শিরোনাম :
Logo অবরুদ্ধ গাজায় একদিনেই নিহত ১০৬ ফিলিস্তিনি Logo ভারতের কাছে পাইলট আটকের প্রমাণ চাইলো পাকিস্তান Logo নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বললেন আসিফ মাহমুদ Logo খুবি উপাচার্যের এবং বিএনসিসি খুলনা ফ্লোটিলা কমান্ডারের সৌজন্য সাক্ষাৎ  Logo গুচ্ছের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঘিরে প্রস্তুত ইবি Logo ভারতের ১৫ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পাকিস্তানের, দাবি দিল্লির Logo জবিতে আবাসন ভাতা ও জকসু নির্বাচনের দাবিতে গণভোট কর্মসূচি Logo রাবি ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ৫ দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান সোচ্চারের Logo ইউজিসির বাজেট বৈষম্যের অভিযোগ:জবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo কচুয়ায় একই পরিবারের ৮জন প্রতিবন্ধীর মানবেতর জীবন, চান সহযোগিতা

অ্যাপোলোর পরিবেশবান্ধব ঢেউটিন ফেব্রুয়ারি থেকে !

  • আপডেট সময় : ০১:৫৮:০৪ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৬২ বার পড়া হয়েছে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক :

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে উৎপাদনে যেতে পারে অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্সের নন অক্সিডাইজিং ফার্নেস (এনওএফ) প্রকল্প।

 

এনওএফ প্রযুক্তিতে সালফিউরিক এসিড, কস্টিক সোডা এবং লেড ব্যবহার না করেই পরিবেশবান্ধব ঢেউটিন উৎপাদন করবে প্রতিষ্ঠানটি।

 

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলিত টাকা দিয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে কোম্পানিটি। আইপিওতে ১০ কোটি শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে ২২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছিল।

 

বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

 

অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স ঢেউটিন উৎপাদন ও বাজারজাত করে থাকে। এই কোম্পানির টিনের ব্র্যান্ড রাণী।

 

কোম্পানি কর্তৃপক্ষের দাবি, এনওএফ এমন এক প্রযুক্তি যেখানে অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে টিন উৎপাদন করা হয়। এই ধরনের টিনে সহজে মরিচা ধরে না। ফলে এনওএফ প্রযুক্তিতে উৎপাদিত টিনের স্থায়িত্ব হয় অন্যান্য টিনের চেয়ে অনেক বেশি।

 

সাধারণ প্রযুক্তির কারখানায় এসিড ব্যবহার করে টিনের কাঁচামাল থেকে ধুলাবালি সরানো হয়। কিন্তু এনওএফ প্রকল্পে প্রচণ্ড তাপের মাধ্যমে ধুলাবালি ও ময়দা পরিষ্কার করা হবে। এনওএফ প্রযুক্তিতে সালফিউরিক এসিড, কস্টিক সোডা এবং লেড ব্যবহার না করেই ঢেউটিন উৎপাদন করা হয়। এ কারণে একদিকে প্রকল্পটি পরিবেশবান্ধব, অন্যদিকে টিনের স্থায়িত্ব বেশি হয়।

 

জানা গেছে, ২০১৫ সালে এই প্রকল্প বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার কথা ছিল। রাজনৈতিক অস্থিরতা, হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলার মত ঘটনার কারণে বিদেশি টেকনিশিয়ানরা কাজে আসেননি। ফলে সঠিক সময়ে উৎপাদনে যেতে পারেনি এই প্রকল্প।

 

২০১৩ সালে অ্যাপোলো ইস্পাত পুঁজিবাজারে আসে। আইপিওতে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতি শেয়ারে ১২ টাকা করে প্রিমিয়াম নিয়ে ২২ টাকা দরে শেয়ার বিক্রি করা হয়।

 

২০১৪ সালে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ বোনাস এবং ২০১৫ সালে ১২ শতাংশ বোনাস ও ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। সর্বশেষ বছরে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ৭৭ পয়সা। চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস হয় ৬৭ পয়সা।

 

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

অবরুদ্ধ গাজায় একদিনেই নিহত ১০৬ ফিলিস্তিনি

অ্যাপোলোর পরিবেশবান্ধব ঢেউটিন ফেব্রুয়ারি থেকে !

আপডেট সময় : ০১:৫৮:০৪ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক :

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে উৎপাদনে যেতে পারে অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্সের নন অক্সিডাইজিং ফার্নেস (এনওএফ) প্রকল্প।

 

এনওএফ প্রযুক্তিতে সালফিউরিক এসিড, কস্টিক সোডা এবং লেড ব্যবহার না করেই পরিবেশবান্ধব ঢেউটিন উৎপাদন করবে প্রতিষ্ঠানটি।

 

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলিত টাকা দিয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে কোম্পানিটি। আইপিওতে ১০ কোটি শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে ২২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছিল।

 

বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

 

অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স ঢেউটিন উৎপাদন ও বাজারজাত করে থাকে। এই কোম্পানির টিনের ব্র্যান্ড রাণী।

 

কোম্পানি কর্তৃপক্ষের দাবি, এনওএফ এমন এক প্রযুক্তি যেখানে অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে টিন উৎপাদন করা হয়। এই ধরনের টিনে সহজে মরিচা ধরে না। ফলে এনওএফ প্রযুক্তিতে উৎপাদিত টিনের স্থায়িত্ব হয় অন্যান্য টিনের চেয়ে অনেক বেশি।

 

সাধারণ প্রযুক্তির কারখানায় এসিড ব্যবহার করে টিনের কাঁচামাল থেকে ধুলাবালি সরানো হয়। কিন্তু এনওএফ প্রকল্পে প্রচণ্ড তাপের মাধ্যমে ধুলাবালি ও ময়দা পরিষ্কার করা হবে। এনওএফ প্রযুক্তিতে সালফিউরিক এসিড, কস্টিক সোডা এবং লেড ব্যবহার না করেই ঢেউটিন উৎপাদন করা হয়। এ কারণে একদিকে প্রকল্পটি পরিবেশবান্ধব, অন্যদিকে টিনের স্থায়িত্ব বেশি হয়।

 

জানা গেছে, ২০১৫ সালে এই প্রকল্প বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার কথা ছিল। রাজনৈতিক অস্থিরতা, হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলার মত ঘটনার কারণে বিদেশি টেকনিশিয়ানরা কাজে আসেননি। ফলে সঠিক সময়ে উৎপাদনে যেতে পারেনি এই প্রকল্প।

 

২০১৩ সালে অ্যাপোলো ইস্পাত পুঁজিবাজারে আসে। আইপিওতে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতি শেয়ারে ১২ টাকা করে প্রিমিয়াম নিয়ে ২২ টাকা দরে শেয়ার বিক্রি করা হয়।

 

২০১৪ সালে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ বোনাস এবং ২০১৫ সালে ১২ শতাংশ বোনাস ও ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। সর্বশেষ বছরে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ৭৭ পয়সা। চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস হয় ৬৭ পয়সা।