নিউজ ডেস্ক:
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন, মুদ্রণ ও বিতরণ একটি বিশাল কার্যক্রম। সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তাকে আরো সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর হাতে বছরের শুরুতে বই পৌঁছে দিতে চাই। এর কোনো ব্যত্যয় করা যাবে না। এখানে ব্যর্থতার কোনো সুযোগ নেই। গত সোমবার মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) অডিটোরিয়ামে ২০১৮ শিক্ষাবর্ষের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণসংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। এনসিটিবি এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বই ছাপানো, তৈরি করা এবং বিতরণ কার্যক্রম দেশের মানুষের কাছে একটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এ দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রস্তুতির কাজগুলো সঠিক সময়ে শেষ করতে হবে। নিখুঁত বই ছাপাতে হবে। গত বছর যেসব ভুল হয়েছিল, সেগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। নতুন কোনো ভুল যাতে না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, সামান্য ভুলের কারণে একটি বড় অর্জনও ম্লান হয়ে যেতে পারে। কোনো ভুল হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তার দায় নিতে হবে। সঠিক সংখ্যায় পাঠ্যপুস্তক যাতে উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে সেজন্য মন্ত্রলালয় পর্যায়ে একটি মনিটরিং কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আলমগীর এবং এনসিটিবির সদস্য ড. রতন সিদ্দিকী। এনসিটিবির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় এনসিটিবির চেয়ারম্যান জানান, এবার অনলাইনে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এতে উপজেলা পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তক প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আর গরমিল থাকবে না। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী এনসিটিবি কার্যালয়ে একটি আইসিটি সেল উদ্বোধন করেন।