শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর জেলা জাসাসের মানববন্ধন ফ্যাসিবাদের উত্থান আর এই বাংলার মাটিতে হবেনা ………শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক Logo সিনিয়র আরসিওয়াই ফোরাম চাঁদপুর ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন Logo সাজিদের মৃত্যুতে বিক্ষোভে উত্তাল ইবি, শিক্ষার্থীদের তদন্ত ও নিরাপত্তার দাবি Logo সাজিদের রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে ইবি ছাত্রদলের মানববন্ধন Logo সড়ক দুর্ঘটনায় খুলনার জামায়াত নেতা নিহত Logo আজ গোপালগঞ্জে ১৪ ঘণ্টার জন্য শিথিল করা হয়েছে কারফিউ Logo জামায়াতের সমাবেশের জন্য প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, জড়ো হচ্ছেন নেতাকর্মীরা Logo কচুয়া প্রেসক্লাবের বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত Logo বরেন্দ্র জাদুঘর–ইংল্যান্ডের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা, প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় ধাপ শুরু Logo নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মিলনমেলা

যেখানে নারীরা বিয়ের জন্য বাধ্য নয় !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৫০:২৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১২ জুন ২০১৭
  • ৭৪৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

হিমালয়ের একদল উপজাতীদের কাছে বিশ্বের অনেক কিছু শেখার রয়েছে। আমাদের দেশে যেখানে বাল্যবিবাহ রোধে আইন করতে হয়েছে,  সেখানে নারীর বিবাহ নিয়ে বাবা-মা, এমনকি সমাজেরও কোনো ভাবনা নেই। সেখানে নারীরা বিয়ের জন্য বাধ্য নন।

একদিকে পৃথিবী যখন নারীর সমতা রক্ষায় এক প্রকার যুদ্ধে লিপ্ত ঠিক তখন হিমালয়ের উপত্যকায় বসবাসরত একদল উপজাতী নারীদের দিয়েছে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার পূর্ণ ক্ষমতা।

‘মৌস’ নামের এই উপজাতীদের মতে বিয়ে আসলে কোনো অর্জন বা কৃতিত্বের কিছু নয়। পুরুষ কখনোই নারীর সম্পূরক হতে পারে না। নারীরা সমাজের অন্যতম মুখ, সমাজের প্রতিচ্ছবি। যারা আমাদের মতোই প্রতিদিন বাঁচার স্বপ্ন দেখে।

বলা হয়, পৃথিবীর সর্বশেষ নারীপ্রধান সমাজ এই মৌস উপজাতী। এরা লুগু লেকের চারপাশে বসবাস করে যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৭০০ মিটার ওপরে। এটাকে বলা হয়ে থাকে ‘কিংডম অব উইম্যন’ বা নারীর রাজত্ব। এখানে পরিবারের নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক, মালিকানাসহ সকল প্রকার গুরু সিদ্ধান্তগুলো মহিলারা নিয়ে থাকেন।

অথচ এর বিপরীতে আমাদের সমাজে কী ঘটে? দেখা যায় নারীর এক একটি পদচারণা যেন তার কাছে এক একটি চ্যলেঞ্জ। কিন্তু মৌস উপজাতীর নারীরা বিয়ে করা বা না করার ক্ষেত্রে পুরোপুরি স্বাধীন। কোনো প্রকার চরিত্রহীনতার দায় ছাড়াই তারা একাধিক স্বামী রাখা বৈধ মনে করেন।


আমাদের সামাজিক রীতি অনুসারে মহিলাদের সম্পূর্ণ মনে করা হয় তখন, যখন তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তাদের স্বামী ও সন্তান থাকে। অন্যদিকে মৌস গোত্রের নারীদের এসব বাধ্যবাধকতা নেই। শুধু তাই নয়, নারীরা সন্তানের পিতা ব্যতীত আলাদা সংসার করতে পারবে যেখানে সে থাকবে সংসার প্রধান।

তাদের এই ঐতিহ্য শতাব্দীর পরে শতাব্দী ধরে প্রচলিত। এখানে ১৩ বছর বয়সি একটি মেয়ে তার প্রেমিক বেছে নিতে পারবে এবং যাকে তার পছন্দ নয় তার সঙ্গে কোনো প্রকার সম্পর্কে জড়াতেও সে বাধ্য নয়।

মজার ব্যপার হলো, কেউ সন্তানের বাবার পরিচয় জানার অধিকার রাখে না এবং প্রত্যেক বয়স্ক পুরুষ চাচা বা মামা হিসেবে গণ্য হন। ঐতিহাসিকভাবে প্রগতিশীল এই গোত্রের পুরুষদের বলা হয় ‘এক্সিয়াস’। তারা প্রধাণত মাছ শিকার ও পশু পালন করে থাকে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর জেলা জাসাসের মানববন্ধন ফ্যাসিবাদের উত্থান আর এই বাংলার মাটিতে হবেনা ………শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক

যেখানে নারীরা বিয়ের জন্য বাধ্য নয় !

আপডেট সময় : ১২:৫০:২৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১২ জুন ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

হিমালয়ের একদল উপজাতীদের কাছে বিশ্বের অনেক কিছু শেখার রয়েছে। আমাদের দেশে যেখানে বাল্যবিবাহ রোধে আইন করতে হয়েছে,  সেখানে নারীর বিবাহ নিয়ে বাবা-মা, এমনকি সমাজেরও কোনো ভাবনা নেই। সেখানে নারীরা বিয়ের জন্য বাধ্য নন।

একদিকে পৃথিবী যখন নারীর সমতা রক্ষায় এক প্রকার যুদ্ধে লিপ্ত ঠিক তখন হিমালয়ের উপত্যকায় বসবাসরত একদল উপজাতী নারীদের দিয়েছে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার পূর্ণ ক্ষমতা।

‘মৌস’ নামের এই উপজাতীদের মতে বিয়ে আসলে কোনো অর্জন বা কৃতিত্বের কিছু নয়। পুরুষ কখনোই নারীর সম্পূরক হতে পারে না। নারীরা সমাজের অন্যতম মুখ, সমাজের প্রতিচ্ছবি। যারা আমাদের মতোই প্রতিদিন বাঁচার স্বপ্ন দেখে।

বলা হয়, পৃথিবীর সর্বশেষ নারীপ্রধান সমাজ এই মৌস উপজাতী। এরা লুগু লেকের চারপাশে বসবাস করে যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৭০০ মিটার ওপরে। এটাকে বলা হয়ে থাকে ‘কিংডম অব উইম্যন’ বা নারীর রাজত্ব। এখানে পরিবারের নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক, মালিকানাসহ সকল প্রকার গুরু সিদ্ধান্তগুলো মহিলারা নিয়ে থাকেন।

অথচ এর বিপরীতে আমাদের সমাজে কী ঘটে? দেখা যায় নারীর এক একটি পদচারণা যেন তার কাছে এক একটি চ্যলেঞ্জ। কিন্তু মৌস উপজাতীর নারীরা বিয়ে করা বা না করার ক্ষেত্রে পুরোপুরি স্বাধীন। কোনো প্রকার চরিত্রহীনতার দায় ছাড়াই তারা একাধিক স্বামী রাখা বৈধ মনে করেন।


আমাদের সামাজিক রীতি অনুসারে মহিলাদের সম্পূর্ণ মনে করা হয় তখন, যখন তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তাদের স্বামী ও সন্তান থাকে। অন্যদিকে মৌস গোত্রের নারীদের এসব বাধ্যবাধকতা নেই। শুধু তাই নয়, নারীরা সন্তানের পিতা ব্যতীত আলাদা সংসার করতে পারবে যেখানে সে থাকবে সংসার প্রধান।

তাদের এই ঐতিহ্য শতাব্দীর পরে শতাব্দী ধরে প্রচলিত। এখানে ১৩ বছর বয়সি একটি মেয়ে তার প্রেমিক বেছে নিতে পারবে এবং যাকে তার পছন্দ নয় তার সঙ্গে কোনো প্রকার সম্পর্কে জড়াতেও সে বাধ্য নয়।

মজার ব্যপার হলো, কেউ সন্তানের বাবার পরিচয় জানার অধিকার রাখে না এবং প্রত্যেক বয়স্ক পুরুষ চাচা বা মামা হিসেবে গণ্য হন। ঐতিহাসিকভাবে প্রগতিশীল এই গোত্রের পুরুষদের বলা হয় ‘এক্সিয়াস’। তারা প্রধাণত মাছ শিকার ও পশু পালন করে থাকে।