শিরোনাম :
Logo নওগাঁয় নিষিদ্ধ জালে নিধন হচ্ছে দেশিয় প্রজাতির মাছ Logo পবিত্র আশুরাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে : মো. সরওয়ার Logo ঝিনাইদহে হত্যা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড Logo ৩ দফা দাবিতে রুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo মার্কিন অস্ত্র সহায়তা স্থগিতে রুশ হামলা জোরদারের শঙ্কায় ইউক্রেন Logo মৌলভীবাজার সীমান্তে বিএসএফ ৪৮ জনকে ঠেলে দিল Logo দাবানলে পুড়ছে গ্রিস, নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে দমকল বাহিনী Logo বাংলাদেশের পাট ও পাটপণ্য আমদানিতে আগ্রহী ইন্দোনেশিয়া: রাষ্ট্রদূত Logo ইতালির নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যা: ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড Logo ক্যালিফোর্নিয়ায় আতশবাজির গুদামে বিস্ফোরণ, নিখোঁজ ৭

অ্যাপোলোর পরিবেশবান্ধব ঢেউটিন ফেব্রুয়ারি থেকে !

  • আপডেট সময় : ০১:৫৮:০৪ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৮৬ বার পড়া হয়েছে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক :

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে উৎপাদনে যেতে পারে অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্সের নন অক্সিডাইজিং ফার্নেস (এনওএফ) প্রকল্প।

 

এনওএফ প্রযুক্তিতে সালফিউরিক এসিড, কস্টিক সোডা এবং লেড ব্যবহার না করেই পরিবেশবান্ধব ঢেউটিন উৎপাদন করবে প্রতিষ্ঠানটি।

 

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলিত টাকা দিয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে কোম্পানিটি। আইপিওতে ১০ কোটি শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে ২২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছিল।

 

বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

 

অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স ঢেউটিন উৎপাদন ও বাজারজাত করে থাকে। এই কোম্পানির টিনের ব্র্যান্ড রাণী।

 

কোম্পানি কর্তৃপক্ষের দাবি, এনওএফ এমন এক প্রযুক্তি যেখানে অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে টিন উৎপাদন করা হয়। এই ধরনের টিনে সহজে মরিচা ধরে না। ফলে এনওএফ প্রযুক্তিতে উৎপাদিত টিনের স্থায়িত্ব হয় অন্যান্য টিনের চেয়ে অনেক বেশি।

 

সাধারণ প্রযুক্তির কারখানায় এসিড ব্যবহার করে টিনের কাঁচামাল থেকে ধুলাবালি সরানো হয়। কিন্তু এনওএফ প্রকল্পে প্রচণ্ড তাপের মাধ্যমে ধুলাবালি ও ময়দা পরিষ্কার করা হবে। এনওএফ প্রযুক্তিতে সালফিউরিক এসিড, কস্টিক সোডা এবং লেড ব্যবহার না করেই ঢেউটিন উৎপাদন করা হয়। এ কারণে একদিকে প্রকল্পটি পরিবেশবান্ধব, অন্যদিকে টিনের স্থায়িত্ব বেশি হয়।

 

জানা গেছে, ২০১৫ সালে এই প্রকল্প বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার কথা ছিল। রাজনৈতিক অস্থিরতা, হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলার মত ঘটনার কারণে বিদেশি টেকনিশিয়ানরা কাজে আসেননি। ফলে সঠিক সময়ে উৎপাদনে যেতে পারেনি এই প্রকল্প।

 

২০১৩ সালে অ্যাপোলো ইস্পাত পুঁজিবাজারে আসে। আইপিওতে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতি শেয়ারে ১২ টাকা করে প্রিমিয়াম নিয়ে ২২ টাকা দরে শেয়ার বিক্রি করা হয়।

 

২০১৪ সালে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ বোনাস এবং ২০১৫ সালে ১২ শতাংশ বোনাস ও ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। সর্বশেষ বছরে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ৭৭ পয়সা। চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস হয় ৬৭ পয়সা।

 

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নওগাঁয় নিষিদ্ধ জালে নিধন হচ্ছে দেশিয় প্রজাতির মাছ

অ্যাপোলোর পরিবেশবান্ধব ঢেউটিন ফেব্রুয়ারি থেকে !

আপডেট সময় : ০১:৫৮:০৪ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক :

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে উৎপাদনে যেতে পারে অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্সের নন অক্সিডাইজিং ফার্নেস (এনওএফ) প্রকল্প।

 

এনওএফ প্রযুক্তিতে সালফিউরিক এসিড, কস্টিক সোডা এবং লেড ব্যবহার না করেই পরিবেশবান্ধব ঢেউটিন উৎপাদন করবে প্রতিষ্ঠানটি।

 

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলিত টাকা দিয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে কোম্পানিটি। আইপিওতে ১০ কোটি শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে ২২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছিল।

 

বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

 

অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স ঢেউটিন উৎপাদন ও বাজারজাত করে থাকে। এই কোম্পানির টিনের ব্র্যান্ড রাণী।

 

কোম্পানি কর্তৃপক্ষের দাবি, এনওএফ এমন এক প্রযুক্তি যেখানে অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে টিন উৎপাদন করা হয়। এই ধরনের টিনে সহজে মরিচা ধরে না। ফলে এনওএফ প্রযুক্তিতে উৎপাদিত টিনের স্থায়িত্ব হয় অন্যান্য টিনের চেয়ে অনেক বেশি।

 

সাধারণ প্রযুক্তির কারখানায় এসিড ব্যবহার করে টিনের কাঁচামাল থেকে ধুলাবালি সরানো হয়। কিন্তু এনওএফ প্রকল্পে প্রচণ্ড তাপের মাধ্যমে ধুলাবালি ও ময়দা পরিষ্কার করা হবে। এনওএফ প্রযুক্তিতে সালফিউরিক এসিড, কস্টিক সোডা এবং লেড ব্যবহার না করেই ঢেউটিন উৎপাদন করা হয়। এ কারণে একদিকে প্রকল্পটি পরিবেশবান্ধব, অন্যদিকে টিনের স্থায়িত্ব বেশি হয়।

 

জানা গেছে, ২০১৫ সালে এই প্রকল্প বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার কথা ছিল। রাজনৈতিক অস্থিরতা, হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলার মত ঘটনার কারণে বিদেশি টেকনিশিয়ানরা কাজে আসেননি। ফলে সঠিক সময়ে উৎপাদনে যেতে পারেনি এই প্রকল্প।

 

২০১৩ সালে অ্যাপোলো ইস্পাত পুঁজিবাজারে আসে। আইপিওতে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতি শেয়ারে ১২ টাকা করে প্রিমিয়াম নিয়ে ২২ টাকা দরে শেয়ার বিক্রি করা হয়।

 

২০১৪ সালে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ বোনাস এবং ২০১৫ সালে ১২ শতাংশ বোনাস ও ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। সর্বশেষ বছরে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ৭৭ পয়সা। চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস হয় ৬৭ পয়সা।