বৃহস্পতিবার | ২৭ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী Logo কুবির বাংলা বিভাগের বাংলা নাটক বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo মাগুরার শ্রীপুরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ প্রদর্শনী Logo আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান

অ্যাপোলোর পরিবেশবান্ধব ঢেউটিন ফেব্রুয়ারি থেকে !

  • আপডেট সময় : ০১:৫৮:০৪ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৮২৯ বার পড়া হয়েছে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক :

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে উৎপাদনে যেতে পারে অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্সের নন অক্সিডাইজিং ফার্নেস (এনওএফ) প্রকল্প।

 

এনওএফ প্রযুক্তিতে সালফিউরিক এসিড, কস্টিক সোডা এবং লেড ব্যবহার না করেই পরিবেশবান্ধব ঢেউটিন উৎপাদন করবে প্রতিষ্ঠানটি।

 

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলিত টাকা দিয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে কোম্পানিটি। আইপিওতে ১০ কোটি শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে ২২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছিল।

 

বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

 

অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স ঢেউটিন উৎপাদন ও বাজারজাত করে থাকে। এই কোম্পানির টিনের ব্র্যান্ড রাণী।

 

কোম্পানি কর্তৃপক্ষের দাবি, এনওএফ এমন এক প্রযুক্তি যেখানে অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে টিন উৎপাদন করা হয়। এই ধরনের টিনে সহজে মরিচা ধরে না। ফলে এনওএফ প্রযুক্তিতে উৎপাদিত টিনের স্থায়িত্ব হয় অন্যান্য টিনের চেয়ে অনেক বেশি।

 

সাধারণ প্রযুক্তির কারখানায় এসিড ব্যবহার করে টিনের কাঁচামাল থেকে ধুলাবালি সরানো হয়। কিন্তু এনওএফ প্রকল্পে প্রচণ্ড তাপের মাধ্যমে ধুলাবালি ও ময়দা পরিষ্কার করা হবে। এনওএফ প্রযুক্তিতে সালফিউরিক এসিড, কস্টিক সোডা এবং লেড ব্যবহার না করেই ঢেউটিন উৎপাদন করা হয়। এ কারণে একদিকে প্রকল্পটি পরিবেশবান্ধব, অন্যদিকে টিনের স্থায়িত্ব বেশি হয়।

 

জানা গেছে, ২০১৫ সালে এই প্রকল্প বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার কথা ছিল। রাজনৈতিক অস্থিরতা, হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলার মত ঘটনার কারণে বিদেশি টেকনিশিয়ানরা কাজে আসেননি। ফলে সঠিক সময়ে উৎপাদনে যেতে পারেনি এই প্রকল্প।

 

২০১৩ সালে অ্যাপোলো ইস্পাত পুঁজিবাজারে আসে। আইপিওতে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতি শেয়ারে ১২ টাকা করে প্রিমিয়াম নিয়ে ২২ টাকা দরে শেয়ার বিক্রি করা হয়।

 

২০১৪ সালে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ বোনাস এবং ২০১৫ সালে ১২ শতাংশ বোনাস ও ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। সর্বশেষ বছরে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ৭৭ পয়সা। চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস হয় ৬৭ পয়সা।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী

অ্যাপোলোর পরিবেশবান্ধব ঢেউটিন ফেব্রুয়ারি থেকে !

আপডেট সময় : ০১:৫৮:০৪ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক :

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে উৎপাদনে যেতে পারে অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্সের নন অক্সিডাইজিং ফার্নেস (এনওএফ) প্রকল্প।

 

এনওএফ প্রযুক্তিতে সালফিউরিক এসিড, কস্টিক সোডা এবং লেড ব্যবহার না করেই পরিবেশবান্ধব ঢেউটিন উৎপাদন করবে প্রতিষ্ঠানটি।

 

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলিত টাকা দিয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে কোম্পানিটি। আইপিওতে ১০ কোটি শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে ২২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছিল।

 

বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

 

অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স ঢেউটিন উৎপাদন ও বাজারজাত করে থাকে। এই কোম্পানির টিনের ব্র্যান্ড রাণী।

 

কোম্পানি কর্তৃপক্ষের দাবি, এনওএফ এমন এক প্রযুক্তি যেখানে অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে টিন উৎপাদন করা হয়। এই ধরনের টিনে সহজে মরিচা ধরে না। ফলে এনওএফ প্রযুক্তিতে উৎপাদিত টিনের স্থায়িত্ব হয় অন্যান্য টিনের চেয়ে অনেক বেশি।

 

সাধারণ প্রযুক্তির কারখানায় এসিড ব্যবহার করে টিনের কাঁচামাল থেকে ধুলাবালি সরানো হয়। কিন্তু এনওএফ প্রকল্পে প্রচণ্ড তাপের মাধ্যমে ধুলাবালি ও ময়দা পরিষ্কার করা হবে। এনওএফ প্রযুক্তিতে সালফিউরিক এসিড, কস্টিক সোডা এবং লেড ব্যবহার না করেই ঢেউটিন উৎপাদন করা হয়। এ কারণে একদিকে প্রকল্পটি পরিবেশবান্ধব, অন্যদিকে টিনের স্থায়িত্ব বেশি হয়।

 

জানা গেছে, ২০১৫ সালে এই প্রকল্প বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার কথা ছিল। রাজনৈতিক অস্থিরতা, হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলার মত ঘটনার কারণে বিদেশি টেকনিশিয়ানরা কাজে আসেননি। ফলে সঠিক সময়ে উৎপাদনে যেতে পারেনি এই প্রকল্প।

 

২০১৩ সালে অ্যাপোলো ইস্পাত পুঁজিবাজারে আসে। আইপিওতে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতি শেয়ারে ১২ টাকা করে প্রিমিয়াম নিয়ে ২২ টাকা দরে শেয়ার বিক্রি করা হয়।

 

২০১৪ সালে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ বোনাস এবং ২০১৫ সালে ১২ শতাংশ বোনাস ও ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। সর্বশেষ বছরে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ৭৭ পয়সা। চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস হয় ৬৭ পয়সা।