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হলো।

সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা প্রশাসন।তদন্ত কমিটি’কে ৭কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত,সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে সাজেক ভ্যালির একটি রির্সোট থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। দর্শনীয় স্থানটির অধিকাংশ স্থাপনা কাঠ ও বাঁশের তৈরি হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এতে পুড়ে ছাঁই হয়েছে ৯৪টি স্থাপনা। এরমধ্যে রয়েছে ৩২টি রিসোর্ট, ৩৫টি বসতবাড়ি, ২০টি দোকান এবং সাতটি রেস্তোরাঁ।প্রায় পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টার পর ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী,বিজিবি ও স্থানীয়দের চেষ্টায় সন্ধ্যার দিকে আগুনে মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আসে।

সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সুবর্ণ দেব বর্মন বলেন, পুড়ে যাওয়া ৩৫ বসতবাড়ির মধ্যে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ১৯টি। বাকিগুলো লুসাই জনগোষ্ঠীর।