শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী Logo কুবির বাংলা বিভাগের বাংলা নাটক বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo মাগুরার শ্রীপুরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ প্রদর্শনী Logo আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান

অনুদান কমিটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জাকিয়া বারী মম

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৫:১৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
  • ৭৬৫ বার পড়া হয়েছে

চলচ্চিত্রে রাষ্ট্রীয় অনুদান দেওয়া নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মাঝেই জানা গেল, অনুদান কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম অনেক আগেই পদত্যাগ করেছেন। এ তথ্য মম নিজেই জানিয়েছেন।

১ জুলাই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৩২টি চলচ্চিত্রকে মোট ১৩ কোটি টাকার অনুদান প্রদানের প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর পরদিন থেকেই এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়। এ পরিস্থিতিতে জানা গেল—অনুদানের এই তালিকা প্রণয়ন বা অনুমোদনের সঙ্গে জাকিয়া বারী মমর কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

এ বিষয়ে জাকিয়া বারী মম বলেন, “অনুদানের এই তালিকা তৈরি কিংবা ঘোষণার সময়, আমি এই কমিটির অংশ ছিলাম না। ব্যক্তিগত ও পেশাগত কারণে ২৫ মে আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর। প্রায় এক মাস ধরে আমি এই কমিটির সঙ্গে নেই।

সামাজিক মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানো প্রসঙ্গে জাকিয়া বারী মম বলেন, “অনুদানের প্রজ্ঞাপন জারির পর বিভিন্ন সংবাদে আমার নাম আসছিল কমিটির সদস্য হিসেবে। অনেকেই বিভিন্ন মন্তব্য জানাচ্ছিল আমাকে। অথচ আমি এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতই নই।”

শুধু ব্যস্ততা নয়, অনুদান কমিটিতে কাজের সুযোগ ও বাস্তবতাও ছিল মমর অব্যাহতির পেছনে অন্যতম কারণ। তিনি বলেন, “কাজ করার সুযোগ ছিল না। নিয়মের জটিলতা, আমলাতান্ত্রিক বাধা—সব মিলিয়ে আগের নিয়মেই সবকিছু এগোচ্ছিল। সংস্কারের সুযোগ কম। ফলে আমার কাজের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। এটি কারো প্রতি অভিযোগ নয়, বরং আমাদের সিস্টেমের বাস্তবতা।এদিকে মমর মতো আরো দুজন সদস্যও একই কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। তারা হলেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক, অভিনেতা ও নির্দেশক ড. আবুল বাশার মো. জিয়াউল হক (তিতাস জিয়া) এবং নির্মাতা-সম্পাদক সামির আহমেদ। তারাও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে দায়িত্ব ছাড়েন।

বর্তমানে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন— তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র), মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নির্মাতা-প্রযোজক খান শারফুদ্দীন মোহাম্মদ আকরাম (আকরাম খান), নির্মাতা-চিত্রনাট্যকার নার্গিস আখতার এবং রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি আহমেদ মুজতবা জামাল।

কমিটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। শুরুতে এ পদে ছিলেন উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী

অনুদান কমিটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জাকিয়া বারী মম

আপডেট সময় : ০৫:৪৫:১৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

চলচ্চিত্রে রাষ্ট্রীয় অনুদান দেওয়া নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মাঝেই জানা গেল, অনুদান কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম অনেক আগেই পদত্যাগ করেছেন। এ তথ্য মম নিজেই জানিয়েছেন।

১ জুলাই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৩২টি চলচ্চিত্রকে মোট ১৩ কোটি টাকার অনুদান প্রদানের প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর পরদিন থেকেই এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়। এ পরিস্থিতিতে জানা গেল—অনুদানের এই তালিকা প্রণয়ন বা অনুমোদনের সঙ্গে জাকিয়া বারী মমর কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

এ বিষয়ে জাকিয়া বারী মম বলেন, “অনুদানের এই তালিকা তৈরি কিংবা ঘোষণার সময়, আমি এই কমিটির অংশ ছিলাম না। ব্যক্তিগত ও পেশাগত কারণে ২৫ মে আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর। প্রায় এক মাস ধরে আমি এই কমিটির সঙ্গে নেই।

সামাজিক মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানো প্রসঙ্গে জাকিয়া বারী মম বলেন, “অনুদানের প্রজ্ঞাপন জারির পর বিভিন্ন সংবাদে আমার নাম আসছিল কমিটির সদস্য হিসেবে। অনেকেই বিভিন্ন মন্তব্য জানাচ্ছিল আমাকে। অথচ আমি এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতই নই।”

শুধু ব্যস্ততা নয়, অনুদান কমিটিতে কাজের সুযোগ ও বাস্তবতাও ছিল মমর অব্যাহতির পেছনে অন্যতম কারণ। তিনি বলেন, “কাজ করার সুযোগ ছিল না। নিয়মের জটিলতা, আমলাতান্ত্রিক বাধা—সব মিলিয়ে আগের নিয়মেই সবকিছু এগোচ্ছিল। সংস্কারের সুযোগ কম। ফলে আমার কাজের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। এটি কারো প্রতি অভিযোগ নয়, বরং আমাদের সিস্টেমের বাস্তবতা।এদিকে মমর মতো আরো দুজন সদস্যও একই কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। তারা হলেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক, অভিনেতা ও নির্দেশক ড. আবুল বাশার মো. জিয়াউল হক (তিতাস জিয়া) এবং নির্মাতা-সম্পাদক সামির আহমেদ। তারাও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে দায়িত্ব ছাড়েন।

বর্তমানে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন— তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র), মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নির্মাতা-প্রযোজক খান শারফুদ্দীন মোহাম্মদ আকরাম (আকরাম খান), নির্মাতা-চিত্রনাট্যকার নার্গিস আখতার এবং রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি আহমেদ মুজতবা জামাল।

কমিটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। শুরুতে এ পদে ছিলেন উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।