শিরোনাম :
Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে কবরস্থ করতে দেওয়া শিশু মৃত নয়, জীবিত! Logo “শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা” – ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান Logo সিরাজগঞ্জে বসতবাড়ির জমি দখলের হুমকির অভিযোগে জিডি Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ 

যেখানে নারীরা বিয়ের জন্য বাধ্য নয় !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৫০:২৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১২ জুন ২০১৭
  • ৭৫৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

হিমালয়ের একদল উপজাতীদের কাছে বিশ্বের অনেক কিছু শেখার রয়েছে। আমাদের দেশে যেখানে বাল্যবিবাহ রোধে আইন করতে হয়েছে,  সেখানে নারীর বিবাহ নিয়ে বাবা-মা, এমনকি সমাজেরও কোনো ভাবনা নেই। সেখানে নারীরা বিয়ের জন্য বাধ্য নন।

একদিকে পৃথিবী যখন নারীর সমতা রক্ষায় এক প্রকার যুদ্ধে লিপ্ত ঠিক তখন হিমালয়ের উপত্যকায় বসবাসরত একদল উপজাতী নারীদের দিয়েছে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার পূর্ণ ক্ষমতা।

‘মৌস’ নামের এই উপজাতীদের মতে বিয়ে আসলে কোনো অর্জন বা কৃতিত্বের কিছু নয়। পুরুষ কখনোই নারীর সম্পূরক হতে পারে না। নারীরা সমাজের অন্যতম মুখ, সমাজের প্রতিচ্ছবি। যারা আমাদের মতোই প্রতিদিন বাঁচার স্বপ্ন দেখে।

বলা হয়, পৃথিবীর সর্বশেষ নারীপ্রধান সমাজ এই মৌস উপজাতী। এরা লুগু লেকের চারপাশে বসবাস করে যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৭০০ মিটার ওপরে। এটাকে বলা হয়ে থাকে ‘কিংডম অব উইম্যন’ বা নারীর রাজত্ব। এখানে পরিবারের নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক, মালিকানাসহ সকল প্রকার গুরু সিদ্ধান্তগুলো মহিলারা নিয়ে থাকেন।

অথচ এর বিপরীতে আমাদের সমাজে কী ঘটে? দেখা যায় নারীর এক একটি পদচারণা যেন তার কাছে এক একটি চ্যলেঞ্জ। কিন্তু মৌস উপজাতীর নারীরা বিয়ে করা বা না করার ক্ষেত্রে পুরোপুরি স্বাধীন। কোনো প্রকার চরিত্রহীনতার দায় ছাড়াই তারা একাধিক স্বামী রাখা বৈধ মনে করেন।


আমাদের সামাজিক রীতি অনুসারে মহিলাদের সম্পূর্ণ মনে করা হয় তখন, যখন তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তাদের স্বামী ও সন্তান থাকে। অন্যদিকে মৌস গোত্রের নারীদের এসব বাধ্যবাধকতা নেই। শুধু তাই নয়, নারীরা সন্তানের পিতা ব্যতীত আলাদা সংসার করতে পারবে যেখানে সে থাকবে সংসার প্রধান।

তাদের এই ঐতিহ্য শতাব্দীর পরে শতাব্দী ধরে প্রচলিত। এখানে ১৩ বছর বয়সি একটি মেয়ে তার প্রেমিক বেছে নিতে পারবে এবং যাকে তার পছন্দ নয় তার সঙ্গে কোনো প্রকার সম্পর্কে জড়াতেও সে বাধ্য নয়।

মজার ব্যপার হলো, কেউ সন্তানের বাবার পরিচয় জানার অধিকার রাখে না এবং প্রত্যেক বয়স্ক পুরুষ চাচা বা মামা হিসেবে গণ্য হন। ঐতিহাসিকভাবে প্রগতিশীল এই গোত্রের পুরুষদের বলা হয় ‘এক্সিয়াস’। তারা প্রধাণত মাছ শিকার ও পশু পালন করে থাকে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান

যেখানে নারীরা বিয়ের জন্য বাধ্য নয় !

আপডেট সময় : ১২:৫০:২৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১২ জুন ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

হিমালয়ের একদল উপজাতীদের কাছে বিশ্বের অনেক কিছু শেখার রয়েছে। আমাদের দেশে যেখানে বাল্যবিবাহ রোধে আইন করতে হয়েছে,  সেখানে নারীর বিবাহ নিয়ে বাবা-মা, এমনকি সমাজেরও কোনো ভাবনা নেই। সেখানে নারীরা বিয়ের জন্য বাধ্য নন।

একদিকে পৃথিবী যখন নারীর সমতা রক্ষায় এক প্রকার যুদ্ধে লিপ্ত ঠিক তখন হিমালয়ের উপত্যকায় বসবাসরত একদল উপজাতী নারীদের দিয়েছে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার পূর্ণ ক্ষমতা।

‘মৌস’ নামের এই উপজাতীদের মতে বিয়ে আসলে কোনো অর্জন বা কৃতিত্বের কিছু নয়। পুরুষ কখনোই নারীর সম্পূরক হতে পারে না। নারীরা সমাজের অন্যতম মুখ, সমাজের প্রতিচ্ছবি। যারা আমাদের মতোই প্রতিদিন বাঁচার স্বপ্ন দেখে।

বলা হয়, পৃথিবীর সর্বশেষ নারীপ্রধান সমাজ এই মৌস উপজাতী। এরা লুগু লেকের চারপাশে বসবাস করে যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৭০০ মিটার ওপরে। এটাকে বলা হয়ে থাকে ‘কিংডম অব উইম্যন’ বা নারীর রাজত্ব। এখানে পরিবারের নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক, মালিকানাসহ সকল প্রকার গুরু সিদ্ধান্তগুলো মহিলারা নিয়ে থাকেন।

অথচ এর বিপরীতে আমাদের সমাজে কী ঘটে? দেখা যায় নারীর এক একটি পদচারণা যেন তার কাছে এক একটি চ্যলেঞ্জ। কিন্তু মৌস উপজাতীর নারীরা বিয়ে করা বা না করার ক্ষেত্রে পুরোপুরি স্বাধীন। কোনো প্রকার চরিত্রহীনতার দায় ছাড়াই তারা একাধিক স্বামী রাখা বৈধ মনে করেন।


আমাদের সামাজিক রীতি অনুসারে মহিলাদের সম্পূর্ণ মনে করা হয় তখন, যখন তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তাদের স্বামী ও সন্তান থাকে। অন্যদিকে মৌস গোত্রের নারীদের এসব বাধ্যবাধকতা নেই। শুধু তাই নয়, নারীরা সন্তানের পিতা ব্যতীত আলাদা সংসার করতে পারবে যেখানে সে থাকবে সংসার প্রধান।

তাদের এই ঐতিহ্য শতাব্দীর পরে শতাব্দী ধরে প্রচলিত। এখানে ১৩ বছর বয়সি একটি মেয়ে তার প্রেমিক বেছে নিতে পারবে এবং যাকে তার পছন্দ নয় তার সঙ্গে কোনো প্রকার সম্পর্কে জড়াতেও সে বাধ্য নয়।

মজার ব্যপার হলো, কেউ সন্তানের বাবার পরিচয় জানার অধিকার রাখে না এবং প্রত্যেক বয়স্ক পুরুষ চাচা বা মামা হিসেবে গণ্য হন। ঐতিহাসিকভাবে প্রগতিশীল এই গোত্রের পুরুষদের বলা হয় ‘এক্সিয়াস’। তারা প্রধাণত মাছ শিকার ও পশু পালন করে থাকে।